ছেলেদের বিশ্বকাপের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপকেও ফুটবল দুনিয়ার আই ক্যাচিং ইভেন্ট করে তুলতে চাইছে ফিফা। সেই রাস্তায় যে হাঁটা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা ভালোই বুঝতে পারছেন ফিফার সর্বময় কর্তা।

FIFA Women's World Cup: ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে টিকিট বিক্রির বিশ্বরেকর্ড বিশ্বকাপেFIFA Women's World Cup: ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে টিকিট বিক্রির বিশ্বরেকর্ড বিশ্বকাপে

সিডনি: যে দেশ শুধু ক্রিকেটের, সে দেশ ফুটবলকে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছে। যে দেশ শুধু রাগবি কিংবা টেনিসের, সে দেশ দরজা খুলে দিয়েছে ফুটবলের জন্য। অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের খেলাধূলার মানচিত্রে মেয়েদের ফুটবল শহর, গ্রাম তো নয়ই পাড়া হবে কিনা বলা মুশকিল। এই এতদিনের ধারণা ভেঙে চুরে দিচ্ছে মেয়েদের নবম বিশ্বকাপ। ১৯৯১ সালে চিন থেকে যাত্রা শুরু। আরও এক বার ওই চিনেই পাত পেড়ে বসেছিল মেয়েদের বিশ্বকাপ ফুটবল (FIFA Women’s World Cup)। এই প্রথম অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে রীতিমতো সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে বিশ্বের সব সেরা টিম বিশ্বকাপে দাপিয়ে খেলছে। গ্রুপ পর্যায় থেকে প্রায় পা রাখা মেয়েদের এই বিশ্বকাপ থেকে ছুটি হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু টিমের। তাতে উত্তেজনা কমেনি। রোমাঞ্চ বরং আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। আর এ সব দেখে ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো (Gianni Infantino) অসম্ভব খুশি। ছেলেদের বিশ্বকাপের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপকেও ফুটবল দুনিয়ার আই ক্যাচিং ইভেন্ট করে তুলতে চাইছে ফিফা। সেই রাস্তায় যে হাঁটা শুরু হয়ে গিয়েছে, তা ভালোই বুঝতে পারছেন ফিফার সর্বময় কর্তা। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


আয়োজক দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মেয়েদের বিশ্বকাপে খেলেছে। নিউজিল্যান্ড নকআউটে যেতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়া শেষ-১৬তে পৌঁছে গিয়েছে। মাঠের হিসেব নিকেশে ঢুকছেন না ইনফান্তিনো। তাঁর বক্তব্য, ‘সমাজের কাছে ফুটবল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা খেলা। যে কোনও সম্প্রদায় এই খেলাকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু পেতে পারে। আর্থিক উন্নয়ন, শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণতা আর তৃপ্তি। বাচ্চাদের কাছে এই খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলের মধ্যে দিয়ে শেখা যায়, কী ভাবে টিম হিসেবে খেলতে হয়। সতীর্থদের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হয় কী ভাবে, কী ভাবে জিততে হয়, কী ভাবে হারতে হয়।’

মেয়েদের নবম বিশ্বকাপের সাফল্য নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দিহান নন ইনফান্তিনো। ‘এই টুর্নামেন্টটা চমৎকার এগোচ্ছে। আর আয়োজক দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড অসাধারণ কাজ করেছে। এই দুটো দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি অত্যন্ত গভীর। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটা বিশ্বকাপকে সফল করার যাবতীয় উদ্যোগ এই দুটো দেশ নিয়েছে।’


অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কানাডাকে ৪-০ উড়িয়ে নকআউটে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মেয়েদের বিধ্বংসী ফুটবল যে আরও বেশি করে দর্শকদের মাঠমুখী করে তুলেছে তা ভালোই বুঝতে পারছেন অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের সিই জেমস জনসন। তাঁর কথায়, ১৮ লক্ষ টিকিট বিক্রি হয়েছে মেয়েদের এই বিশ্বকাপ দেখার জন্য। গত বারের টিকিট বিক্রির সংখ্যা ছাপিয়ে নতুন এক রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। মেয়েদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিশ্চিত ভাবেই এটা একটা মাইলফলক।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours