August 2023

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের থেকে ছাড়পত্র না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্যে সমর্থন জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।



কলকাতা: আদালতের মামলার জটে আটকে রয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেই কথাই এদিন আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের থেকে ছাড়পত্র না আসা পর্যন্ত প্রাথমিকের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। পর্ষদ সভাপতির বক্তব্যে সমর্থন জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। রাজ্য সরকার ও রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে বরাবরই আগ্রহী, সেই কথাও এদিন স্পষ্ট করে দিলেন বোর্ডের সভাপতি গৌতম পাল। কিন্তু প্রাথমিক টেটের ২০১৪ সালের ব্যাচের চাকরিপ্রার্থী ও ২০১৭ সালের পরীক্ষার ব্যাচের চাকরিপ্রার্থীরা যে নিজেদের মধ্যেই আইনি লড়াইয়ে নেমে গিয়েছে, সেই কথাও বললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি।


প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বললেন, “সরকার চাকরি দিতে চাইছে। আমি দলে দলে প্রতিদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি। ২০১৪ সালের ব্যাচ আসছে। তারা বলছে, শুধু আমাদের দিন স্যর, ২০১৭ সালের ব্যাচকে দেবেন না। আবার ২০১৭ সালের ব্যাচও আসছে। তারা বলছে, স্যর শুধু আমাদের দিন, ২০১৪ সালের ব্যাচকে দেবেন না। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কোর্টে চলে যাচ্ছে। বোর্ডের বিরুদ্ধে নয়, বোর্ডকে পার্টি করা হচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি আরও বললেন, “সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে আমরা প্য়ানেল প্রকাশ করতে পারছি না। আশা করছি শীঘ্রই ছাড়পত্র পাবে।”

এরপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্যে সমর্থন জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। জানালেন, ” সুপ্রিম কোর্টের জন্য আমরা এখনও আটকে আছি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করব।” অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী উভয়েই এদিন আবারও বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য সরকার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে আগ্রহী, তাঁরা কেবল আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।


ম্যাচ শেষ, উন্মাদনা শুরু। সেটা গোয়া বনাম মোহনবাগান নিয়ে নয়। কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা ফুটছেন রবিবারের ম্যাচ নিয়ে। ফাইনালে ফের কলকাতা ডার্বি। মরসুমে দ্বিতীয়, একই টুর্নামেন্টে। উত্তেজনা চরমে পৌঁছনোই স্বাভাবিক।


কলকাতা: কয়েকদিন আগের কথা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চলছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। যে জিতবে, তাদের মুখোমুখি হতে হবে। টিম কলকাতা আসার আগেই গুয়াহাটি থেকে এখানে পৌঁছে যান এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। সরাসরি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। সঙ্গে সহকারী কোচ। ম্যাচের মাঝপথেই বুঝে যান, তাদের সম্ভাব্য় প্রতিপক্ষ মোহনবাগান। সেখান থেকেই হোমওয়ার্ক শুরু। আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফাইনালের টিকিটের লক্ষ্যে নেমেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও এফসি গোয়া। ম্যাচ শেষে অবশ্য় কোনও হোমওয়ার্ক কাজে এল না। বিতর্ক একটা থাকলই। আর তা নিয়েই বিস্ফোরণ এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কুয়েজের। বিস্তারিত জেনে নিন-এর এই প্রতিবেদনে।


ম্যাচের বয়স তখন ৩৮ মিনিট। বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে এগোচ্ছিলেন মোহনবাগানের উইঙ্গার আশিক কুরুনিয়ান। তাঁকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করেন এফসি গোয়ার ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত। সামলাতে না পেরে আশিকের পায়ে মারেন। যদিও সেই কনট্যাক্ট হয়েছে বক্সের বাইরে। কড়া ট্যাকলে বক্সের ভেতরে পড়েন আশিক। ফ্রি-কিক নাকি পেনাল্টি এই নিয়ে রেফারি এবং সহকারী রেফারির মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে সমতা ফেরানোর গোল করেন জেসন কামিন্স। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।

ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। মুখ খুলব কি খুলব না করে বিস্ফোরক মন্তব্য এফসি গোয়ার স্প্যানিশ কোচের। বলছেন, ‘রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এটাই ভারতীয় ফুটবল। ভারতে প্রথম কোচিং করাচ্ছি না। এর সঙ্গে আমরা পরিচিত। এ আর নতুন কী! পুরোটাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা। শুধু এই ম্যাচ কেন, আইএসএল ফাইনালেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সুবিধা পেয়েছিল মোহনবাগান।’

এর আগে এফসি গোয়ার কোচ ছিলেন ফেরান্দো। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে রেফারিং কিংবা তাদের বর্তমান কোচ মার্কুয়েজের মন্তব্য নিয়ে ভাবছেন না মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। পেনাল্টি সিদ্ধান্ত প্রশ্নে বলছেন, ‘রেফারির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলতে চাই না। গোয়া কোচের অনেক কিছু মনে হতেই পারে। গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদেরও জনি কাউকো চোট পেয়েছিল ট্যাকেলে। সে বারও রেফারি সেটা ফাউল মনে হয়নি। আমরা এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। এই ম্যাচেও তাই পেনাল্টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাই না।’

ম্যাচ শেষ, উন্মাদনা শুরু। তবে সেটা গোয়া বনাম মোহনবাগান নিয়ে নয়। কলকাতার ফুটবল সমর্থকরা ফুটছেন রবিবারের ম্যাচ নিয়ে। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ফের কলকাতা ডার্বি। মরসুমে দ্বিতীয় বার, একই টুর্নামেন্টে ফের ডার্বি। উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছনোই স্বাভাবিক।

 ১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি শিবিরগুলিতে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। তারপর ১৮ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে পরিষেবা প্রদান পর্ব।

Duare Sarkar: কাল থেকে আবার দুয়ারে সরকার, থাকছে একগুচ্ছ নতুন পরিষেবা
দুয়ারে সরকার (ফাইল ছবি)

কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা আমজনতার কাছে আরও সহজে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে সপ্তম দফার দুয়ারে সরকারের শিবির। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেমবর পর্যন্ত, অর্থাৎ গোটা মাস জুড়ে চলবে দুয়ারে সরকারের শিবির। ১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি শিবিরগুলিতে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। তারপর ১৮ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে পরিষেবা প্রদান পর্ব। সপ্তম পর্যায়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জন্য মোট ৫ লাখ শিবিরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাজ্যজুড়ে।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। অতীতের ছ’টি পর্যায়ে সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি মানুষের আবেদন জমা পড়েছে দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন শিবিরগুলিতে। তার মধ্যে ৭ কোটি ২০ লাখের বেশি আবেদনের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সফলভাবে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এবারের সপ্তম পর্যায়ের দুয়ারে সরকারের জন্য স্থায়ী শিবিরের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান শিবিরের বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। মোট শিবিরের ৩৬ শতাংশই হল ভ্রাম্যমান শিবির। মূলত, যেসব জায়গায় মানুষ যেতে পারেন না, সেই সব জায়গার জন্য মোবাইল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এবারের দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে সাধারণ মানুষের কাছে মোট ৩৫টি আলাদা আলাদা সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি নতুন পরিষেবাও যুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বার্ধক্য ভাতা, পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণ, উদ্যম পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণ এবং হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের নাম তালিকাভুক্তিকরণ। সপ্তম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জন্য ১৭টি পৃথক নোডাল বিভাগ করা হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদারকির দায়িত্বে থাকবেন ৪১ সিনিয়র আইএএস অফিসার।

বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল নওশাদকে। হাসিমুখে বেরলেন ভবানীভবন থেকে। শরীরী ভাষায় বেশ আত্মবিশ্বাসী মেজাজ।


কলকাতা: প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে সিআইডি গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি। শেষে সন্ধে সাতটা নাগাদ ভবানীভবন থেকে বেরলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। রাজু নস্কর খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নওশাদকে ডেকে পাঠান সিআইডি অফিসাররা। সোমবার একপ্রস্থ তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। তারপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এদিন ফের তলব। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল নওশাদকে। হাসিমুখে বেরলেন ভবানীভবন থেকে। শরীরী ভাষায় বেশ আত্মবিশ্বাসী মেজাজ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, ভিতরে সিআইডি গোয়েন্দারা তাঁকে ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন। বললেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমি কীভাবে যুক্ত, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করলেন। তবে বিচারাধীন বিষয়ে সবকিছু তো বলা যায় না।’


তবে আত্মবিশ্বাসী সুরে নওশাদ বললেন, “আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে, এমন কোনও কথা তো আমি আজ পর্যন্ত ইশারা-ইঙ্গিতেও কখনও বলিনি। ভয় পাওয়ার কী আছে! আমাকে মূল অভিযুক্ত করেছিল। সিআইডি তদন্তভার নিয়েছে। শেষে দেখবেন, সিআইডি আমার নামটা কেটে উড়িয়ে দেবে।” নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, এদিন তাঁকে বেশ কিছু নতুন প্রশ্ন করা হয়েছিল। আবার পুরনো অনেক প্রশ্নও করা হয়েছে। বলছেন, “এতটা সময় বসিয়ে রাখতে হবে, কিছু তো করতে হবে ওদের। সিআইডি নিয়ে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যে সিআইডি চলছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।”

এদিন সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষের সুরে ধন্যবাদ জানালেন নওশাদ। বললেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব। আমি লালবাজার সম্পর্কে জানতাম না, ওনার সৌজন্যে জেনেছি। গোয়েন্দা বিভাগ সম্পর্কে জানতাম না, প্রেসিডেন্সি জেল সম্পর্কে জানতাম না। এখন জেনেছি। সিআইডির কথাও ছোটবেলা থেকে শুনতাম। কী জিনিস সিআইডি, খায় না মাখে, তা এখন জানতে পারছি।’


একইসঙ্গে তিনি আরও বললেন, ‘আমাদের রাজ্যে সবাই ভাল, এদের উপর চাপ না দিলে এরা ভাল করবে। আমাদের রাজ্যে সিআইডি, ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে অফিসারের অভাব আছে, যাঁরা আছেন তাঁদের ১৬-১৮ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। আমাদের কষ্ট হচ্ছে।’



গ্যালারিতে পোস্টার 'এই মাঠেই বদলা নেব'। ততক্ষণে সমর্থকরাও বুঝতে পেরেছেন, ফাইনালে ডার্বি এখন সময়ের অপেক্ষা। মোহনবাগান গোলরক্ষক সেই স্বপ্নকে প্রাণপনে ধরে রাখেন। শেষ দিকে তাঁর একটি দুরন্ত সেভ। রবিবার ফের ডার্বি।


ফুটবল সমর্থকরা এমনটাই চেয়েছিলেন। রবিবারের বিকেল, কানায় কানায় পূর্ণ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, আর মাঠে কলকাতা ডার্বি। আর কী চাই! সবসময় চাওয়া-পাওয়া মিলে যাবে তা নয়। মন থেকে চাইলে, অনেক সময়ই পাওয়া যায়। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মোহনবাগান শুরু থেকেই দুর্দান্ত। মুম্বই সিটি এফসির মতো দলকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল সবুজ মেরুন। ভয় ছিল আত্মতুষ্টির। প্রথমার্ধের মাঝপথে যেন তাই হল। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে যেন সম্বিৎ ফিরে পেয়েছিলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা। শেষ অবধি ফাইনাল নিশ্চিত। এফসি গোয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ডুরান্ডে স্বপ্নের ফাইনাল নিশ্চিত করল সবুজ মেরুন শিবির। ২০০৪ সালের পর ফের ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


দুরন্ত ছন্দে থাকা হুগো বোমাস এমন ভুল করবেন এ যেন কল্পনার বাইরে। ডান দিকে পাস করেন বল। তাও এফসি গোয়ার প্লেয়ার নোয়ার দিকে! বক্সের কাছাকাছি প্রতিপক্ষ ফুটবলারের থেকে এমন সাজানো পাস! কোনও প্লেয়ারই গোল করতে ভুল করবেন না। তাও আবার নোয়া ওয়েলের মতো ফুটবলার যিনি এফসি গোয়ার গত মরসুমে সর্বাধিক স্কোরার ছিলেন। এ বারের ডুরান্ডে আধডজন গোল। ২৩ মিনিটে নোয়ার গোলে গোয়া এগিয়ে যেতেই মোহনবাগান ফুটবলাররা মেজাজ হারাতে শুরু করেন। বল কাড়তে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে মেরে কার্ড দেখেন অনিরুদ্ধ থাপা। ওয়াটার ব্রেকের আগেই একটি সুযোগ আসে মোহনবাগানের কাছে। তাড়াহুড়ো টার্গেটে শট রাখতে পারেননি দিমিত্রি পেত্রাতোস।

মোহনবাগান সমর্থকরা এসেছিলেন, দলের আরও একটা জয় দেখতে। মরসুমের প্রথম ডার্বি হারের জ্বালা। টানা আটটি ডার্বি জয়ে যে আনন্দধারা বয়েছিল, একটা হারে সেই উচ্ছ্বাসের বেলুন চুপসে গিয়েছিল। এফসি গোয়াকে হারালে আরও একটা ডার্বি। সেখানে বদলা নেওয়া যাবে। কিন্তু ২৩ মিনিটের সেই গোল গ্যালারিকে নির্বাক করে দেয়। ৩৮ মিনিটে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক। গোয়া ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত ট্যাকল করেছিলেন আশিক কুরুনিয়ানকে। ট্যাকলের পয়েন্ট বক্সের বাইরে এবং আশিক পড়েন ভেতরে। পেনাল্টি না ফ্রি-কিক, এই নিয়ে নাটক। রেফারি পেনাল্টি দেন। ৪২ মিনিটে বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স স্পটকিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান। এফসি গোয়া গোলকিপার ধীরজ বাঁ দিকে ডাইভ দেন, কামিন্সের শট ছিল ডান দিকে। প্রথমার্ধে এফসি গোয়ার বল পজেশন ৬৪ পারসেন্ট, মোহনবাগান মাত্র ৩৬। বিরতিতে ১-১ স্কোরলাইন।

এবার মালদার ছায়া এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার গোপালনগর পঞ্চায়েত এলাকায়,

একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এসে মারধর করার পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠলো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে,
 কয়েক ঘন্টা ধরে প্রকাশ্যে বেঁধে রাখার পর খবর যায় পাথরপ্রতিমা থানায়,পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। অভিযোগের তির স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা মহিলা একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রী ছিলেন। সেই গোষ্ঠী থেকে বাকি সদস্যদের অন্ধকারে রেখে কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। পরে বাকি সদস্যরা জানতে পারার পর ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকেন,২৯ শে আগস্ট মঙ্গলবার সকালে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সভানেত্রীর বাড়িতে চড়াও হয়। বচসা শুরু হয়। এরমধ্যে সভানেত্রীর স্বামী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলাকে চড় মারেন বলে অভিযোগ, এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’‌পক্ষই থানায় মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে, ইতিমধ্যে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ,

 স্টাফ রিপোর্টার মুন্না সরদার


গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৪-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের দপ্তরে,উপস্থিত জেলাশাসক ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী 

আগস্ট মাস শেষ হতেই শুরু হলো গঙ্গাসাগর মেলার তোরজোড়। ৩১শে আগস্ট বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক সহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক হল কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের দপ্তরে। এদিন ওই বৈঠকের উপস্থিত ছিলেন,সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা,কাকদ্বীপের মহাকুমার শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা,সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিন বৈঠকে মূলত গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গন ও মুড়িগঙ্গা নদীর চর নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। এছাড়াও অক্টোবর মাস থেকে গঙ্গাসাগরের ভেঙে যাওয়া সমুদ্র সৈকতের কাজ শুরু হবে। তবে ২০২৪-এর গঙ্গাসাগর মেলায় অতীতের মত সব ব্যবস্থাই থাকছে,

এদিন কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের দপ্তরে ২০২৪-এর গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠক শেষে কাকদ্বীপ ডট কমের ক্যামেরার সামনে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা কি বললেন শুনুন

এদিন কাকদ্বীপের মহকুমা শাসকের দপ্তরে ২০২৪-এর গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠক শেষে কাকদ্বীপ ডট কমের ক্যামেরার সামনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা কি বললেন শুনুন

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

পূর্ণিমা তিথিতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ষাঁড়াষাঁড়ির কটাল। এই কটালের জেরে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে অস্বাভাবিক জলস্তর বৃদ্ধি পাবে বলে 


পূর্বাভাস দিয়েছে সেচ দপ্তর, ৩১শে আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন দিন শনিবার পর্যন্ত কাকদ্বীপ ও সাগরের কচুবেড়িয়ার LCT ঘাট থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর এইটের মধ্যে চলাচলকারী LCT-পরিষেবা বন্ধ থাকার নোটিশ দেওয়া হয়েছে,এই LCT গুলিতে বিভিন্ন রকম গাড়ি পারাপার করানো হয়। তবে সাধারণ যাত্রীদের জন্য সাগরের কচুবেড়িয়ার ভেসেল ঘাট থেকে ভেসেল পরিষেবা চালু থাকবে। অন্যদিকে জলস্তর বৃদ্ধির ফলে আতঙ্কিত সুন্দরবনের নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, মথুরাপুরের নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বেহাল বাঁধ উপচে আবারও নোনা জলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই কটাল মোকাবিলার জন্য সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজারা, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা সহ আধিকারিকরার গত শনিবার জরুরী বৈঠক করেছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সেচ দপ্তরের কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে,

সাগরের কচুবেড়িয়ার LCT ঘাট থেকে LCT পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দপ্তরের সাগর ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অর্পণ দাস

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মণ্ডল


সাগরের রুদ্রনগর ব্লক বাজারে রাখি বন্ধন উৎসব উদযাপনে উপস্থিত হলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে ও সাগর ব্লক প্রশাসন এবং সাগর পঞ্চায়েত সমিতির ব্যবস্থাপনায় ৩০ শে আগস্ট বুধবার সাগরের রুদ্রনগর  ব্লক বাজারে রাখি বন্ধন উৎসব উদযাপনে উপস্থিত হলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী,বুধবার সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল, সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি, সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি স্বপন কুমার প্রধান সহ অন্যান্যরা সেই ছবি আপনারা যদি দেখতে পাচ্ছেন কাকদ্বীপ ডট কমের ক্যামেরার মাধ্যমে

স্টাফ রিপোর্টার সৌরভ মন্ডল

উড়ান শুরুর মাত্র ২০ মিনিটের মধ্য়েই বিমানের ইঞ্জিনে দেখা যায় গোলযোগ। একটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার সংকেত পাওয়া মাত্রই চিন্তা বাড়ে পাইলটের।
Kolkata Airport: মাঝ আকাশে বিকল ইঞ্জিন, উড়ান শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে ফের কলকাতায় অবতরণ বিমানের

কলকাতা: সব ঠিকঠাকই ছিল। টিকিট দেখিয়ে প্লেনে চড়েও বসেছিলেন যাত্রীরা। ২.২৯ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে উড়ে গিয়েছিল ইন্ডিগোর বিমান ৬ই৪৫৫। কিন্তু, মাত্র ২০ মিনিটের মধ্য়েই বিমানের ইঞ্জিনে দেখা যায় গোলযোগ। একটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার সংকেত পাওয়া মাত্রই চিন্তা বাড়ে পাইলটের। বিপদের গন্ধ পেয়ে তড়িঘড়ি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।


কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয়। সেই মতো ২টো ৫০ মিনিটে কলকাতার এটিসি অনুমতি দিলে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের তোড়জোড় শুরু হয়। সূত্রের খবর, সেই সময় বিমানের মাত্র একটি ইঞ্জিন ঠিকঠাকভাবে কাজ করছিল। একটি ইঞ্জিনের সাহায্যেই দুপুর মিনিটে বিমানটি অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। ততক্ষণে বিমানবন্দরেও তৈরি রয়েছেন জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মীরা। বিমানে সেই সময় রয়েছেন ২১৬ জন যাত্রী ৬ জন কেবিন ক্রু। ঘটনার খবর চাউর হতেই সকল যাত্রীর মধ্যে দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনাতে থাকে।



বাংলার আমজনতার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনও গানকে 'রাজ্য সঙ্গীত' করতে পারে সরকার। এমনই শোনা যাচ্ছিল। সূত্রের খবর, এদিনের আলোচনা বারবার উঠে আসে রবীন্দ্রনাথের লেখা, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কথা।

West Bengal State Song: বাংলার রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে মতামত চাইলেন মমতা, ‘বাংলার মাটি' গানের শব্দ বদল নিয়েও ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ দিবসের দিনক্ষণ নিয়ে চলছে চাপানউতর। এদিনই নবান্নে ডাকা হয়েছিল সর্বদলীয় বৈঠক। সেখানে নিজেদের মতামত রাখেন রাজ্যের বিশিষ্টজনেরা। ৭ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে ফের আলোচনার কথা বিধানসভায়। তারপরই বিল পেশের সম্ভাবনা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) দিবসের পাশাপাশি রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে ভাবনা শুরু করেছিল রাজ্য। বাংলার আমজনতার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনও গানকে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ করতে পারে সরকার। এমনই শোনা যাচ্ছিল। সূত্রের খবর, এদিনের আলোচনা বারবার উঠে আসে রবীন্দ্রনাথের লেখা, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কথা। 


আলোচনার একদম শেষ পর্বে সকলে উঠে দাঁড়িয়ে সমবেত সুরে গেয়েও ওঠেন গানটি। প্রসঙ্গত, এই গানের মধ্য়ে রয়েছে, ‘বাঙালির পণ, বাঙালির আশা, বাঙালির কাজ, বাঙালির ভাষা– সত্য হউক, সত্য হউক, সত্য হউক হে ভগবান। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন– এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান’ এর মতো শব্দ। এখানেই মমতা বাঙালি বদলে বাংলা করা যায় কি না, তা নিয়ে বলেন। তাঁর যুক্তি, স্বাধীনতার আগে বাঙালি মানে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই, সামগ্রিক জাতির, গোটা দেশের বিষয় ছিল। এখন সেটা একটা শুধু বাংলা বোঝায়। বাঙালি জাতি বোঝায়। তাই তাঁর যুক্তি বাংলা করে দেওয়ার পক্ষে। যদিও তাঁর যুক্তিতে বাকিরা নীরব থাকলেও আপত্তি তোলেন এসএউসিআই -র প্রতিনিধি অমিতাভ চক্রবর্তী।



পুজোর মরশুম মানেই বেড়াতে যাওয়ার পালা। ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম পছন্দের স্থান উত্তর ভারত। অনেকের আবার প্রথম পছন্দ গঙ্গা তীরবর্তী বারাণসী, হরিদ্বার। কিন্তু, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ।

Train cancelled: পুজোর মুখেই বাতিল একগুচ্ছ এক্সপ্রেস ট্রেন, দেখে নিন তালিকা
প্রতীকী ছবি

কলকাতা: সামনেই পুজোর মরশুম। আর পুজোর মরশুম মানেই বেড়াতে যাওয়ার পালা। ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম পছন্দের স্থান উত্তর ভারত। অনেকের আবার প্রথম পছন্দ গঙ্গা তীরবর্তী বারাণসী, হরিদ্বার। কিন্তু, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। লখনউ শাখার (Lucknow division) বারাণসী লাইনে একাধিক ট্রেন বাতিল হতে চলেছে। অনেক ট্রেনের রুট বদলও করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ থেকেই ট্রেনের এই সমস্যা শুরু হচ্ছে। এটা চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। মঙ্গলবার নর্দান রেলওয়ের (Northern railway) তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ফলে যাঁরা পুজোর মুখে হরিদ্বার-বারাণসী বেড়াতে যাওয়া বা পুজোর আগেই ওই দিকের বিশেষ কাজ মিটিয়ে ফেলার কথা ভাবছেন, তাঁরা দেখে নিন কবে, কোন ট্রেন বাতিল থাকছে।


নর্দান রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের শেষ থেকেই লখনউ শাখার বারাণসী লাইনে রেললাইনে কাজ শুরু হচ্ছে। রেললাইনের সংস্কার, সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নতি করা থেকে দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেন চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য রেললাইন উন্নীত করা হবে। রেললাইনের প্রি-ইন্টারলকিং/নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজও হবে। বারাণসী স্টেশনের সামগ্রিক উন্নীতকরণ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে প্ল্যাটফর্ম-সহ সামগ্রিক ব্যবস্থার যোগ ঘটানো হবে। এই সমস্ত কাজের জন্যই চলতি মাসের শেষদিন থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বারাণসী শাখায় ট্রেন চলাচলে কিছু ট্রেন বাতিল এবং কিছু ট্রেনের রুট বদল করা হচ্ছে।

কোন-কোন ট্রেন বাতিল হচ্ছে, দেখে নেওয়া যাক একনজরে

অভিযোগ ছিল, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে মিডল্যান্ড নার্সিংহোম জানিয়ে দেয় যে ওই রোগী কোভিড আক্রান্ত, ফলে তাদের পক্ষে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

Calcutta High Court: বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছিল যুবকের, নার্সিংহোমকে ৫ লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ বহাল হাইকোর্টে
প্রতীকী ছবি।

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছিল ব্যাপকভাবে। করোনা রোগীকে নিয়ে ছুৎমার্গের জেরে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগও উঠেছিল একাধিকবার। সেই সময়ই এক ১৮ বছরের যুবকের মৃত্যুতেও ওঠে একই অভিযোগ। কার্যত হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা পাননি ওই অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমিশন নার্সিংহোমকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আদালতও এবার সেই নির্দেশ বহাল রাখল।


মূল অভিযোগ উঠেছিল মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে ওই নার্সিংহোমেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়কে। অভিযোগ ছিল, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে মিডল্যান্ড নার্সিংহোম জানিয়ে দেয় যে ওই রোগী কোভিড আক্রান্ত, ফলে তাদের পক্ষে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। অগত্যা রোগীর পরিবার তাঁকে নিয়ে অন্য হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়। সেখান থেকেও ফিরতে হয় তাঁদের। মোট তিনটি হাসপাতালে ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি। পরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত্যুর পর জানা যায়, আদৌ করোনা আক্রান্তই ছিলেন না ওই যুবক। শুভ্রজিতের মৃত্যু কার্যত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল।


সেই ঘটনার জেরেই মিডল্যান্ড নার্সিংহোমকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টে সেই মামলা উঠলে স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশই বহাল রেখেছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য


আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। অপরদিকে, একটি অক্ষরেখা রয়েছে কর্ণাটক থেকে তামিলনাড়ু হয়ে কোমোরিন এলাকা পর্যন্ত অবস্থান করছে।


Weather Update: বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে, কোন-কোন জেলা ভাসবে জানাল আবহাওয়া অফিস
কেমন থাকবে আবহাওয়া?

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে গরম পড়েছে। বেড়েছে অস্বস্তিও। তবে গরম কাটতে এখনই আশার কোনও আলো দেখাতে পারলেন না আবহবিদরা। তবে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। অপরদিকে, একটি অক্ষরেখা রয়েছে কর্ণাটক থেকে তামিলনাড়ু হয়ে কোমোরিন এলাকা পর্যন্ত অবস্থান করছে।

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে শনিবার থেকে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মালদা-উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে।

দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম,মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। আগামিকাল সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। অপরদিকে, শুক্রবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উপকূলের জেলায়। শনিবার থেকে মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস।

কলকাতায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে তাপমাত্রা। বাতাসে বাড়বে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি।দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে থাকায় অস্বস্তি অনেকটাই বাড়বে। শনিবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে।কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৮ থেকে ৯১ শতাংশ।

 প্রতিবেশীরা জানান,ওই যুবকরা নিজেদের মধ্যেই কথাবার্তা বলতো। মাঝেমধ্যে পিঠে ব্যাগ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। দুটো বাইকও ছিল তাদের।

Dacoity At Gold Shop: এক মাস ধরে কল্যাণীর ভাড়া বাড়িতে থেকে রেইকি! রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতিতেও বিহার যোগ
রানাঘাটের ডাকাতিতেও বিহার যোগ

নদিয়া: স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার রানাঘাটের আউটলেটে ডাকাতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা কল্যাণীর বি ব্লকের এগারো নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মাস খানেক আগে ওই বাড়ির দুটো ঘর ভাড়া নিয়ে তারা থাকছিল। কী কাজ করত, তা সম্পর্কে কোনও সম্যক ধারণা কারোর কাছেই ছিল না। প্রতিবেশীরা জানান,ওই যুবকরা নিজেদের মধ্যেই কথাবার্তা বলতো। মাঝেমধ্যে পিঠে ব্যাগ নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। দুটো বাইকও ছিল তাদের।


স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার রানাঘাটের আউটলেটে যে সময়ে ডাকাতি হয়েছে, তার ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানেই পুরুলিয়ার আউটলেটেও ডাকাতি হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এক্ষেত্রে ‘মোডাস অপারেন্ডি’ অর্থাৎ অপরাধের যে ধরন এক। রানাঘাটের ডাকাতিতে যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তারা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। স্পষ্ট হয়েছে বিহার যোগ। বিহারের হাজিপুরে একটা গ্যাঙ সক্রিয়। এই গ্যাঙ মূলত স্বর্ণ বিপণি সংস্থাগুলোকেই টার্গেট করে। তারা মূলত সোনার দোকানেই ডাকাতি করে। ধৃতরা সেই গ্যাঙেরই সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে। এখানে দাঁড়িয়েই তদন্তকারীরা এটাও মনে করছেন, পুরুলিয়ার ঘটনাও কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।


তদন্তকারীরা বলছেন, এই গ্যাঙগুলো যখন কোনও রাজ্যে তাদের ‘অপারেশন’ চালায়, তখন একাধিক স্বর্ণ বিপণি সংস্থাকে টার্গেট করে। একই সময়ের একাধিক কিংবা এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে পরপর দু-তিনটি সোনার দোকানে লুঠ চালিয়ে তারা চম্পট দেয়। সেই ‘মোডাস অপারেন্ডি’ এক্ষেত্রেও কাজ করছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই গ্যাঙ গত কয়েক বছর ধরে এই রাজ্যে সক্রিয়। আপাতত পুরুলিয়ায় সোনার দোকানের ডাকাতিতে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ২ চামচ অ্যালোভেরা জেলে মধু মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিটের জন্য দাগের উপর এটি প্রয়োগ করুন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। উপকার পাবেন।
Dark Spot: মুখ ভরেছে কালো দাগে? ভরসা রাখুন ঘরোয়া কিছু উপায়ে
কালো দাগছোপের প্রতিকার

অনেকের মুখেই কালো দাগছোপ দেখা যায়। এই ধরনের কালো দাগ দেখতে মোটেই ভাল দেখায় না। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন থেকে শুরু করে ত্বকের সমস্যা নানা কারণে এই সমস্যা হয়। অনেকে এই দাগ দূর করতে রাসায়নিক পণ্যও ব্যবহার করেন। কিন্তু এসব পণ্য ত্বকের দীর্ঘমেয়াদে অনেক ক্ষতি করে। অনেক সময় এতে দাগের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তবেকিছু প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করে আপনি এই দাগের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এর জন্য আপনি পেঁপে, টমেটো এবং হলুদের মতো অনেক ধরনের জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। দাগ দূর করার পাশাপাশি এস উপাদান মুখে উজ্জ্বল আভা আনতেও সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই কোন প্রাকৃতিক উপায়ে এই দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

টমেটো এবং পেঁপে ব্যবহার করুন- একটি টমেটো নিন। এর পেস্ট তৈরি করুন। টমেটো পেস্টে পেঁপের টুকরো মেশান । এবার টমেটো ও পেঁপের পেস্ট মুখে লাগিয়ে নিন। এবার আঙুল দিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এই পেস্টটি অন্তত ২০ মিনিটের জন্য ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এর পর ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে দুইবার এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।




টিকিট না পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন লাখো ক্রিকেট প্রেমী। এত দ্রুত কী করে টিকিট শেষ হয়ে যায়, কারা টিকিট পেল, সেই ভাগ্যবান কারা, এই নিয়েও নানা পোস্ট ঘুরতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

CWC 2023, IND vs PAK: ভারত-পাক টিকিট যেন শুরুর আগেই শেষ...! অনেকেই বলছেন 'স্ক্যাম'

নয়াদিল্লি: আজ শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। ২ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তারই অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমীরা। সব কিছু ঠিক থাকলে এশিয়া কাপে একাধিক বার মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান। এই ম্যাচ ঘিরে সারা বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের উত্তেজনা থাকে। এর পাশাপাশি ক্রিকেট অনুরাগীরা ভুলছেন না বিশ্বকাপের কথাও। ভারতের মাটিকে ওয়ান বিশ্বকাপ। অপেক্ষার প্রহর চলছে। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। আইসিসি টুর্নামেন্টে এক দশক কোনও ট্রফি নেই। এ বারও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ফেভারিট টিম ইন্ডিয়াই। ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে বাড়তি আকর্ষণ সেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হবে সেই ম্যাচ। আর তার টিকিট নিয়েই ক্ষোভ। বিস্তারিত জেনে নিন


বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে রয়েছে বুক মাই শো নামক একটি সংস্থা। তারাই নির্দেশিকা দিয়েছিল ২৯ অগস্ট, সন্ধে ৬টায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ভার্চুয়াল জগতেও লাইন দিতে হয়। যারাই টিকিটের চেষ্টা করেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে আদৌ কারা টিকিট কাটতে পেরেছেন, এ নিয়ে প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। টিকিটের লাইনে ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও নাকি টিকিট পাননি। এমন অভিযোগও করেছেন অনেকেই

জেলে ইমরান খানের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সেল হোয়াইটওয়াশ করা হয়। মেঝেতে সিমেন্ট করা হয়েছে, সিলিং ফ্যানও বসানো হয়েছে।

Imran Khan: ঘি-তে রোজ রাঁধা হচ্ছে চিকেন-মাটন, সেলে বসেছে এয়ার কুলার! রাজার হালে সাজা ভোগ ইমরানের
ফাইল ছবি।

লাহোর: তোশাখানা মামলায় জামিন পেলেও জেলেই থাকতে হচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান(Imran Khan)-কে। সাইফার মামলায় বিস্ফোরক বয়ান দেওয়ার পরই মঙ্গলবার ফের গ্রেফতার হন ইমরান। জেলে থাকলেও, রাজার হালেই রয়েছেন তিনি। ৯ বাই ১১-র প্রিজন সেলে রয়েছেন ইমরান, সেখানে তাঁর জন্য দামি কমোড বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে এয়ার কুলারেরও। খাওয়া-দাওয়ায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ঘিয়ে চিকেন ও মাটন রান্না করা হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য লাগোয়া ব্যারাকও ফাঁকা রাখা হয়েছে।


পাকিস্তানের আটক জেলে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান। ‘হাই প্রোফাইল বন্দি’ হওয়ায় জেলে তাঁকে কী কী পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে জানতে চেয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। জেল প্রশাসনের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই ইমরানের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থার তথ্য় উল্লেখ করা হয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আটক জেলের সবথেকে সুরক্ষিত অংশ হল ব্লক-২। সেখানে চারটি সেল ফাঁকা রাখা হয়েছে, সেগুলিকে হাই অবজারভেশন ব্লক হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলে ইমরান খানের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সেল হোয়াইটওয়াশ করা হয়। মেঝেতে সিমেন্ট করা হয়েছে, সিলিং ফ্যানও বসানো হয়েছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য জেলের শৌচাগার বাড়িয়ে ৭ ফুট বাই ৪ ফুট করা হয়েছে। পাঁচিলেরও উচ্চতা বাড়িয়ে ৫ ফুট করা হয়েছে। বাথরুমে দরজাও বসানো হয়েছে।

শুধু এই নয়স ইমরানের জন্য খাট-তোশক দেওয়া হয়েছে, আনা হয়েছে এয়ার কুলার। রাখা হয়েছে একটি টেবিল-চেয়ার। নমাজ পড়ার জন্য বিশেষ ম্যাটও দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরান রয়েছে ইমরানের সেলে। সেই সঙ্গে ইসলামিক ইতিহাসের ২৫টি বই দেওয়া হয়েছে পড়ার জন্য। প্রতিদিন সকালে তার সেলে পৌঁছে যায় খবরের কাগজ।

জেলে ইমরানের উপরে যাতে কোনও হামলা না হয়, তার জন্য ৫০ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ মণিপুরের কুকি-জু গ্রামে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা।

Manipur Violence: ফের সংঘর্ষে উত্তাল মণিপুর, রাতের অন্ধকারে হামলা কুকি-জু গ্রামে, মৃত কমপক্ষে ১

ইম্ফল: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হল উত্তর-পূর্বের রাজ্যে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মণিপুরের খোইরেনটাক গ্রামে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, তল্লাশি অভিযানে বিভিন্ন সংগঠনের চারজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ মণিপুরের কুকি-জু গ্রামে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা। গুলি লেগে মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়সী জাঙ্গমিনলুন গাঙ্গটে নামক এক স্থানীয় বাসিন্দার। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। পূর্ব ইম্ফল ও বিষ্ণুপুর জেলা থেকে চারজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলবার। তারা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।


এর আগে রবিবার, মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ওই দিনই রাত দুটো নাগাদ রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ডিরেক্টর কে রাজোর বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা তিনটি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালায়।

বিগত মে মাস থেকেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে মণিপুর। সংঘর্ষে এখনও অবধি ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন শতাধিক। বহু বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা বাহিনী ও অসম রাইফেলসের অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে খবর, তমিতুদ্দিনের বাড়িতে দুই মেয়ে ও এক পুত্র ও স্ত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে এক মেয়ে বিবাহিত। পরিবারের দাবি, বাড়তি উপার্জনের আশায় দশদিন আগে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন।

Dhupguri Migrant Worker Death: আবার মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, অসমে কাজে গিয়ে প্রাণ হারালেন ধূপগুড়ির নির্মাণ শ্রমিক
ধূপগুড়িতে মৃত্যু

ধূপগুড়ি: মালদা-মুর্শিদাবাদের পর এবার ধূপগুড়ি। ফের ভিনরাজ্যে গিয়ে মৃত্যু হল পরিযায়ী শ্রমিকের। অসমের গৌহাটির কামাক্ষ্যাগুড়িতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল ধূপগুড়ির ওই ব্যক্তির। মৃতের নাম মহম্মদ তমিতুদ্দিন। তিনি সোনাখালি চামরাগুদাম এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা বাড়ি ফিরল কফিনবন্দী দেহ।


পরিবার সূত্রে খবর, তমিতুদ্দিনের বাড়িতে দুই মেয়ে ও এক পুত্র ও স্ত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে এক মেয়ে বিবাহিত। পরিবারের দাবি, এখানে কাজ করে ঠিক মতো সংসার চলছিল না। সেই কারণে বাড়তি উপার্জনের আশায় দশদিন আগে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। সোমবার বিল্ডিং নির্মাণের কাজ করছিলেন। আচমকাই অসাবধানবশত উপর থেকে নীচে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তমিতুদ্দিনের সঙ্গে থাকা কর্মীরাই পরিবারকে ফোন করে মৃত্যুর খবর দেয়। এরপরই মৃতদেহ আনার তৎপরতা শুরু হয়। গতকাল গভীর রাতে নিয়ে আশা হয় মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।

গোটা ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতের ছেলে বলেন, “বাবা ওইখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। কালকে খবর পেলাম মারা গিয়েছে।এখন সংসারের পুরো দায়িত্ব আমার উপরে। আমিও কাজ করতাম। বাবা ভেবেছিল দুজন মিলে রোজগার করলে সংসার ভাল চলবে।”

সম্প্রতি, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয় তিন পরিযায়ী শ্রমিকের। অসাবধানবসত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় মৃত্যু হয় তাঁদের। অপরদিকে, মিজোরামে সাইরাং এলাকায় নির্মীয়মাণ রেলব্রিজ ভেঙে মৃত্যু হয় ২৩ জন মালদহর শ্রমিকের।



অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ এনে অধীর চৌধুরীকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। কিন্তু সেই সময়ই অধীর চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না।

Adhir Ranjan Chowdhury: ক্ষমা চাইতে নারাজ অধীর, সাসপেনশন প্রত্যাহার হবে কি? আজ প্রিভিলেজ কমিটির মুখোমুখি হবেন কংগ্রেস সাংসদ
সংসদে ফিরবেন অধীর চৌধুরী?
Image Credit Source: PTI
Follow us
google-news-icon
নয়া দিল্লি: বাদল অধিবেশনের শেষদিনে লোকসভা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড (Suspend) হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। সেই সাসপেনশন ঘিরে বিতর্কও শুরু হয়। সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে কি না, তা নিয়ে আজ প্রিভিলেজ কমিটির (Privilege Committee) মুখোমুখি হতে চলেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।


মণিপুর ইস্যু নিয়েই এবারের বাদল অধিবেশন উত্তাল হয়েছিল। বিরোধী দলগুলির তরফে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। সেই অনাস্থা প্রস্তাবেরই জবাবি ভাষণ লোকসভায় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য চলাকালীন অসংসদীয় আচরণ করেছিলেন তিনি। এরপরই সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সংসদ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার আবেদন জানান। সেই আবেদন মেনেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাসপেন্ড করেন অধীর চৌধুরীকে।

উল্লেখ্য, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী অভিযোগ করেছিলেন, নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে অধিবেশনে বিঘ্ন ঘটান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই তিনি বিভিন্ন অভিযোগ করেন। এমন কথা বলেন, যার কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কিন্তু তার জন্য কখনও ক্ষমা চান না তিনি। এরপর প্রহ্লাদ যোশী স্পিকারের কাছে আবেদন জানান, কংগ্রেস নেতার এই ধরনের স্বভাবসিদ্ধ অসংসদীয় কাজের বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানো হোক। কমিটি যতদিন না তদন্ত করে রিপোর্ট দিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকুন অধীর চৌধুরী। মন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নেন স্পিকার। অধীর চৌধুরীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।


অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ এনে অধীর চৌধুরীকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। কিন্তু সেই সময়ই অধীর চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না। আজ প্রিভিলেজ কমিটির মুখোমুখি হবেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেখানেই তাঁর বক্তব্য শোনা হবে এবং সেই অনুযায়ী সাসপেনশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সাসপেনশন নিয়ে অধীর চৌধুরীকে প্রিভিলেজ কমিটিতে তলব করা হবে কিনা, তা নিয়েও মতানৈক্য হয়েছিল ইন্ডিয়া এবং এনডিএ জোটের সাংসদদের মধ্যে। কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে-র বিরোধী সাংসদরা বলেছিলেন, ইতিমধ্যেই শাস্তি পেয়েছেন অধীর চৌধুরী। ফলত তাঁকে আর প্রিভিলেজ কমিটিতে তলব করার প্রয়োজন নেই। পাল্টা যুক্তি দেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, যেহেতু প্রিভিলেজ কমিটিতে বিষয়টি এসেছে, ফলে তাঁর বক্তব্য না শুনে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

আদালতের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সংসদ বা বিধায়কের সাসপেনশন শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট অধিবেশনেই প্রযোজ্য হয়।

  শুধু তাই নয়, উপাচার্য মনে করছেন রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধের জেরে রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে আমাকে মারছেন কেন?" বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মুখে এই কথায় জলঘোলা যে তৈরি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Rabindra Bharati University: 'রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে আমাকে মারছেন কেন?', বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার ঘটনায় প্রশ্ন তুললেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য
উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়

কলকাতা: আচার্য তথা রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্য যেতেই পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে! একদল গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মীর দাপটে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তিনি। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর অফিসে ঢুকে করা হচ্ছে অভদ্র আচরণ। তাঁকে ‘আরএসএস-পন্থী’ বলে কটাক্ষ করে স্লোগান দেওয়া চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে! তাঁর বক্তব্য, এই অভ্যবতার জেরে ঘরে বসেই যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, উপাচার্য মনে করছেন রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধের জেরে রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হচ্ছে আমাকে মারছেন কেন?” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মুখে এই কথায় জলঘোলা যে তৈরি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এর আগের উপাচার্যও চার মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেননি। তিনি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন কি না সেই বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, “ওদের যা বলার রয়েছে আচার্যকে বলুক। উনি আমায় নিয়োগ করেছেন মানে আমার রাজনৈতিক রঙ রয়েছে এটাও তো ধরে নেওয়া ঠিক নয়। ছাত্র-অধ্যাপকরা সহযোগিতা করছেন। কিন্তু গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ-সি কর্মচারীরা হঠাৎ করে আমার ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন। হাততালি দিচ্ছেন। আমার নাম বিকৃতভাবে বলেছেন।”

আদৌ কি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন উপাচার্য? উত্তরে তিনি জানান, “আমি রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছি কয়েকটি কাজ করার জন্য। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ভবনকে গ্রিল দিয়ে ঘিরে দিতে বলেছি। আমার অফিস দোতলায় করতে বলেছি। এছাড়াও সিসিটিভি বসিয়ে গার্ড দিতে বলেছি।” গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে জানিয়েছেন শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। উপাচার্য বলেন, “এর আগের উপাচার্যও চার মাস আসতে পারেননি। এটা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাডিশন ।”


উল্লেখ্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। আচার্য সি ভি আনন্দ বোস সম্প্রতি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি ছিল, শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে রাজ্যপাল উপাচার্য নিয়োগ করছেন। এমনকী তাদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। আচার্যই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। এরপর তাঁকেই কাজে বাধা এবং হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে।

বউবাজার এলাকায় প্রচুর সোনার দোকান রয়েছে। রাজ্যের প্রায় ২৮ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছে। সরকার আগামী দিনে তাঁদের জন্য কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, তা নিয়েই স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

Gold Shop: নদিয়া ও পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতি, এবার স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের
দোকানে ডাকাতির সিসিটিভি ফুটেজের একটি অংশ

কলকাতা: একই দিনে প্রায় একই সময়ে স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার নদিয়া ও পুরুলিয়ার আউটলেটে ডাকাতির জের। বুধবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে চিঠি দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি। বউবাজার এলাকায় প্রচুর সোনার দোকান রয়েছে। রাজ্যের প্রায় ২৮ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী রয়েছে। সরকার আগামী দিনে তাঁদের জন্য কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, তা নিয়েই স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিচ্ছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্তকারীরা মনে করছে, এর পিছনে একটা বড় গ্যাঙ কাজ করছে।


নদিয়ার রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় যে পদ্ধতিতে ডাকাতি করা হয়েছে, তা হার মানাবে কোনও থ্রিলার চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপটকেও। কুড়ি মিনিটের একটা অপারেশন। প্রথমে দু’জন ক্রেতা সেজে ভিতরে ঢোকেন। নিয়ম মাফিক গেট বন্ধ করে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে পিছনে ঢোকেন আরও ৯ জন। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গেট খুলে ভিতরে ঢোকেন। কর্মীদের ভয় দেখাতে শোরুমের মধ্যে গুলি চালান। তারপর সিসিটিভি-র হার্ড ডিস্ক খুলে নেওয়া হয়। চলে লুঠপাট।

মূল্যবান পাথর, সোনা-হীরে-রূপোর গয়না-সহ সবই লুঠ করে নিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে, ঘণ্টা খানেকের ব্যবধানে ওই স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থার পুরুলিয়ার আউটলেটেও ডাকাতি হয়। একই পদ্ধতিতে। দুটি আউটলেট মিলিয়ে ৮ কোটির গয়না লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।


রাজ্যে গত কয়েক মাসে ছোটখাটো একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বারাকপুরের পর শক্তিগড়েও সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। এইভাবে পরপর ডাকাতির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত রাজ্যের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

গতকাল যে স্বর্ণগহনা প্রস্তুতকারক ও বিক্রয় সংস্থায় ডাকাতি হয়েছে, তা রাজ্য তথা দেশের মধ্যে অন্যতম। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, যদি রাজ্যের প্রথম সারির সোনার দোকানেই এত বড় ভয়াবহ ডাকাতি দিনেদুুপুরে হয়ে থাকে, তাহলে ছোটখাটো সোনারপ দোকানগুলির নিরাপত্তা কোথায়? ঘটনায় আতঙ্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এবার নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হলেন। যদি সোনার দোকানগুলিতে আলাদা করে কোনও নিরাপত্তা, কোনও বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হয়, তার আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রদফতরের কাছে আবেদন জানাবেন তাঁরা।



দলীয় সূত্রের খবর, নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান লিখিত ভাবে তৃণমূল নেতৃত্বকে জবাব দিলেও সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি দলীয় নেতৃত্ব। স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়ছিল বেলিয়াতোড়ের নব নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ পালের উপর।


বাঁকুড়া: বোর্ড গঠনের পরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত প্রধানের ইস্তফার জল্পনা। বোর্ড গঠনের পরেও বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলকে। সূত্রের খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নির্বাচিত হওয়ার দু’সপ্তাহের মাথায় গ্রাম পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান ইস্তফা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন খোদ বিডিওকে । আর সেই ঘটনাকে ঘিরে এবার গুঞ্জন আরও তীব্র হচ্ছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতে।


বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই এবার জয়লাভ করে তৃণমূল। গত ১১ অগষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়। বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হবেন বিবেক শী ও উপপ্রধান পদ দেওয়া হবে শীলা রুইদাসকে। দলীয় সেই সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য ও স্থানীয় নেতৃত্বকে। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের দিন দলীয় সেই নির্দেশ না মেনে ওই পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য প্রদীপ পালকে প্রধান হিসাবে প্রস্তাব করেন দলেরই আরেক সদস্য।

প্রধান পদপ্রার্থী তৃণমূলের বিবেক শী ও প্রদীপ পালের মধ্যে প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে ভোটাভুটি হলে প্রদীপ পাল ১০-৯ ভোটে বিবেক শীকে হারিয়ে প্রধান পদে বসেন। উপপ্রধান পদে বসেন শীলা রুইদাস। এদিকে দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ পাল, তৃণমূলের বেলিয়াতোড় অঞ্চল সভাপতি সুশান্ত কর ও পঞ্চায়েত সদস্য শেখ কুতুবউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।

দলীয় সূত্রের খবর, নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান লিখিত ভাবে তৃণমূল নেতৃত্বকে জবাব দিলেও সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি দলীয় নেতৃত্ব। স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়ছিল বেলিয়াতোড়ের নব নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ পালের উপর। দলীয় সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় প্রদীপ পাল লিখিত ভাবে তাঁর ইস্তফার কথা জানিয়ে বড়জোড়ার বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন।

প্রশাসনের তরফে চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও সেই চিঠিতে ইস্তফার কথা লেখা রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে বিডিওকে ইস্তফাপত্র পাঠানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে বেলিয়াতোড়ের রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই কেন ইস্তফা দিতে হল পঞ্চায়েত প্রধানকে? এর পিছনে কী তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই দায়ী?

ইস্তফা দেওয়া পঞ্চায়েত প্রধান ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। উপ প্রধানের দাবি, দল বিরোধী কাজ করে প্রধান পদে বসেছিলেন প্রদীপ পাল। তাই তাঁর আরও আগে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল। তৃণমূলের ব্লক নেতত্বের দাবি দলবিরোধী কাজের জন্য দল পঞ্চায়েত প্রধানকে যে শোকজ করেছিল তার উত্তরে দল সন্তুষ্ট নয়। অবশ্য এ সব নিয়ে বিজেপি কটাক্ষ করেছে। বিজেপির বক্তব্য, কাটমানির ভাগ বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধেই এমনটা হয়েছে।



ডিলারদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে বেশ খানিকটা অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হচ্ছে তাঁদের। পরিমল ভৌমিক নামে এক ডিলার বললেন, "কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমাদের অনেকটাই লোকসান হল।

LPG Gas: দিনেই লোকসান ৬০হাজার থেকে লাখ খানেক পর্যন্ত! রান্নার গ্যাসের দাম কমায় রাতারাতি ক্ষতির মুখে এক শ্রেণি
ক্ষতির মুখে ডিলাররা

কলকাতা: এক ধাক্কায় রান্নায় গ্যাসের দাম কমল ২০০ টাকা। এখন গৃর্হস্থের গ্যাসের দাম হাজারের নীচে। মধ্যবিত্তের মুখে চওড়া হাসি। মোদীর সিদ্ধান্তে তৈরি হয়েছে নানান রাজনৈতিক জল্পনাও। তা নিয়ে বলছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বও। কিন্তু সে সব পরের আরও একটি বিষয় থেকে যাচ্ছে। মোদীর এই সিদ্ধান্তে চিন্তার ভাঁজ গ্যাস ডিলারদের কপালে। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার থেকেই কার্যকরী নতুন গ্যাসের দাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ডিলাররা আগে থেকেই বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার তুলে রেখেছিলেন। ফলে ডিলারদের বেশি দামে তুলে, এখন কম দামে গ্যাস দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তাতে ডিলারদের বড় একটা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা।


ডিলারদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে বেশ খানিকটা অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হচ্ছে তাঁদের। পরিমল ভৌমিক নামে এক ডিলার বললেন, “কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমাদের অনেকটাই লোকসান হল। হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তো, সমস্যা হবেই। ২০-২৫ টাকা করে বাড়ত, কিন্তু কমল এক ধাক্কায় ২০০ টাকা। আমাদের তো আগের দিনের লোড থাকে। আমাদের বেশি টাকায় কিনতে হয়েছে। কিন্তু এখন তো আমরা সেই টাকায় বিক্রি করতে পারব না। কারণ নতুন সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়ে গিয়েছে।পুরনো রেটে কিনে নতুন রেটে বিক্রি করতে হবে। আমাদের প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি। আমার একটা গাড়িতেই ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি রয়েছে। আর যাঁরা বড় ডিলার, তাঁদের দিনে দুটো-তিনটে গাড়ি লোড হয়। তাঁদের তো আরও বড় ক্ষতি।”



খাতায় কলমে ঠিক কী হয়েছিল ২০ জুন? কেন ওই দিন পালন করা যাবে না পশ্চিমবঙ্গ দিবস? কী বলছে ইতিহাস?
West Bengal Day: ঠিক কী হয়েছিল ২০ জুন? কেন ওই দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবসে এত আপত্তি? ব্যাখ্যা দিলেন 
কলকাতা: কেউ বলছেন পয়লা বৈশাখ, কেউ বলছেন ১৫ অগস্ট, কেউ বলছেন ১৯ অগস্ট, আবার কেউ বলছেন রাখির কথা। হ্যাঁ, পশ্চিমবঙ্গ দিবস (West Bengal Day) কবে পালন করা হবে সেই সংক্রান্ত বৈঠকে এই সমস্ত দিনগুলিরই প্রস্তাব রাখলেন বিশিষ্ঠজনেরা। মতপার্থক্য়ও দেখা গেল অনেকের মধ্যে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০ জুন রাজভবনে পালন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। যদিও তার তীব্র বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশভাগের ক্ষত জড়িয়ে এমন একটা দিনে কোনওভাগেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা উচিত নয় বলে মত বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (CM Mamata Banerjee)। সে কারণেই এবার নতুন দিনক্ষণ ঠিক করতে বিশিষ্টজনদের মতামত চাইছে বাংলার সরকার। এদিন নবান্নে সেই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করার জন্য জোরালো সওয়াল করলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ সুগত বসু।   

সাফ বললেন, “ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে আমাদের মনে হয় বাংলা দিবস হিসাবে একটা অন্য শুভ দিন বেছে নেওয়া উচিত। আমার মনে হয় দিনটা পয়লা বৈশাখ হলে ভালই হয়। আর নৃসিংহদার কথা প্রসঙ্গে বলতে হয় রাখি বন্ধন কিন্তু রবীন্দ্রনাথ করেছিলেন ১৬ অক্টোবর। কারণ সেই দিন কার্জন সাহেব বঙ্গবঙ্গ করে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিবাদ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ রাখি বন্ধন করেছিলেন। তাই ১৬ অক্টোবর কার্জনের বঙ্গভঙ্গের দিন, আবার রবীন্দ্রনাথের রাখি বন্ধনের দিন। এটাও একটু মাথায় রাখা দরকার। তাই বাংলার সংস্কৃতির কথা মাথায় রাখলে পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে বিবেচনা করলে ভাল হবে।” যদিও তাঁর ভাবনায় যে ১৯ অগস্টও ছিল সে কথাও এদিন জানান তিনি। 

বলেন, “অগস্টেই যদি কোনওদিন বেছে নিতে হয় তাহলে বলব ১৯ অগস্টের কথা ভাবা যেতে পারে। কারণ সেদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সুভাষচন্দ্র বসু একইসঙ্গে মহাজাতির আবাহন করেছিলেন এই কলকাতা শহরে। তা ছাড়া আমাদের বিধানসভায় তো ঠিক হয়েছে আমাদের রাজ্যের নাম বাংলা হওয়া উচিত।”



ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম খেলছেন প্রভসুখন গিল। তরুণ এই গোলরক্ষক প্রতিনিয়ত ভরসা দিচ্ছেন। টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ানোয় নজর ছিল তাঁর দিকেও।


লড়াইয়ের অদম্য জেদের জন্য পরিচিত লাল-হলুদ। গত কয়েক বছর অবশ্য এই পরিচিতিতে মরচে পড়েছিল। বরং উল্টোটাই হয়েছে। এ মরসুমে এখনও অবধি ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ২০০৪ সালের পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লাল-হলুদ। যদিও ইস্টবেঙ্গলের আকাশে ম্যাচের শুরু থেকে শুধুই মেঘ। আদৌও আকাশ পরিষ্কার হবে কিনা, সন্দেহ ছিল। গ্যালারি থেকে সমর্থকরা ভরসা দিলেন। ফুটবলাররাও সর্বস্ব নিংড়ে দিলেন। ০-২ পিছিয়ে পড়া ম্যাচ, শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। টাইব্রেকারে অনবদ্য জয়। ফাইনাল নিশ্চিত করে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত যা বললেন, বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।


ম্যাচের ২২ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ৫৭ মিনিটে আরও একটা গোল হজম। ০-২ পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ নয়। প্রথম একাদশে নানা পরিবর্তন করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর পরিকল্পনাগুলো ভুল প্রমাণ হচ্ছিল। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে এক গোল ফিরিয়ে দিতেই লাল-হলুদ গ্যালারিতে প্রাণ ফেরে। অ্যাডেড টাইমে গোল করে সমতা ফেরান মরসুমের প্রথম ডার্বি জয়ের নায়ক নন্দকুমার। ডুরান্ডের নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়। আর টাইব্রেকার মানে দু-দলের শুন্য থেকে শুরু। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, ‘প্রথম একাদশে পরিবর্তনের কারণ, ফুটবলাররা ক্লান্ত ছিল। টানা ম্যাচ খেলেছে। সে কারণে সকলকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের কাছে এটা প্রাক মরসুমও। সেই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হত। বিশেষ করে সৌভিক ও বোরহা খুবই ক্লান্ত ছিল।’

টাইব্রেকারে অনবদ্য ইস্টবেঙ্গলের তরুণ গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল। শেষ অবধি ৫-৩ ব্যবধানে জয় ইস্টবেঙ্গলের। টার্নিং পয়েন্ট কোনটা? ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, ‘ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট বলে কিছু নেই। প্লেয়ারদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। ওদের হার না মানা মানসিকতার ওপর ভরসা ছিল। প্লেয়ারদের বলেছিলাম, হারার আগে হারবে না। যতক্ষণ মাঠে থাকব, লড়াই করব। সেটাই করেছে ছেলেরা। দুটো খুব বাজে গোল হজম করেছি। তবুও প্লেয়ারদের ওপর বিশ্বাস ছিল। ৯০ মিনিট অবধি যা কিছু হতে পারে। ওরা সেটাই করে দেখিয়েছে।’


ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম খেলছেন প্রভসুখন গিল। তরুণ এই গোলরক্ষক প্রতিনিয়ত ভরসা দিচ্ছেন। টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ানোয় নজর ছিল তাঁর দিকেও। ম্যাচ জিতে গিলও জানালেন, জয়ের মুহূর্তগুলো আগে থেকেই অনুভব করছিলেন। সে কারণেই মাথা ঠান্ডা রাখতে পেরেছিলেন।

সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে দাম কমছে রান্নার গ্যাসের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

LPG price cut: 'ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, রাখির উপহার', গ্যাসের দাম কমায় উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির
প্রতীকী ছবি

নয়া দিল্লি: দেশের মা-বোনদের রক্ষাবন্ধনের উপহার। এমনটাই বলছেন বিজেপি নেতারা। মঙ্গলবার (২৯ অগস্ট), গৃহস্থালীর ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী মন্ত্রিসভা। ফলে, সিলিন্ডার প্রতি ২০০ টাকা করে দাম কমছে রান্নার গ্যাসের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।



এদিন, রান্নার গ্যাসের দাম কমার বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি জানান, রাখি এবং ওনাম উপলক্ষ্যে দেশের কোটি কোটি মহিলাকে বিশেষ উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর ঘোষণার পরই, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “রক্ষা বন্ধনের উত্সব আমাদের পরিবারে সুখ বৃদ্ধির দিন। গ্যাসের দাম কমানোর ফলে আমার পরিবারের বোনদের স্বস্তি বাড়বে এবং তাদের জীবন সহজ হবে। প্রত্যেক বোন সুখী হোক, সুস্থ থাকুক, সুখে থাকুক, এটাই ভগবানের কাছে আমার কামনা।”


কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তিনি আরও জানান, ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আরও ৭৫ লক্ষ ঘরে এলপিজি সংযোগ দেবে সরকার। আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, এই ‘রাখির উপহারের’ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে ১০.৩৫ কোটি সুবিধাভোগী উপকৃত হবেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তে ফের বোঝা গেল, সহানুভূতি এবং ক্ষমতায়ন হল প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকারের দুই প্রধান বৈশিষ্ট্য।”

রান্নার গ্যাসের দাম কমা, বিরোধীদের 'ইন্ডিয়া' জোটের জয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতে, এটা রাখির উপহার নয়, বরং নির্বাচনী উপহার।

LPG cylinder prices: 'ইন্ডিয়া'র দমেই কমল গ্যাসের দাম, দাবি মমতার; খাড়্গের মতে 'নির্বাচনী ললিপপ'
প্রতীকী ছবি

নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার (২৯ অগস্ট), গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী মন্ত্রিসভা। ফলে, ২০২২-এর ২০২২-এর মে মাসের পর, ফের একবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হাজার টাকা নীচে নামল। বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতে, মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ ‘ঐতিহাসিক’। তাদের মতে, দেশের মহিলাদের রক্ষাবন্ধনের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অন্যদিকে, রান্নার গ্যাসের দাম কমা, বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতে, এটা রাখির উপহার নয়, বরং নির্বাচনী উপহার।

রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমানোর ঘোষণার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্সে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লেখেন, “এখনও পর্যন্ত, গত দুই মাসে ইন্ডিয়া জোটের মাত্র দুটি বৈঠক হয়েছে। আর আজ আমরা গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমতে দেখছি।” এরপর তিনি হিন্দিতে লিখেছেন, “ইয়ে হ্যায় ইন্ডিয়াকা দম।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটি, রিপোস্ট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।


একইভাবে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে দাবি করেছেন, বিজেপির ভোট কমছে বলেই ‘নির্বাচনী উপহার’ বিতরণ করা শুরু করেছে মোদী সরকার। তিনি লিখেছেন, “জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ লুট করে, নির্দয় মোদি সরকার এখন মা-বোনদের প্রতি সদিচ্ছা প্রদর্শন করছে। সাড়ে ৯ বছর ধরে, ৪০০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার ১১০০ টাকায় বিক্রি করে, তারা সাধারণ মানুষের জীবন ধ্বংস করে চলেছে।”


তিনি আরও দাবি করেছেন, সাড়ে ৯ বছর ধরে ‘নির্যাতনের’ পর, এই ‘নির্বাচনী ললিপপ’ কোনও কাজে লাগবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন, রাজস্থানের মতো অনেক রাজ্যেই কংগ্রেস গরিবদের জন্য ৫০০ টাকার গ্যাস সিলিন্ডার দিচ্ছে। এই অবস্থায় ২০০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে দেশের মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একমাত্র বিকল্প হল বিজেপিকে প্রস্থানের দরজা দেখানো।”

রোহিতের মুখে সেই ২০১১ প্রসঙ্গ। বলছেন, 'আমি যখন ২০১১ সালে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাইনি, খুবই কষ্টের মুহূর্ত ছিল। নিজের ওপর ভরসা উঠে যাচ্ছিল। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছি, কেন আমি বিশ্বকাপের টিমে জায়গা পেলাম না?'

Rohit Sharma: 'বাদ পড়লে কেমন লাগে...', বিশ্বকাপের ১৫ নিয়ে রোহিত

বেঙ্গালুরু: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) জন্য ১৭ সদস্যের দল বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। ভারতীয় বোর্ডের নির্বাচন কমিটি যেন কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। ১৭ সদস্যের এই দলের সঙ্গে স্ট্যান্ডবাই কিপার হিসেবে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। সেই অর্থে বলা যায়, এই ১৮ জনই বিশ্বকাপ খেলার দৌড়ে রয়েছেন। এখানেই একটা ‘কিন্তু’ আসছে। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা যাবে ১৫জন ক্রিকেটারকে। কোনও তিনজনকে বাদ পড়তেই হবে। তাঁরা কারা হবেন, সেটাও প্রশ্ন। ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বকাপের (World Cup 2023) স্কোয়াড জমা দিতে হবে। তার আগে এশিয়া কাপে দুটি ম্যাচ খেলছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করবেন রোহিতরা। এরপর নেপাল। এই দুই ম্যাচের ভিত্তিতেই তিনজন বাদ পড়বেন! এমনও হতে পারে, ১৫ জন ইতিমধ্যেই বেছে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি যাই হোক, রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন-যোগ্যতার নিরিখেই ১৫ সদস্যের স্কোয়াড বেছে নেওয়া হবে। বিস্তারিত জেনে এর এই প্রতিবেদনে।


বেঙ্গালুরুতে শিবির শেষে শ্রীলঙ্কা রওনা হবে ভারতীয় দল। এশিয়া কাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ ২ সেপ্টেম্বর। তারপরই অধিনায়ক রোহিতের বড় পরীক্ষা। ২০০৭ সালেই ভারতীয় শিবিরে প্রবেশ রোহিত শর্মার। ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছেন। কিন্তু ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি। তাঁর মতোই পরিস্থিতি হতে চলেছে কয়েকজন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়েই বলেছেন রোহিত। টিম নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেরা কম্বিনেশন বেছে নিতে গেলে কয়েকজনকে বাদ পড়তেই হবে। রাহুল ভাই এবং আমিও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। কেন তাদের স্কোয়াডে রাখা যায়নি, ব্যাখ্যা করেছি তাদের। প্রত্যেকবারই দল বাছাইয়ের পর যারা বাদ পড়ে কিংবা একাদশে জায়গা পায় না, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা কথা বলার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে, কিছু ক্ষেত্রে নিজেকেও ওদের জায়গায় রেখে দেখি।’

রোহিতের মুখে সেই ২০১১ সালের প্রসঙ্গ। বলছেন, ‘আমি যখন ২০১১ সালে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাইনি, খুবই কষ্টের মুহূর্ত ছিল। নিজের ওপর থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছিল। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছি, কেন আমি বিশ্বকাপের টিমে জায়গা পেলাম না?’ কিছু ক্ষেত্রে তাঁর কিংবা কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের যে ভুল হয়েছে, আগামীতেও হতে পারে, স্বীকার করে নিলেন ভারতের ক্যাপ্টেন। ‘আমি, কোচ, নির্বাচকরা সব দিক বিবেচনা করেই দল বেছে নিই। পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষ, পিচ, কম্বিনেশন, নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা সবই ভাবতে হয়। আমরাও মানুষ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরও ভুল হতে পারে। একটা বিষয় বলতে পারি, টিম সিলেকশন এমন নয় যে, আমার ওকে পছন্দ বলে টিমে থাকবে, কাউকে পছন্দ নয় বলে টিমে থাকবে না। ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নেতৃত্ব নির্ভর করে না। কেউ যদি বাদ পড়ে, তার নেপথ্যে কোনও কারণ থাকবেই।’

ইনিংসের প্রথম ডেলিভারিই হোক না কেন, তাঁর দিকে শর্ট পিচ আসা মানেই পুল শটে পিছপা হন না রোহিত। তাতে ঝুঁকিও থাকে। নেটে এই শটে কতটা জোর দেন?

 গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ব্য়াপক প্রস্তুতি সেরেছিল ভারত। বিশ্বকাপের আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড় বারবার বলেছিলেন, হারলেও সমস্যা নেই, খেলার ধরণ বদলাবে না দল। অতি আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েই লক্ষ্য ছিল টিম ইন্ডিয়ার। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছলেও ভারতীয় ব্যাটিং নিয়ে প্রচুর সমস্যার জায়গা ছিল। এ বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (World Cup 2023)। খেলার স্টাইলও নিঃসন্দেহে আলাদা হবে। তার ঝলক দেখা যেতে পারে এশিয়া কাপেই। অনেক বেশি কৌতুহল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ব্যাটিং নিয়ে। সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার রোহিত। নেতৃত্বের দায়িত্ব থাকায়, তাঁর ব্যাটিং স্টাইলে কোনও বদল হবে কিনা, নজর সেদিকেই। রোহিত নিজে যা বলছেন, বিস্তারিত জেনে এর এই প্রতিবেদনে।


এর আগে ২০১৮ সালে রোহিত শর্মা এশিয়া কাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ভারত। ২০১৯ সালে ইংল্য়ান্ডে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন রোহিত। ভারত সেমিফাইনালে ওঠে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ হতেই প্রবল সমস্যায় পড়ে ভারত। পুরো টুর্নামেন্টে মিডল অর্ডার সেই অর্থে পরীক্ষার সামনে পড়েনি। সেমিফাইনালে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। পরিস্থিতি বদলেছে, সময়ও। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। তিনি কি একই রকম আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করবেন? নাকি সেই দায়িত্ব থাকবে তরুণ ওপেনার শুভমন গিলের ওপর! রোহিত অ্যাঙ্করের ভূমিকায়? এমন অনেক প্রশ্ন, কৌতুহল ঘোরাফেরা করছে।

বেঙ্গালুরুতে এশিয়া কাপের শিবির চলছে টিম ইন্ডিয়ার। তারই ফাঁকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়েও খোলসা করেছেন রোহিত। ইনিংসের প্রথম ডেলিভারিই হোক না কেন, তাঁর দিকে শর্ট পিচ আসা মানেই পুল শটে পিছপা হন না রোহিত। তাতে ঝুঁকিও থাকে। নেটে এই শটে কতটা জোর দেন? টিম ইন্ডিয়ার ওপেনার বলছেন, ‘এই শটের জন্য আলাদা করে বিশেষ কোনও অনুশীলন করি না। অনেক আগে যা করেছি সেটা কেউই জানে না। রঘু, নুয়ান, দয়া সাম্প্রতিক সময়ে টিম ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়েছে। আমি এই শট বহু বছর ধরেই খেলছি।’


টিম ইন্ডিয়ায় এখন তিনজন থ্রো-ডাউন স্পেশালিস্ট রয়েছেন। তাঁদের উদাহরণ টেনেই রোহিত জানিয়েছেন, এই শট বহু আগে থেকেই খেলেন। অনূর্ধ্ব ১৭, অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরের প্রসঙ্গও তুলেছেন। পুল শট যেন রোহিতের সহজাত! সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, শর্ট পিচ বল এলে এখনও পুল খেলতে দু-বার ভাববেন না। কৈশোরের প্রস্তুতিই যে তাঁকে এই শটে পটু করেছে, সন্দেহ নেই।

ক্রিকেটে স্লো ওভার রেট কমানোর জন্য চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এক অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে। সিপিএলের হাত ধরে ক্রিকেটে আগমন হল লাল কার্ডের।

Red Card in Cricket: ক্রিকেটে প্রথম লাল কার্ড, সুনীল নারিনকে মাঠ ছাড়তে বললেন আম্পায়ার!
ক্রিকেটে প্রথম লাল কার্ড, সুনীল নারিনকে মাঠ ছাড়তে বললেন আম্পায়ার!

ত্রিনিদাদ: ফুটবলের ধাঁচে ক্রিকেটেও লাল কার্ডের (Red Card) নিয়ম চালু হয়েছিল আগেই। যাকে ক্রিকেট বিপ্লব বলে ধরা হয়েছিল। সেই কার্ড এ বার পকেট থেকে বেরিয়েও পড়ল। চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ক্রিকেটে মাঠে দেখানো হল প্রথম লাল কার্ড। মরসুম শুরু হওয়ার আগে সিপিএল কর্তৃপক্ষর তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এ বার থেকে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (Caribbean Premier League) থাকবে লাল কার্ডের শাস্তি। সিপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০তম ওভারের শুরুতে ফিল্ডিং করা দল যদি নির্ধারিত সময়ের থেকে পিছিয়ে থাকে, তা হলে সেই দলের একজন ক্রিকেটারকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেবেন আম্পায়ার। টুর্নামেন্টের ১১তম মরসুমের প্রথম ১১টি ম্যাচে অবশ্য লাল কার্ডের শাস্তি পায়নি কোনও দলের ক্রিকেটার। ১২তম ম্যাচে এসে আম্পায়ার লাল কার্ডের প্রয়োগ করতে বাধ্য হলেন। আর ক্রিকেটে প্রথম লাল কার্ড দেখলেন ক্যারিবিয়ান তারকা সুনীল নারিন (Sunil Narine)। বিস্তারিত জেনে নিন  এর এই প্রতিবেদনে।


নীল নারিন গড়লেন যে নজির…
সিপিএলে লাল কার্ড দেখা প্রথম দল হিসেবে নজির ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। আর লাল কার্ড দেখে সিপিএলের ম্যাচের মাঝে মাঠ ছাড়া প্রথম ক্রিকেটার হয়েছেন সুনীল নারিন। শুধু তাই নয়, ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম লাল কার্ড দেখা ক্রিকেটারও হয়েছেন নারিন। সিপিএলে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিরুদ্ধে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স নির্ধারিত সময়ে ২০ ওভারের বোলিং শেষ করতে পারেনি। তাই ২০তম ওভার শুরু হওয়ার আগে স্লো ওভার রেটের দায়ে ত্রিনবাগোকে লাল কার্ড দেখান আম্পায়ার। নিয়ম অনুযায়ী, ওই সময় অধিনায়ক যাঁকে বলবেন, তাঁকে মাঠ ছাড়তে হবে। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ক্যাপ্টেন কায়রন পোলার্ড ২০তম ওভার শুরু হওয়ার আগে সুনীল নারিনকে মাঠের বাইরে যেতে বলেন। এতে অবশ্য নারিনের কোনও দোষ ছিল না। দলের ভুলের মাসুল দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নারিনকে।


সিপিএলের লাল কার্ডের নিয়ম বলবৎ হওয়ার পাশাপাশি পেনাল্টি হিসেবে ২০তম ওভারে ফিল্ডিং বৃত্তের মধ্যে মোট ৬জন ক্রিকেটার রাখার নতুন নিয়মও চালু হয়েছে। এই নিয়ম মেনে নেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিরুদ্ধে ত্রিনবাগোর লাল কার্ড অবশ্য তাদের জয় থেকে আটকাতে পারেনি। প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে নেভিসরা। ১৭৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলে নেন ত্রিনবাগো। এবং ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেন নারিনরা। ম্যাচ যতই জিতুন, ক্রিকেট ইতিহাসে চিরকাল থেকে যাবে নারিনের নাম!

কয়েক বছর আগে নীরজ পানিপথের খান্দ্রাতে ট্র্যাক অ্যান্ড অনুশীলন করা বাচ্চাদের সাহায্য করার কথা জানান। হরিন্দর কুমার জানান, নীরজ প্রায়শই বিদেশ থেকে ফিরলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে আসেন। বাচ্চাদের জন্য জ্যাভলিনও আনেন।

Neeraj Chopra: পানিপথে বাচ্চাদের হাতে হাতে বর্শা! নীরজের গ্রামে চলছে জ্যাভলিনের জয়োৎসব
পানিপথে বাচ্চাদের হাতে হাতে বর্শা! নীরজের গ্রামে চলছে জ্যাভলিনের জয়োৎসব

নয়াদিল্লি: নীরজ চোপড়ার (Neeraj Chopra) বর্শায় সোনা বিঁধলেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে দেশবাসী। সোনার ছেলের জয়ের বিশেষ উদযাপন চলে তাঁর গ্রাম পানিপথে। বিশ্ব মিটে সোনা জিতে ইতিহাস গড়ার পরও নীরজের গ্রাম মেতে উঠেছে উৎসবে। টোকিও অলিম্পিকে নীরজ সোনা জেতার পর থেকে পানিপথের অলিতে গলিতে জ্যাভলিন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। আজ তা ডাল-পালা মেলেছে। পানিপথের কাছে খান্দ্রা গ্রামে এক সময় অনুশীলন করতেন নীরজ চোপড়া। বর্তমানে সেখানে একাধিক বাচ্চা জ্যাভলিন থ্রো-য়ের অনুশীলন করে। আরও ভালো করে বললে, পানিপথের প্রতিটা বাচ্চা এখন নীরজ চোপড়াকে দেখে জ্যাভলিনের প্রতি ঝুঁকছে। সেখানে বাচ্চাদের জ্যাভলিন (Javelin) ট্রেনিং দেন হরিন্দর কুমার নামের এক প্রাক্তন ডেক্যাথলেট। তিনি নীরজের সঙ্গে এক সময় অনুশীলনও করতেন। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি পানিপথের বাচ্চাদের জ্যাভলিনে ঝোঁকার কথা নিয়ে জানিয়েছেন। আর নেপথ্যে যে রয়েছেন নীরজ চোপড়া, তা ফলাও করে জানিয়েছেন। বিস্তারিত জেনে নিন 


২০১২-২০১৫ সালে পঞ্চকুলাতে নীরজের সঙ্গে অনুশীলন করতেন প্রাক্তন ডেক্যাথলেট হরিন্দর কুমার। তিনি পরবর্তীতে ২০১৯-২০২০ সালের মধ্যে সংস্কৃতি পাবলিক স্কুলে বাচ্চাদের জন্য স্কুলের পর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের কোচিং দেওয়া শুরু করেছিলেন। শুরুর দিকে তিনি হাতে গোনা কয়েকজনকে ট্রেনিং দিতেন। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৪৫ জনের কাছাকাছি বাচ্চা অনুশীলন করে। নীরজের জন্য হরিয়ানার তরুণ ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। জ্যাভলিনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

কয়েক বছর আগে নীরজ পানিপথের খান্দ্রাতে ট্র্যাক অ্যান্ড অনুশীলন করা বাচ্চাদের সাহায্য করার কথা জানান। হরিন্দর কুমার জানান, নীরজ প্রায়শই বিদেশ থেকে ফিরলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে আসেন। বাচ্চাদের জন্য জ্যাভলিনও আনেন। তবে হরিন্দরের কথায় আর্থিক সহায়তার থেকে সেখানে অনুশীলন করা বাচ্চাদের বেশি প্রেরণা দেন নীরজ নিজে। হরিন্দর বলেন, ‘নীরজ যখনই গ্রামে আসে ও খান্দ্রাতে আসে। এখান কার বাচ্চাদের সঙ্গে অনুশীলনও করে। তারপর বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে, পরামর্শও দেয়। নীরজের মতো তারকার সঙ্গে বাচ্চাদের এই কথোপকথন তাদের জন্য বাড়তি পাওনা।’

হরিন্দর জানান, ২০২১ সালের পর থেকে খান্দ্রাতে থাকা পরিবারে বাচ্চাদের জ্যাভলিনের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, অলিম্পিকে নীরজের সোনা জয় সেখানকার বাচ্চাদের মা-বাবার মনোভাবও বদলেছে। তাঁরাও ছেলে-মেয়েদের জ্যাভলিনের প্রতি উৎসাহিত করছেন। তবে শুধু পানিপথেই নয়, দেশজুড়ে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জ্যাভলিনকে নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে নীরজ যে সাফল্য পেয়েছেন, তাতে তিনি বিশ্বজুড়ে বন্দিত হচ্ছেন। সময় যত এগোবে নীরজের পদকের ভাণ্ডার উপচে পড়বে। আর তাঁর গ্রাম থেকেও হয়তো উঠে আসবে ভবিষ্যতের নীরজ চোপড়া!

ডুরান্ডের ম্যাচের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গেট খোলা রাখছে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। অথচ গ্যালারিতে প্রবেশের সময় এক গেট দিয়ে ঢুকে আর এক গেটের গ্যালারিতে যেতে হচ্ছে। ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার সময় পর্যাপ্ত বাসের অভাব তো রয়েইছে।

Durand Cup: সেনা, পুলিশের বাড়বাড়ন্ত; যুবভারতী যেন সমর্থকদের জেলখানা!

আপনি ফুটবল ভালোবাসেন? আপনি খেলা দেখতে এসেছেন! আপনার কাছে টিকিট আছে! তা হলে মস্ত ভুল করে ফেলেছেন! যুবভারতীতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ভাবখানা এখন এইরকমই। ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2023) সেনাবাহিনীর আয়োজিত টুর্নামেন্ট। নিজেদের টুর্নামেন্টে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে সেনাবাহিনী। এরপর রয়েছে পুলিশের দাপাদাপি। যত দিন যাচ্ছে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সমর্থকদের কাছে যেন জেলখানা হয়ে যাচ্ছে! ম্যাচ দেখতে গেলে এমনিতেই হাজারো ফতোয়া। এরপর রয়েছে সেনা আর পুলিশের চোখরাঙানি। সেনা আপনাকে একদিক দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে তো অন্য দিকে যেতে বলছে পুলিশ। আবার পুলিশ অন্য রাস্তা দেখলে সেখানে বাধা সেনাকর্মীরা। হাজারো ঝক্কি সামলে প্রিয় দলের খেলা দেখতে গ্যালারিতে ঢুকছেন সমর্থকরা। এত ঝক্কি কেন, বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


আপনি কি নিজের গাড়ি নিয়ে যাবেন ভাবছেন? তা হলে কিন্তু নাকাল হতে হবে। দিনের পর দিন এমনটাই হচ্ছে। আপনার কাছে হয়তো ভিআইপি বা ৫নং গেটের টিকিট রয়েছে। আপনাকে গাড়ি পার্কিং করতে হচ্ছে ৪নং গেটের উল্টো দিকে। স্টেডিয়াম পাক খেয়ে যখন গ্যালারিতে ঢুকতে পারলেন, ততক্ষণে হয়তো মধ্য বয়স ছুঁতে চলেছে ম্যাচ! হাঁপাতে হাঁপাতে একরাশ টেনশন নিয়ে প্রিয় দলের খেলা দেখবেন বলে গ্যালারিতে ঢুকলেন ঠিকই, কিন্তু দেখলেন, গ্যালারিতে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। গ্যালারিতে ওঠার আগে দু’ধারে রাখা পানীয় জলের ডিসপেনসর। অর্থাৎ জল পান করার জন্য আবার আপনাকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে হাঁটতে হবে কিছুটা। গ্যালারিতে নেই কোনও পানীয় জলের পাউচ, প্যাকেট।

রয়েছে আরও একটি গুরুতর সমস্যা। যুবভারতীতে ছাতা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। টিকিটের পিছনেই সেই কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতেও ভিজেই গ্যালারিতে ছোটেন সমর্থকরা। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে প্লাস্টিক জাতীয় কোনও কিছুর আশ্রয় নিলেও, মাঠে ঢোকার সময় আপত্তি করে পুলিশ। বাধ্য হয়ে কাকভেজা অবস্থাতেই গ্যালারিতে ৯০ মিনিট কাটিয়ে দিতে হচ্ছে। গিয়েছিলেন প্রিয় দলের জয় দেখতে, দেখলেনও হয়তো, বোনাস হিসেবে বাড়ি ফিরলেন জ্বর নিয়ে। এ জ্বালা যে আর কেউ বোঝে না!

হয়রানির শিকার এক সমর্থক তো বলেই দিলেন, ‘পুলিশ কর্তব্য পালন করবেই। কিন্তু যুবভারতীতে পুলিশের আচরণ দেখে মনে হয়, আমরা যেন কয়েদি। ন্যায্য টিকিট থাকা সত্ত্বেও অদ্ভুত সব সমস্যায় পড়তে হয়। এরকম চললে তো মানুষ খেলা দেখতেই যাবে না। টিভিতেই শুধু চোখ রাখবে। দর্শক স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে যেখানে ফিফা জোর দিচ্ছে, সেখানে টুর্নামেন্ট আয়োজকদের কোনও খেয়ালই নেই।’

ডুরান্ডের ম্যাচের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গেট খোলা রাখছে ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। অথচ গ্যালারিতে প্রবেশের সময় এক গেট দিয়ে ঢুকে আর এক গেটের গ্যালারিতে যেতে হচ্ছে। ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার সময় পর্যাপ্ত বাসের অভাব তো রয়েইছে। ফলে হয়রানির শেষ নেই। তাই ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান দুরন্ত খেললেও দর্শকদের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।

যে কোনও ক্লাবের মূল সম্পদ সমর্থকরাই। ভারতীয় ফুটবলে তিন প্রধানের সমর্থনই নজরকাড়া। কলকাতায় পা ফেলেই সবুজ মেরুন সমর্থকদের ভালোবাসার ছাপ পেয়েছেন জেসন কামিন্স। বিভিন্ন দেশে খেললেও এমন সমর্থন তাঁর কাছে নতুন

কলকাতা: তিন দেশে ক্লাব ফুটবলে চুটিয়ে খেলেছেন। স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে খেলেছেন। কাতার বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ফুটবলার। তিনি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের নতুন তারকা জেসন কামিন্স। বিশ্বকাপার তকমা নিয়ে কলকাতা ফুটবলে পা রাখা সহজ নয়। প্রত্যাশার বিপুল চাপ। পারফর্ম করতে পারলে অফুরন্ত ভালোবাসা। মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচে নজর কাড়তে পারেননি কামিন্স। সেটা এখন অতীত। এএফসি কাপে ভালো খেলেছেন। ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালেও। সমর্থকরা যেমন তাঁকে ভরসা করতে শুরু করেছেন, তেমনই সমর্থকদের ভালোবাসায় আপ্লুত অজি বিশ্বকাপার। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইউটিউব চ্যানেলে নানা বিষয়ে বললেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের এই তারকা ফুটবলার। বিস্তারিত জেনে নিন -এর এই প্রতিবেদনে।

যে কোনও ক্লাবের মূল সম্পদ সমর্থকরাই। ভারতীয় ফুটবলে তিন প্রধানের সমর্থনই নজরকাড়া। কলকাতায় পা ফেলেই সবুজ মেরুন সমর্থকদের ভালোবাসার ছাপ পেয়েছেন জেসন কামিন্স। বিভিন্ন দেশে খেললেও এমন সমর্থন তাঁর কাছে নতুন। সমর্থনের দিক থেকে কলকাতাকেই সেরা বলছেন অজি বিশ্বকাপার। এ বিষয়ে তাঁর বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আইএসএলের ইউটিউব চ্যানেলে ‘ইন দ্য স্ট্যান্ডস’ অনুষ্ঠানে কামিন্স বলেন, ‘এখানকার সমর্থকদের দেখে বেশ অবাক হয়েছি। ওদের আবেগ অন্য একটা স্তরের! আগেও অনেক বড় ক্লাবে খেলেছি, সেখানকার আবেগপ্রবণ সমর্থকদের দেখেছি। কিন্তু কলকাতার মতো এত আবেগপ্রবণ সমর্থক আর কোথাও দেখিনি! ওরা অক্লান্ত। হোটেলে, শপিং মলে বা রাস্তায়, প্রত্যেকেই ফুটবল অন্তপ্রাণ। ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে শুরু করে সবাই সমর্থক! সকলে ফুটবল নিয়ে আলোচনা করছে, ম্যাচ নিয়ে কথা বলছে।’

কলকাতায় বেশ কিছু দিন কাটিয়ে ফেলেছেন। খেলেছেন বেশ কিছু ম্যাচ। ভুলতে পারেননি এখানে পা রাখার সেই প্রথম রাত। ভোর তিনটের সময় কলকাতায় আসেন কামিন্স। বিমানবন্দরের বাইরে তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় ছিলেন কয়েকশো সমর্থক। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার তখন জেটল্যাগ ছিল! আগেই শুনেছি, এখানকার সমর্থকরা খুব আবেগপ্রবণ! যতটুকু খোঁজখবর নিয়েছিলাম, তাতে ভেবেছিলাম দু-তিনজন আসবে হয়তো। কিন্তু ওই ভোরে দেখি এত সমর্থক হাজির! সত্যিই আমি দেখে চমকে যাই, আমাকে স্বাগত জানাতে এত লোক! এতটা আশা করিনি। তখনই বুঝতে পেরেছি, এখানকার ফুটবলপ্রেমীরা কতটা আবেগপ্রবণ। সত্যি বলতে, এর আগে আমার সঙ্গে এমন কখনও হয়নি।’


Jason Cummings: কলকাতার সমর্থকরাই সেরা, বলছেন সবুজ মেরুনের বিশ্বকাপার

কলকাতা: তিন দেশে ক্লাব ফুটবলে চুটিয়ে খেলেছেন। স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে খেলেছেন। কাতার বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ফুটবলার। তিনি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের নতুন তারকা জেসন কামিন্স। বিশ্বকাপার তকমা নিয়ে কলকাতা ফুটবলে পা রাখা সহজ নয়। প্রত্যাশার বিপুল চাপ। পারফর্ম করতে পারলে অফুরন্ত ভালোবাসা। মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচে নজর কাড়তে পারেননি কামিন্স। সেটা এখন অতীত। এএফসি কাপে ভালো খেলেছেন। ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালেও। সমর্থকরা যেমন তাঁকে ভরসা করতে শুরু করেছেন, তেমনই সমর্থকদের ভালোবাসায় আপ্লুত অজি বিশ্বকাপার। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইউটিউব চ্যানেলে নানা বিষয়ে বললেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের এই তারকা ফুটবলার। বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।


যে কোনও ক্লাবের মূল সম্পদ সমর্থকরাই। ভারতীয় ফুটবলে তিন প্রধানের সমর্থনই নজরকাড়া। কলকাতায় পা ফেলেই সবুজ মেরুন সমর্থকদের ভালোবাসার ছাপ পেয়েছেন জেসন কামিন্স। বিভিন্ন দেশে খেললেও এমন সমর্থন তাঁর কাছে নতুন। সমর্থনের দিক থেকে কলকাতাকেই সেরা বলছেন অজি বিশ্বকাপার। এ বিষয়ে তাঁর বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আইএসএলের ইউটিউব চ্যানেলে ‘ইন দ্য স্ট্যান্ডস’ অনুষ্ঠানে কামিন্স বলেন, ‘এখানকার সমর্থকদের দেখে বেশ অবাক হয়েছি। ওদের আবেগ অন্য একটা স্তরের! আগেও অনেক বড় ক্লাবে খেলেছি, সেখানকার আবেগপ্রবণ সমর্থকদের দেখেছি। কিন্তু কলকাতার মতো এত আবেগপ্রবণ সমর্থক আর কোথাও দেখিনি! ওরা অক্লান্ত। হোটেলে, শপিং মলে বা রাস্তায়, প্রত্যেকেই ফুটবল অন্তপ্রাণ। ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে শুরু করে সবাই সমর্থক! সকলে ফুটবল নিয়ে আলোচনা করছে, ম্যাচ নিয়ে কথা বলছে।’

কলকাতায় বেশ কিছু দিন কাটিয়ে ফেলেছেন। খেলেছেন বেশ কিছু ম্যাচ। ভুলতে পারেননি এখানে পা রাখার সেই প্রথম রাত। ভোর তিনটের সময় কলকাতায় আসেন কামিন্স। বিমানবন্দরের বাইরে তাঁকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় ছিলেন কয়েকশো সমর্থক। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার তখন জেটল্যাগ ছিল! আগেই শুনেছি, এখানকার সমর্থকরা খুব আবেগপ্রবণ! যতটুকু খোঁজখবর নিয়েছিলাম, তাতে ভেবেছিলাম দু-তিনজন আসবে হয়তো। কিন্তু ওই ভোরে দেখি এত সমর্থক হাজির! সত্যিই আমি দেখে চমকে যাই, আমাকে স্বাগত জানাতে এত লোক! এতটা আশা করিনি। তখনই বুঝতে পেরেছি, এখানকার ফুটবলপ্রেমীরা কতটা আবেগপ্রবণ। সত্যি বলতে, এর আগে আমার সঙ্গে এমন কখনও হয়নি।’

যে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ১৬ বছরের রনি শেখ ও ১৮ বছরের মাসুম শেখও।

Duttapukur Blast: দত্তপুকুরে কতজন নাবালকের মৃত্যু হয়েছে? রাজ্যের কাছে উত্তর চাইল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন


কলকাতা: দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার তৎপর জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। ঘটনায় কোনও শিশুর মৃত্যু হয়েছে কি না, আহত হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে কি না, এই সব প্রশ্নের উত্তর চেয়ে চিঠি পাঠানো হল রাজ্যে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে। ঘটনার তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে, সেই রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে তিন দিনের মধ্যে। গতকাল, রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের একটি বেআইনি বাজি কারখানায়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।


যে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ১৬ বছরের রনি শেখ ও ১৮ বছরের মাসুম শেখও। অর্থাৎ এক নাবালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতেই চিঠি দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। যে প্রশ্নগুলির উত্তর চাওয়া হয়েছে, সেগুলি হল- কতজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বা কতজন শিশু আহত হয়েছে তার তালিকা, আহত শিশু (যদি কেউ থেকে থাকে)-র চিকিৎসার কী বন্দোবস্ত করা হয়েছে, মৃত বা আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না।

এছাড়া ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তার কপি, সংশ্লিষ্ট বাজি কারখানার বৈধতা প্রমাণ করে এমন নথিও চেয়েছে কমিশন। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, সেই উত্তরও চাওয়া হয়েছে রাজ্যের কাছে। ইতিমধ্যেই সোমবার সিবিআই ও এনআইএ তদন্তে দাবি চেয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

 ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। সেই ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এনডিএ বিরোধী জোট ক্রমেই মুষ্ঠিবদ্ধ হচ্ছে। এই অবস্থায় মমতার এই আশঙ্কাকে একেবারেই উড়িয়ে দিতে নারাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Mamata Banerjee: লোকসভা ভোট এগিয়ে এনে ডিসেম্বরে করতে পারে বিজেপি, সম্ভাবনার কথা শোনালেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা: চলতি সপ্তাহে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে বুধবারই রওনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল নতুন আশঙ্কার কথা। এগিয়ে আসতে পারে লোকসভা ভোট এবং তা ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতেও হতে পারে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল মেয়ো রোডে। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার তো এখন সন্দেহ আছে এরা ডিসেম্বরেই না পার্লামেন্ট ইলেকশন করে দেয়। জানুয়ারিতেও করে দিতে পারে। এদের কোনও বিশ্বাস নেই।”


২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। সেই ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এনডিএ বিরোধী জোট ক্রমেই মুষ্ঠিবদ্ধ হচ্ছে। এই অবস্থায় মমতার এই আশঙ্কাকে একেবারেই উড়িয়ে দিতে নারাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তে এমন বার্তা দিতে পারেন দলনেত্রী। আবার এমনও হতে পারে, সত্যিই এগিয়ে আসতে পারে ২৪-এর লোকসভা ভোট।