নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এবং ইস্টবেঙ্গল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। এ দিন এফসি গোয়াও সেমিফাইনালে। চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। এই ম্যাচে জয়ী দলের বিরুদ্ধে খেলবে গোয়া।


গুয়াহাটি: প্রত্যাশা ছিল রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের। শেষ অবধি এক পেশে হয়ে দাঁড়াল। চলছে ডুরান্ড কাপের ১৩২তম সংস্করণ। তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নায়িন এফসি ও এফসি গোয়া। গুয়াহাটিতে গোয়ার দাপট। শুরুটা হল পুরো উল্টো। ম্যাচ শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় চেন্নায়িন এফসি। ইস্টবেঙ্গল থেকে লোনে সার্থক গোলুইকে সই করিয়েছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এই ক্লাব। নতুন সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনের পর ম্যাচেও নেমে পড়েছিলেন সার্থক। তাঁর নামা সার্থক হল না। চেন্নাইয়ের সঙ্গে শুরুটা হল দুঃস্বপ্নের। ম্যাচের পাঁচ মিনিটে কর্নার মুভ থেকে গোল করে চেন্নায়িনকে এগিয়ে দেন বিকাশ ইয়ামনাম। ১ গোলে এগিয়ে যাওয়া থেকে ১-৪ ব্যবধানে হার। প্রত্যাবর্তনের জয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল এফসি গোয়া। বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।


গ্রুপ পর্বে অনবদ্য পারফর্ম করেছে চেন্নায়িন। এ বারের টুর্নামেন্টে মাত্র দুটি দল গ্রুপ পর্বে সব ম্যাচেই জিতেছিল। তার মধ্যে একটি দল চেন্নায়িন এফসি। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া গ্রুপ পর্বে অপরাজিত ছিল। তারা যদিও সব ম্যাচ জেতেনি। নকআউটের ম্যাচ সবসময়ই স্নায়ুর চাপ ধরে রাখার পরীক্ষা। তাতে সফল এফসি গোয়া। এক গোল খেয়েও কাঁধ সোজা রেখেছে। পিছিয়ে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটো সুযোগ নষ্ট হয়। মার্টিনেজের শট ক্রসবারে লাগে। উদান্তও সুযোগ মিস করেন। অবশেষে সমতা ফেরান মোহনবাগানের প্রাক্তনী কার্ল ম্যাকহিউ। ম্যাচের ৩০ মিনিটে তাঁর গোলে অক্সিজেন পায় গোয়া।

ক্রমশ ছন্দ খুঁজে নেয় এফসি গোয়া। রক্ষণ মজবুত করে আক্রমণের পালা। শুরুতে সুযোগ নষ্ট হওয়া মার্টিনেজই দলকে এগিয়ে দেন। ৩৭ মিনিটে কার্লোস মার্টিনেজের গোলে এফসি গোয়া ২-১ এগিয়ে যেতেই কাউন্টার অ্যাটাক চেন্নায়িনের। বুমেরাং হয় সেই পরিকল্পনা। গোয়ার রক্ষণ ভাঙা সহজ নয়। চেন্নায়িন বারবার চেষ্টা করেও পারেনি। বরং শেষ দিকে এই কাউন্টার অ্যাটাক করতে গিয়েই নিজেদের ঘরে ভাঙন ধরে। অ্যাডেড টাইমে গোয়ার স্কোর শিটে নাম লেখান নোয়া সাদোই এবং ভিক্টর রডরিগজ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours