সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রহিগ্রামে কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন শানোয়ারা বেওয়া। কিন্তু, ভোটে জিতেই দল বদলে ফেলেন তিনি। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন শানোয়ারা। খুন হয়েছেন তাঁরই ছেলে।


খড়গ্রাম: পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই জুনের প্রথম সপ্তাহে রক্ত ঝরেছিল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। ভোটপর্বেও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) একাধিক এলাকা। ঝরেছে রক্ত, গিয়েছে প্রাণ। এদিকে ইতিমধ্যেই এবার সমস্ত পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছাড়ায় সে বিষয়ে সতর্ক ছিল প্রশাসন। কিন্তু, তাও আটকানো গেল না রক্তপাত। ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানা। খুন তৃণমূল কর্মী। প্রসঙ্গত, সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন চলছিল বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। তারমধ্যেই ঘটে গেল এ ঘটনা। 


সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রহিগ্রামে কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন শানোয়ারা বেওয়া। কিন্তু, ভোটে জিতেই দল বদলে ফেলেন তিনি। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন শানোয়ারা। এদিন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। বোর্ড গঠনের পর শানোয়ারা গ্রামে ফিরে বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠেন। এদিকে সেই সময় তাঁর ছেলে হুমায়ুন কবীর দুপুর তিনটে নাগাদ গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বলে খবর। তখনই তাঁর উপর বেশ কয়েকজন লোক চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরের চোটেই মৃত্যু হয় হুমায়ুনের। তিনিও এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। 

সূত্রের খবর, ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। শানোয়ারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তা আরও বেড়ে যায়। এরইমধ্যে এ ঘটনা ঘটে যাওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ঘটনায় মৃতের আত্মীয় সাদাকাস মোবারক বলেন, “ওর মা ভোটে দাঁড়িয়েছিল। জিতেও গিয়েছিল। আজ তো বোর্ড গঠনের কাজ চলছিল। তারমধ্যে ওকে খুন করা হল। ওর মা কিন্তু শুরুতে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিল।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours