আজ আরও এক ২১ জুলাই। তবে এবার নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি সম্পূর্ণ শুনশান। নেই পুলিশের কোনও কড়াকড়ি। নেই দলীয় পতাকা লাগানোর জন্য কোনও দলীয় কর্মী।
স্নান সেরে ৩ রকমের সুগন্ধি মেখে এতক্ষণে ২১-এর মঞ্চে হাজির পার্থ, তবে আজ...পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা: তখন তিনি রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূলের মহাসচিব। নিজের প্রিয় ন’টি দামি সুগন্ধি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে যাওয়ার আগে ব্যবহার করতেন তার মধ্যে ঠিক তিনটি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চের গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত করতেন। সেই মতো তিনি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়তেন এবং স্নান সেরে পোষ্যদের আদর করেই বেরিয়ে যেতেন ধর্মতলার পথে।
সকাল ১০টা ৪৫ থেকে ১১ টার মধ্যে ধর্মতলার শহিদ মঞ্চে পৌঁছে যেতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বেরোনোর আগেই নাকতলায় বাড়ির সামনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পতাকা এবং ব্যানার নিয়ে হাজির হয়ে যেতেন। স্লোগানে স্লোগানে গম গম করে উঠত গোটা নাকতলা।
আজ আরও এক ২১ জুলাই। তবে এবার নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি সম্পূর্ণ শুনশান। নেই পুলিশের কোনও কড়াকড়ি। নেই দলীয় পতাকা লাগানোর জন্য কোনও দলীয় কর্মী। ফি বছর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলতেন পার্থ। তারপর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চের দিকে রওনা দিতেন।
কর্মীরা যাতে বিশৃঙ্খল না হন, সঠিকভাবে সবটা হয় মঞ্চের উপর থেকেই সবটা নজরে রাখতেন। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ভারও থাকত দলের ‘মহাসচিব’-এর হাতেই। সঙ্গে অবশ্য সুব্রত বক্সীও থাকতেন। তবে পার্থই ছিলেন সবকিছু।
এক বছর হল জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতবছর সমাবেশ থেকে ভাষণ দিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। ২২ জুলাই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ। ২৩ জুলাই সকালে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিন গিয়েছে, গিয়েছে মন্ত্রিত্ব-মহাসচিব পদও। দলেই এখন ‘ব্রাত্য’ তিনি। এই প্রথমবার জেল থেকে ২১ জুলাইয়ের সভা দেখবেন পার্থ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours