পরিবার সূত্রে খবর, তমিতুদ্দিনের বাড়িতে দুই মেয়ে ও এক পুত্র ও স্ত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে এক মেয়ে বিবাহিত। পরিবারের দাবি, বাড়তি উপার্জনের আশায় দশদিন আগে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন।
Dhupguri Migrant Worker Death: আবার মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, অসমে কাজে গিয়ে প্রাণ হারালেন ধূপগুড়ির নির্মাণ শ্রমিক
ধূপগুড়িতে মৃত্যু
ধূপগুড়ি: মালদা-মুর্শিদাবাদের পর এবার ধূপগুড়ি। ফের ভিনরাজ্যে গিয়ে মৃত্যু হল পরিযায়ী শ্রমিকের। অসমের গৌহাটির কামাক্ষ্যাগুড়িতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল ধূপগুড়ির ওই ব্যক্তির। মৃতের নাম মহম্মদ তমিতুদ্দিন। তিনি সোনাখালি চামরাগুদাম এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা বাড়ি ফিরল কফিনবন্দী দেহ।
পরিবার সূত্রে খবর, তমিতুদ্দিনের বাড়িতে দুই মেয়ে ও এক পুত্র ও স্ত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে এক মেয়ে বিবাহিত। পরিবারের দাবি, এখানে কাজ করে ঠিক মতো সংসার চলছিল না। সেই কারণে বাড়তি উপার্জনের আশায় দশদিন আগে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। সোমবার বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করছিলেন। আচমকাই অসাবধানবশত উপর থেকে নীচে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তমিতুদ্দিনের সঙ্গে থাকা কর্মীরাই পরিবারকে ফোন করে মৃত্যুর খবর দেয়। এরপরই মৃতদেহ আনার তৎপরতা শুরু হয়। গতকাল গভীর রাতে নিয়ে আশা হয় মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
গোটা ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতের ছেলে বলেন, “বাবা ওইখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। কালকে খবর পেলাম মারা গিয়েছে।এখন সংসারের পুরো দায়িত্ব আমার উপরে। আমিও কাজ করতাম। বাবা ভেবেছিল দুজন মিলে রোজগার করলে সংসার ভাল চলবে।”
সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয় তিন পরিযায়ী শ্রমিকের। অসাবধানবসত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মৃত্যু হয় তাঁদের। অপরদিকে, মিজোরামে সাইরাং এলাকায় নির্মীয়মাণ রেলব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয় ২৩ জন মালদহর শ্রমিকের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours