এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাহুল গান্ধীর সাজায় স্থগিতাদেশের আর্জির প্রেক্ষিতে গুজরাট সরকারকে নোটিস দেয়। মামলাকারী তথা গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে।

Supreme Court: '১২২ দিন নষ্ট রাহুলের', মোদী পদবি মামলায় পূর্ণেশ মোদী ও গুজরাট সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টেরসুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাহুল গান্ধী
নয়া দিল্লি: মোদী পদবি নিয়ে মানহানি মামলায় (Modi Surname Defamation Case) এখনই স্বস্তি পেলেন না রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদও (MP Post)। সুরাট আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই গুজরাট হাইকোর্টের (Gujarat High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই আদালত রাহুল গান্ধীর সাজা ঘোষণার উপরে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয়। এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাহুল। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে রাহুল গান্ধীর সাজায় স্থগিতাদেশের আর্জির প্রেক্ষিতে গুজরাট সরকারকে নোটিস দেয়। মামলাকারী তথা গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ অগস্ট হবে।


জানা গিয়েছে, এ দিন মামলার শুনানির শুরুতে সুপ্রিম কোর্টে রাহুল গান্ধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “মোদী পদবি নিয়ে মানহানি মামলা ও তার জেরে সাংসদ পদ খারিজ করায় চলতি বাদল অধিবেশন মিলিয়ে রাহুল গান্ধীর সংসদের ১২২ দিন নষ্ট হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেকোনও মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর আসন ওয়েনাডে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে। আমি আর্জি জানাচ্ছি যে দয়া করে সাজার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিন অথবা দ্রুত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করুন।”

বিচারপতি গাভাইয়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে গুজরাট সরকার, মামলাকারী পূর্ণেশ মোদী ও অন্যান্যদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। মানহানির মামলায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


মোদী পদবি মানহানি মামলা-
২০১৯ সালে কর্নাটকের কোলারে লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “সমস্ত চোরদের পদবি মোদী হয় কেন? নীরব মোদীকে দেখুন বা ললিত মোদী, কিংবা নরেন্দ্র মোদী…”। রাহুলের এই মন্তব্যের পরই গুজরাটের বিজেপি সাংসদ পূর্ণেশ মোদী মানহানির মামলা করেন। গত ২৩ মার্চ সুরাট আদালতের তরফে মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং দুই বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়। এর পরদিনই, ২৪ মার্চ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়।
সুরাট আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল গান্ধী। গত ৭ জুলাই গুজরাট হাইকোর্ট রাহুল গান্ধীর সাজার উপরে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা। আজ ওই মামলার শুনানি থাকলেও, শীর্ষ আদালতের তরফে রাহুল গান্ধীর সাজায় স্থগিতাদেশ ঘোষণা করা হয়নি। আগামী ৪ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours