গত দু-ম্যাচে অর্থাৎ গ্লুকোস্টারশায়ার এবং সাসেক্সের বিরুদ্ধে করেছিলেন যথাক্রমে ৩৪ ও ২৬ রান। সেট হয়েও বড় ইনিংস না খেলতে পারার যন্ত্রণা ছিলই। সমারসেটের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংসে সব হতাশা যেন ঝেড়ে ফেললেন পৃথ্বী।


জাতীয় দলে ব্রাত্য। ফেরার মরিয়া লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পৃথ্বী শ। তবে হতাশা ছাড়া কিছুই জুটছিল না। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেই অর্থে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছিলেন না। ক্রিকেট মাঠের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও নানা সমস্যার মধ্যে কাটছে। যার জেরে বলতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁর কোনও বন্ধু নেই। দেওধর ট্রফিতে না খেলে বোর্ডের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার। তা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। একটা ইনিংসে যেন অনেক হতাশা কাটল ভারতের এই তরুণ ব্যাটারের। বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।


কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দ্যাম্পটনশায়ারের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন পৃথ্বী। ভিসা সমস্যায় তাঁর যেতে দেরি হয়। গত দু-ম্যাচে অর্থাৎ গ্লুকোস্টারশায়ার এবং সাসেক্সের বিরুদ্ধে করেছিলেন যথাক্রমে ৩৪ ও ২৬ রান। সেট হয়েও বড় ইনিংস না খেলতে পারার যন্ত্রণা ছিলই। সমারসেটের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংসে সব হতাশা যেন ঝেড়ে ফেললেন পৃথ্বী। লিস্ট এ কেরিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন ভারতের এই তরুণ ওপেনার।


প্রথমে ব্যাট করে নর্দ্যাম্পটনশায়ার। প্রত্যাশিত ভাবেই ওপেন করেন পৃথ্বী শ। উল্টো দিক থেকে একের পর এক ব্যাটার সেট হয়েও আউট হয়ে ফিরছিলেন। পৃথ্বী ঝড় অবশ্য থামাতে পারেনি সমারসেট। ইনিংসের শেষ ওভারে পৃথ্বীর ইনিংস থামে। ৪৯.৩ ওভারে অষ্টম উইকেট হিসেবে যখন ফিরলেন, পৃথ্বীর নামের পাশে ২৪৪ রান। মাত্র ১৫৩ বলে এই স্কোর পৃথ্বীর। ২৮টি বাউন্ডারি এবং ১১টি ওভার বাউন্ডারি মারেন পৃথ্বী। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৪১৫ রান করে নর্দ্যাম্পটনশায়ার। লিস্ট এ কেরিয়ারে এটি পৃথ্বীর দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে মুম্বইয়ের হয়ে ২২৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours