জালিয়াতি রোধ করতেই এই পদক্ষেপগুলি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

SIM card dealers: বায়োমেট্রিক এবং পুলিশি যাচাই ছাড়া আর বিক্রি করা যাবে না সিম কার্ড!জালিয়াতি রোধ করতেই এই পদক্ষেপ, জানিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

নয়া দিল্লি: বায়োমেট্রিক যাচাই এবং পুলিশি যাচাই না হলে, আর সিম কার্ড বিক্রি করা যাবে না। বৃহস্পতিবার (১৭ অগস্ট) থেকে সিম কার্ড বিক্রেতাদের বায়োমেট্রিক এবং পুলিশি যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে, একই সময়ে বিপুল পরিমাণে সিম কার্ড সংযোগ দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হল। জালিয়াতি রোধ করতেই এই পদক্ষেপগুলি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেছেন, “জালিয়াতি রোধ করতে আমরা সিম কার্ড ডিলারদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করছি। এই নিয়ম না মানলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এছাড়া, সিম ব্যবসায়ীদের এবং সিম কিনছেন যাঁরা, তাঁদের কেওয়াইসি করাতে হবে।”


বাল্ক সিম সংযোগ দেওয়া, অর্থাৎ একসঙ্গে অনেকগুলি সিমকার্ড সংযোগ দেওয়া নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “সিম বক্স বলে একটা জিনিস আছে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল করা যায়। এখন, প্রতারকরা অন্তত ৫টি সিম নেয়। একটি সিম ব্যবহার করে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় এবং অন্য ব্যাচের আরেকটি সিম ব্যবহার করা শুরু করে। এই ভাবে তারা প্রতারণামূলক ফোনকল করে থাকে। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখার পর, বাল্ক সংযোগ ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সঠিক ব্যবসায়িক সংযোগের জন্য একটি ব্যবস্থা চালু করা হবে। সেই সকল ব্যবসায়িক সংযোগের জন্য ব্যক্তিগত কেওয়াইসি করাতে হবে। অর্থাৎ, যদি কোনও সংস্থা ৪০০০টি সিম নেয়, তাহলে যে কর্মচারীরা সেই সিমগুলি ব্যবহার করবেন, তাঁদের সকলের কেওয়াইসি করাতে হবে।”

অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতে, সিম সংযোগ দেওয়ার সময় যে যে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার আইন রয়েছে, তা মানেন না সিম কার্ড ডিলাররা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনও রকমে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সেরে তারা সিম বিক্রি করে। এখন থেকে, আর তা করা চলবে না। ডিলারদের পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং তাদের নাম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ফলে, জালিয়াতি করে সিম বিক্রি করলেই জবাবদিহি করতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশ এবং টেলিকম শিল্পের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই ছোট্ট সংস্কারের ফলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।


চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ব্লক করা এবং সেগুলিকে ট্র্যাক করার লক্ষ্যে, গত মে মাসে ‘সঞ্চার সাথী’ নামে একটি পোর্টাল চালু করেছিল কেন্দ্র। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এই পোর্টাল চালু হওয়ার পর থেকে, ৬৭ হাজার সিম কার্ড ডিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ৫২ লক্ষ জাল মোবাইল সংযোগ নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। হারিয়ে যাওযা বা চুরি হওয়া ৭ লক্ষ ফোন সংযোগ ব্লক করা হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগে সিম কার্ড ডিলারদের বিরুদ্ধে ৩০০টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, জালিয়াতির অভিযোগে ব্লক করা হয়েছে ৮ লক্ষ পেমেন্ট ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার পক্ষ থেকে ব্লক করা হয়েছে প্রায় ৬৬,০০০ অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে প্রতারণামূলক কাজকর্মের অভিযোগ ছিল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours