গত শনিবার ভোটগ্রহণের বুথে ঢুকে ছাপ্পা দেয় একদল বহিরাগত দুষ্কৃতী। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করতে গেলে সেই সব লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ।

Panchayat Elections 2023: ফাঁকা বুথে সারাদিন বসে রইলেন ভোটকর্মীরা, অস্ত্র হাতে রাস্তাতেই রইলেন 'ভোটার'রাঅস্ত্র হাতে বিক্ষোভ
পূর্ব মেদিনীপুর: ভোটের দিন অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল বলেই পুনর্নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার সেই মতো বুথেও পৌঁছে যান ভোটকর্মীরা। কিন্তু ভোটার কই! গ্রামের মানুষজন তো রাস্তায়! অপেক্ষা করেন ভোটকর্মীরা। সকাল, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়, ভোট দিতেই যাননি গ্রামবাসীরা। দিনভর অস্ত্র হাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যে ভোটে হুমকি জোটে, সন্ত্রাস, সেই ভোটে অংশ নিতে চাননি তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকে এমনই বিক্ষোভের ছবি দেখা যায় এদিন।


আমতলিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯১ নম্বর বুথে পুননির্বাচনের আয়োজন হলেও ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসীরা। বহিরাগতরা যদি গ্রামে ঢুকে ছাপ্পা দেয়, সেই আশঙ্কাতে এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের মহিলাদের কারও হাতে ছিল বঁটি, কারও হাতে কাটারি, কারও হাতে তলোয়ার কিংবা লাঠি। সারাদিন ধরেই দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে।

অভিযোগ, গত শনিবার ভোটগ্রহণের বুথে ঢুকে ছাপ্পা দেয় একদল বহিরাগত দুষ্কৃতী। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করতে গেলে সেই সব লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়, আক্রান্তও হন দু’পক্ষের কয়েকজন। বাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কা ছিল সোমবারও এমনটা হতে পারে। তাই তার আগে গ্রামবাসীরা রবিবার একজোট হয়ে মিটিং করেন। সেকখা


ফের বহিরাগতরা এসে সন্ত্রাস, ছাপ্পাভোট কিংবা ভোটলুট শুরু করতে পারে, সেই আশঙ্কাতেই গ্রামবাসীরা রবিবার একজোট হয়ে মিটিং করে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতোই সোমবার রাস্তায় নামেন গ্রামবাসীরা। বিডিও, পুলিশ সবাই বোঝালেও সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়নি। গ্রামবাসীদের পাশে ছিলেন এলাকার বিজেপি নেতৃত্বও। শাসক দলের দাবি, এটা বিজেপির চক্রান্ত।

স্থানীয় মহিলা রাধারানী গিরি জানান, ভোটের দিন গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হুমকিও দেওয়া হয়েছিল যে সোমবার ছাপ্পা দিতে আসবে। তাঁর দাবি, গ্রাম আগে শান্তি হোক, তারপরে ভোট দেওয়া হবে।

কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও বিডিও শুভজিৎ জানা বলেন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়। কিন্তু তাঁরা ভোট দিতে রাজি হননি। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নির্বাচন কমিশনই ঠিক করবে।

দেশপ্রাণ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী তরুণ কুমার জানা দাবি করেন, বিজেপি চক্রান্ত করে মানুষকে এই কাজে মদত দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অসীম মিশ্র। তিনি বলেন, শাসক দলের দুর্নীতির প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours