ডুরান্ডের ম্যাচের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গেট খোলা রাখছে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। অথচ গ্যালারিতে প্রবেশের সময় এক গেট দিয়ে ঢুকে আর এক গেটের গ্যালারিতে যেতে হচ্ছে। ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার সময় পর্যাপ্ত বাসের অভাব তো রয়েইছে।
Durand Cup: সেনা, পুলিশের বাড়বাড়ন্ত; যুবভারতী যেন সমর্থকদের জেলখানা!
আপনি ফুটবল ভালোবাসেন? আপনি খেলা দেখতে এসেছেন! আপনার কাছে টিকিট আছে! তা হলে মস্ত ভুল করে ফেলেছেন! যুবভারতীতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ভাবখানা এখন এইরকমই। ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2023) সেনাবাহিনীর আয়োজিত টুর্নামেন্ট। নিজেদের টুর্নামেন্টে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে সেনাবাহিনী। এরপর রয়েছে পুলিশের দাপাদাপি। যত দিন যাচ্ছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সমর্থকদের কাছে যেন জেলখানা হয়ে যাচ্ছে! ম্যাচ দেখতে গেলে এমনিতেই হাজারো ফতোয়া। এরপর রয়েছে সেনা আর পুলিশের চোখরাঙানি। সেনা আপনাকে একদিক দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে তো অন্য দিকে যেতে বলছে পুলিশ। আবার পুলিশ অন্য রাস্তা দেখলে সেখানে বাধা সেনাকর্মীরা। হাজারো ঝক্কি সামলে প্রিয় দলের খেলা দেখতে গ্যালারিতে ঢুকছেন সমর্থকরা। এত ঝক্কি কেন, বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।
আপনি কি নিজের গাড়ি নিয়ে যাবেন ভাবছেন? তা হলে কিন্তু নাকাল হতে হবে। দিনের পর দিন এমনটাই হচ্ছে। আপনার কাছে হয়তো ভিআইপি বা ৫নং গেটের টিকিট রয়েছে। আপনাকে গাড়ি পার্কিং করতে হচ্ছে ৪নং গেটের উল্টো দিকে। স্টেডিয়াম পাক খেয়ে যখন গ্যালারিতে ঢুকতে পারলেন, ততক্ষণে হয়তো মধ্য বয়স ছুঁতে চলেছে ম্যাচ! হাঁপাতে হাঁপাতে একরাশ টেনশন নিয়ে প্রিয় দলের খেলা দেখবেন বলে গ্যালারিতে ঢুকলেন ঠিকই, কিন্তু দেখলেন, গ্যালারিতে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। গ্যালারিতে ওঠার আগে দু’ধারে রাখা পানীয় জলের ডিসপেনসর। অর্থাৎ জল পান করার জন্য আবার আপনাকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে হাঁটতে হবে কিছুটা। গ্যালারিতে নেই কোনও পানীয় জলের পাউচ, প্যাকেট।
রয়েছে আরও একটি গুরুতর সমস্যা। যুবভারতীতে ছাতা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। টিকিটের পিছনেই সেই কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতেও ভিজেই গ্যালারিতে ছোটেন সমর্থকরা। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে প্লাস্টিক জাতীয় কোনও কিছুর আশ্রয় নিলেও, মাঠে ঢোকার সময় আপত্তি করে পুলিশ। বাধ্য হয়ে কাকভেজা অবস্থাতেই গ্যালারিতে ৯০ মিনিট কাটিয়ে দিতে হচ্ছে। গিয়েছিলেন প্রিয় দলের জয় দেখতে, দেখলেনও হয়তো, বোনাস হিসেবে বাড়ি ফিরলেন জ্বর নিয়ে। এ জ্বালা যে আর কেউ বোঝে না!
হয়রানির শিকার এক সমর্থক তো বলেই দিলেন, ‘পুলিশ কর্তব্য পালন করবেই। কিন্তু যুবভারতীতে পুলিশের আচরণ দেখে মনে হয়, আমরা যেন কয়েদি। ন্যায্য টিকিট থাকা সত্ত্বেও অদ্ভুত সব সমস্যায় পড়তে হয়। এরকম চললে তো মানুষ খেলা দেখতেই যাবে না। টিভিতেই শুধু চোখ রাখবে। দর্শক স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে যেখানে ফিফা জোর দিচ্ছে, সেখানে টুর্নামেন্ট আয়োজকদের কোনও খেয়ালই নেই।’
ডুরান্ডের ম্যাচের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গেট খোলা রাখছে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। অথচ গ্যালারিতে প্রবেশের সময় এক গেট দিয়ে ঢুকে আর এক গেটের গ্যালারিতে যেতে হচ্ছে। ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার সময় পর্যাপ্ত বাসের অভাব তো রয়েইছে। ফলে হয়রানির শেষ নেই। তাই ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান দুরন্ত খেললেও দর্শকদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours