গ্রুপ পর্বে জাপান ছাড়া কারও কাছে গোল খায়নি ভারত। সেই জাপানকেই সেমিফাইনালে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল ভারতীয় দল। ফাইনালে ভারতের সামনে মালয়েশিয়া।
টুর্নামেন্টে অনবদ্য ছন্দে ছিল ভারত। ছিল অন্য কারণে লিখতে হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে চিনকে ৭-২ ব্যবধানে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে ভারত। কিন্তু পরের ম্যাচে এই জাপানের কাছেই আটকে গিয়েছিল। ভারতীয় শিবিরে এটা যেন বড় ধাক্কা ছিল। তার পরের ম্যাচ থেকে ফের ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। বাকি ম্যাচগুলিতেও জয়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪ গোলে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় দল। শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। অপরাজিত ভারত ট্রফি থেকে মাত্র এক ম্যাচ দূরে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
জাপানের বিরুদ্ধে এর আগের সাক্ষাতে ড্র করায় কিছুটা যেন অস্বস্তি ছিল ভারতীয় শিবিরে। প্রথম কোয়ার্টারেই পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। এ বারের টুর্নামেন্টে পেনাল্টি কর্নার থেকে এই ম্যাচের আগে সাতটি গোল করেছিলেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং। হার্দিক এবং তাঁর জুটিকে পেনাল্টি কর্নারের ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য দেখিয়েছে। কিন্তু এ দিনের প্রথম পেনাল্টি কর্নার বাঁচিয়ে দেয় জাপান। তাতেও অবশ্য সমস্যা হয়নি। এ দিন মাত্র দুটি পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। এর মধ্যে একটি গোল। সেটি নিঃসন্দেহে হরমনপ্রীত সিংয়ের।
সেমিফাইনালেও ক্লিন শিট বজায় রাখল ভারত। গ্রুপ পর্বে জাপান ছাড়া কারও কাছে গোল খায়নি ভারত। সেই জাপানকেই সেমিফাইনালে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল ভারতীয় দল। ফাইনালে ভারতের সামনে মালয়েশিয়া। এ দিন ভারতের হয়ে গোলের খাতা খোলেন আকাশদীপ সিং। হার্দিক সিং ও সুমিত জুটিতে গোলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। হার্দিকের শট প্রাথমিক ভাবে সেভও করেন জাপান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে গোল আকাশদীপের।
ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি হয় পেনাল্টি কর্নার থেকে। দ্বিতীয় কোর্য়াটারে ২-০ এগিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষ মুহূর্তে মনদীপের গোলে ৩-০ ভারত। ফাইনালে যাওয়া যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। তবে জাপানের বিরুদ্ধে গোল সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেনি ভারত। তৃতীয় কোয়ার্টারের মনপ্রীতের অনবদ্য ফিল্ড ওয়ার্কারে পর দর্শনীয় গোল সুমিতের। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। সেমিফাইনালে জাপানের বিরুদ্ধে আরও এক গোল বেশি। হরমনপ্রীতের এরিয়াল বল, সার্কেলে তা ধরেন সুখজিত। তিনিও গোলে শট নিতে পারতেন। তবে সুখজিতের চেয়েও ভালো পজিশনে ছিলেন স্থানীয় খেলোয়াড় কার্তি সেলভাম। তাঁকেই পাস করেন সুখজিত। কার্তির গোলে ৫-০ স্কোরলাইন ভারতের পক্ষে। শনিবার ফাইনালে ভারত বনাম মালয়েশিয়া।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours