শশী পাঁজার বক্তব্য, এত কিছুর মধ্যেও ১৩-১৪টি জেলায় নির্বিঘ্নে, কোনও ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই ভোট করানো গিয়েছে। তাঁর কথায়, বড়-সড় ঝামেলা হয়েছে ৮-৯টি বুথে। এছাড়া বাকি ৬০টি বুথে কোথাও ছোটখাটো, তো কোথাও মাঝারি ধরনের গোলমাল হয়েছে।
Panchayat Election 2023: কোনটা বড় ঘটনা, কোনটা ছোট? অশান্তি-গোলমালের ব্যাপ্তির ফারাক বোঝাল তৃণমূলসাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের সকাল থেকেই অশান্তির অভিযোগ। অসমর্থিত সূত্রে খবর, গতরাত থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৬ জন। সেই তালিকায় যেমন বিরোধী দলের সমর্থকরা রয়েছেন, তেমনই শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরাও রয়েছেন। পুলিশ কোথায়? কেন্দ্রীয় বাহিনীই বা কী করছে? এসব নিয়ে প্রশ্নের মাঝেই এবার অশান্তি ও গোলমালের ব্যাখ্যা দিতে বসল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিকেলে তৃণমূল ভবনে একযোগে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু। ঝামেলা যে হয়েছে, তা অস্বীকার করছে না তৃণমূল। তবে কোনটা বড় ঝামেলা, কোনটা ছোট ঝামেলা… তা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে বুঝিয়েও দিল।

শশী পাঁজার বক্তব্য, এত কিছুর মধ্যেও ১৩-১৪টি জেলায় নির্বিঘ্নে, কোনও ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই ভোট করানো গিয়েছে। তাঁর কথায়, বড়-সড় ঝামেলা হয়েছে ৮-৯টি বুথে। এছাড়া বাকি ৬০টি বুথে কোথাও ছোটখাটো, তো কোথাও মাঝারি ধরনের গোলমাল হয়েছে। ঝামেলার কথা মেনে নিলেও, তা যে পরিসংখ্যানগত হিসেবে একেবারেই নগণ্য, তাও বোঝাতে কোনও খামতি রাখলেন না তিনি। বললেন, মোট বুথ ৬১ হাজার ৫৩৯টি। সেখানে যেসব জায়গায় ঝামেলা হয়েছে, তা শতকরা হিসেবে অত্যন্ত কম। যদিও কোনও ঘটনাই যে কাম্য নয়, সে কথাও মানছেন শশী। পাশাপাশি যাদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই যে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক, তাও মনে করিয়ে দেন মন্ত্রী।

একই কথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মুখেও। বলছেন, ‘৬১ হাজারেরও বেশি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ৮-৯টি বড় ঘটনা। আর বড়জোর ৬০টি ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে। কোথাও পাঁচ মিনিটের গন্ডগোল, কোথাও আধ ঘণ্টার গন্ডগোল, পাড়ার গন্ডগোল হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মারা যাচ্ছেন তৃণমূলের।’ তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, বাংলায় ‘ভোট হচ্ছে না’ কিংবা বাংলার ‘রক্তের হোলি’ চলছে… এসব বলে বিরোধীরা ‘আতঙ্কের মার্কেটিং’ করতে চাইছে। যদিও প্রতিটি মৃত্যুই যে দুর্ভাগ্যজনক এবং কোনও ঘটনাই যে কাম্য নয়, সে কথাও বলছে তৃণমূল।

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তৃণমূলের। কুণালের প্রশ্ন, ‘চাওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ঘুরছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর সন্ত্রাস হলে ভিলেন রাজ্যের প্রশাসন। এটা কীভাবে হতে পারে?’


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours