দীপ্সিতার অভিযোগ, ভোট লুঠের খবর পাওয়ার পর তিনি বুথে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করেন। শুধু তিনিই নয় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর মা দীপিকা ধরও। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের।

 দীপ্সিতা ধরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, থাপ্পড় খেলেন সিপিএম নেত্রীর মা-ও, অভিযুক্ত তৃণমূলআক্রান্ত দীপ্সিতা ও তাঁর মা

হাওড়া: হাওড়ায় আক্রান্ত সিপিএম যুব নেত্রী দীপ্সিতা ধর। রাস্তায় ফেলে সিপিএম নেত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দীপ্সিতার অভিযোগ, ভোট লুঠের খবর পাওয়ার পর তিনি বুথে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করেন। শুধু তিনিই নয় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর মা দীপিকা ধরও। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের।


এ দিন, বালি ঘোষপাড়া বালিকা বিদ্যাপীঠে অবাধ ভোট লুঠ করছে বলে খবর যায় দীপ্সিতার কাছে। সেই মতো তিনি দ্রুত ওই বুথে পৌঁছন। অভিযোগ, তখনই শাসকদলের একদল দুষ্কৃতী দীপ্সিতাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। তৈরি হয় উত্তেজনা। পুলিশ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুধু তাই নয়, আরও কয়েকজন সিপিএম কর্মীকেও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। একজনের কান কেটে রক্তও বেরিয়ে গিয়েছে। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের দাবি, যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সকলেই বহিরাগত। এবং শাসকদলের দুষ্কৃতী।


অপরদিকে, নিশ্চিন্দা বীনাপাণি স্কুলে সিপিএম প্রার্থী তথা দীপ্সিতার মা দিপীকা ধরকেও হেনস্থার অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ধস্তাধস্তিতে ভেঙে গিয়েছে দীপিকাদেবীর চশমার কাচ। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “সকাল থেকেই টুকটাক ছাপ্পা চলছিল। আমরা বসেছিলাম। পরে শুনি দুর্গাপুরে ব্যাপকহারে ছাপ্পা ভোট চলছে। আমি আর আমার নির্বাচনী এজেন্ট হিন্দি স্কুলে যাই। সেখানে যেতেই এক মহিলা আমাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন। তখন আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অভিযোগ জানাতে যাই। সেই সময় ভিতর থেকে একদল পুরুষ যাঁরা এলাকার বহিরাগত সকলে এসে আমাদের আক্রমণ করল। আমার গালে চড় মেরেছে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূলের নেতা কল্যাণ দাস বলেন যে, তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে দীপিকা এবং তার সঙ্গীরা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours