ডেপুটি মেয়রের সন্তানের বয়স গুলিয়ে ফেললেন তিনি। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ভ্লাদিমির পুতিনের স্মৃতিভ্রংশ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সাফ জনানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভাল আছেন।
Vladimir Putin: কিছু মনে রাখতে পারছেন না, ভুল বকছেন পুতিন? নয়া ভিডিয়ো সামনে আসতেই জোর জল্পনারুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
মস্কো: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন জল্পনা। ক্রেমলিনে এক ডেপুটি মেয়রের সন্তানের বয়স গুলিয়ে ফেললেন তিনি। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ভ্লাদিমির পুতিনের স্মৃতিভ্রংশ নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সাফ জনানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভাল আছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে, তা দেখে নেটিজেনরা একযোগে বলছেন, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের লক্ষণ স্পষ্ট। উলিয়ানা ইয়াপ্পারোয়া নামের এক রুশ ব্লগার ভিডিয়োটি টুইট করেছেন। ওই ভিডিয়োতে ভ্লাদিমির পুতিনকে, নিঝনি নভগোরড শহরের ডেপুটি মেয়র ইভান শটকম্যানের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। আর সেই কথোপকথনের সময়ই ধরা পড়েছে বেশ কিছু অসঙ্গতি।
শটকম্যান ছিলেন সামরিক ইউনিফর্মে। তিনি পুতিনকে জানান তাঁর ব্যবসায়িক সাফল্যের কথা। তিনি জানান, ব্যবসায়িক সাফল্যই তাঁকে নিঝনি নভগোরড শহরের ডেপুটি মেয়র হওয়ার দিকে এগিয়ে দিয়েছিল। তিনি অনুভব করেছিলেন, দেশের জন্য তাঁর কিছু করা উচিত। আর তা থেকেই তিনি ডেপুটি মেয়র পদ প্রার্থী হয়েছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে তিনি সেনাবাহিনীতেও যোগদান করেন। স্বাভাবিকভাবেই শটকম্যানের কথায় মুগ্ধ হন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “দেশের ভবিষ্যতের বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত, আপনি দেশের জন্য কিছু করতে চেয়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসেছেন। শেষ পর্যন্ত, দেশের প্রতি আপনার এই উৎসর্গ, আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই।”
তবে, সাধারণত পুতিনকে যেভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়, এই ক্ষেত্রে সেই ছবিটির অভাব ছিল। তাঁকে মাঝে মাঝেই ছাদের দিকে তাকাতে দেখা যায়। কথায় দৃঢ়তা ছিল না, বিড়বিড় করে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এরপর ভ্লাদিমির পুতিন, শটকম্যানের সন্তানদের বয়স জিজ্ঞেস করেন। ইভান শটকম্যান জানান, তাঁর সর্বকনিষ্ঠ সন্তানের বয়স নয়, বড় ছেলের বয়স ২৩। জবাবে, রুশ প্রেসিডেন্ট ইভান শটকম্যানের যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, “আপনার ছোট সন্তানের বয়স বলছেন তিন বছর…।”
পুতিনের এই ভিডিয়ো ক্লিপটি ছড়িয়ে পড়তেই, সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। একাংশের নেটিজেনদের দাবি, ভ্লাদিমির পুতিনের ছাদের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে বিড়বিড় করে কথা বলা অত্যন্ত ‘অস্বাভাবিক’। এরকম ভাবে কথা বলতে ডিমেনশিয়া আক্রান্তদেরই দেখা যায়। কেউ কেউ দাবি করেছেন, অন্য লোকদের কথা তিনি শুনতে পাচ্ছেন না। এই সবগুলিই স্মৃভ্রংশের লক্ষণ বলে দাবি করেছেন বহু মানুষ। বস্তুত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বহুবার ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কখনও বলা হয়েছে তিনি ডিমেনশিয়া আক্রান্ত। কখনও বলা হয়েছে কোনও জটিল স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত তিনি। আবার কখনও গুজব রটেছে পুলতিনের ক্যান্সার হয়েছে। কেউ কেউ এমনও দাবি করেছেন যে, পুতিন ‘বডি ডাবল’ ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ, তিনি নাকি এতটাই অসুস্থ যে নিজে প্রকাশ্যে আসছেন না। বদলে অবিকল তাঁর মতো দেখতে এক ব্যক্তিকে পুতিন বলে চালানো হচ্ছে। পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হলেও, চলতি সপ্তাহেই রুশ প্রেসিডেন্টকে এক অনলাইন আলোচনা পরিচালনা করতে দেখা গিয়েছিল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours