শনিবার (১ জুলাই), জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার গড়, গোয়ালিয়র থেকেই মধ্য প্রদেশ নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীবাল। জনসভা থেকে তালিকা ধরে দিলেন খয়রাতির প্রতিশ্রুতি।
Kejriwal in MP: আমি দিলে আপনার কী মোদীজি? গোয়ালিয়রে আপের খয়রাতির হিসাব দিলেন কেজরীমধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে জনসভায় অরবিন্দ কেজরীবাল
Image Credit Source: Twitter / AAP
ভোপাল: “আমি খয়রাতি করলে আপনার কী?” শনিবার (১ জুলাই), মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীবাল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার গড়, গোয়ালিয়র থেকেই মধ্য প্রদেশ নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন তিনি। এদিন সেখনে একটি রোডশো করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তারপর, এক জনসভা থেকে তালিকা ধরে দিলেন খয়রাতির প্রতিশ্রুতি। তিনি জানান দিল্লি এবং পঞ্জাবে জনগণকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, চিকিৎসা, মহিলাদের বিনামূল্যে ভ্রমণ, বয়স্কদের বিনামূল্যে তীর্থ, ১২ লক্ষ যুবর জন্য চাকরি দিয়েছে আপ সরকার। এরপরই তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রশ্ন ছোড়েন, তিনি যদি জনগণকে এই সুবিধাগুলি দেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কী আসে যায়? কেজরিওয়াল বলেন, “আমরা বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিতে শুরু করায় পিএম মোদী অত্যন্ত রেগে গিয়েছেন। তিনি বলছেন, আমরা খয়রাতি করছি। আমরা বলছি, আমরা খয়রাতি করছি।”
আপ জানিয়েছে, তারা মধ্য প্রদেশের ২৩০টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আপের সর্বভারতীয় সম্পাদক সন্দীপ পাঠককে আম আদমি পার্টি, মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করবে বলে শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়ে সন্দীপ জানিয়েছেন, “আপ জিতলে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চায়, তা জানার অধিকার আছে জনতার। উপযুক্ত সময়েই দল মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করবে। ”
মধ্য প্রদেশের নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করে গোয়ালিয়র চম্বল বলয়। এই বলয়ে রয়েছে আটটি জেলা – মোরেনা, গোয়ালিয়র, ভিন্দ, শিবপুরী, শেওপুর, দাতিয়া, অশোকনগর এবং গুনা। সবকটি জেলাই পূর্বতন গোয়ালিয়র রাজ্যের অংশ ছিল। রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে তাই এই জেলাগুলির উপর জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানকার ৩৪টি আসনের মধ্যে২৬টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। তবে, সেই সময় সিন্ধিয়া ছিলেন হাত শিবিরে। তিনি শিবির বদল করার পর, কংগ্রেস এবং বিজেপি – দুই দলের হাতেই ১৭টি করে আসন আছে। এখন এই দুই দলের একচেটিয়া বাজারে প্রবেশ করতে চাইছে আম আদমি পার্টিও।
এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা রিপোর্টগুলিতে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে মধ্য প্রদেশে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এই অবস্থায় আপের প্রবেশ, কংগ্রেসের পক্ষে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। এখনও পর্য়ন্ত রাজ্যে আম আদমি পার্টির কোনও ভোট ভিত্তি নেই। তবে, এর আগে গুজরাট নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসিয়েছে আপ। বিরোধী ঐক্যের আবহেও, কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে। মধ্য প্রদেশ নির্বাচন এই ফাটল আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
অক্টোবর নভেম্বরে মধ্য প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। পরের সপ্তাহেই ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারদের একটি দল আসবে রাজ্য়ে। রাজ্যের নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তারা। সোমবারই তাঁদের ভোপালে আসার কথা। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দল মিজোরাম, ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা এবং রাজস্থান সফর করেছেন তাঁরা। এই রাজ্যগুলিতেও বছরের শেষে নির্বাচন হওয়ার কথা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours