মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় অবশ্য স্কোর লাইন নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট। সুহেল এবং আক্রমণ ভাগ দারুণ পরিস্থিতিতে রেখেছিল। ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পারলে, জয়ের আনন্দ আরও বেশি হত।
Mohun Bagan: সাত নম্বর জার্সির হ্যাটট্রিক, চেনা সেলিব্রেশন; কী বলছেন মোহনবাগানের জয়ের নায়ক?
সেলিব্রেশনটা চেনা লাগছে? জার্সি নম্বরটাও তো চেনা। এমনই হওয়ার কথা। এই ফুটবলারকে চেনা লাগছে কি? মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে ভবিষ্যৎ তারকা। কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে নজর কাড়ছেন সুহেল। কাশ্মীর থেকে মোহনবাগান। ময়দানে কাশ্মীরের ফুটবলারদের মধ্যে অতি পরিচিত নাম ইসফাক আহমেদ, মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু। তাঁদের কাছ থেকে মোহনবাগান সম্পর্কে শুনেছেন। মোহনবাগান মাঠে খেলা থাকলে কেমন উন্মাদনা হয়, সেই আঁচও পেলেন। ডালহৌসির বিরুদ্ধে ৫-২ ব্যবধানে জিতল মোহনবাগান। হ্যাটট্রিকে জয়ের নায়ক সুহেল ভাট। কী বলছেন হ্যাটট্রিকের নায়ক? বিস্তারিত জেনে নিন এর এই প্রতিবেদনে।
মরসুমে প্রথম ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলল মোহনবাগান। শুধু তাই নয়, প্রায় ৪ বছর পর নিজেদের মাঠে ম্যাচ। গত কয়েক ম্যাচের চেয়ে সমর্থন বেশি থাকবে, এমনটাই স্বাভাবিক। সমর্থকদের হতাশ করেনি মোহনবাগানের তরুণ ব্রিগেড। গোলের পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সিউউ সেলিব্রেশন মোহনবাগানের সাত নম্বর জার্সির সুহেল ভাটের। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘ইসফাক ভাইয়ের কাছে মোহনবাগানের ব্যাপারে অনেক কিছুই শুনেছি। তেমনই মেহরাজ ভাইয়ের অ্যাকাডেমিতে খেলার সময়ও শুনেছি। বাবা ফুটবলার ছিল। তাই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই।’
বাবা যদি ফুটবলের পথে প্রথম নায়ক হন, আদর্শ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সুহেল সে কথাই বলছেন। সেলিব্রেশনের নেপথ্য কারণও ব্যাখ্যা করলেন। বলেন ‘রোনাল্ডোকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাই ওর মতো সেলিব্রেট করি। ওকে দেখেই গোলের খিদে বাড়ে। ভারতীয় ফুটবলে আইকন সুনীল ছেত্রী। কাশ্মীরে আইডল মেহরাজ। কয়েক বছর আগে আই লিগের সময় কাশ্মীরে খেলতে গিয়েছিল মোহনবাগান। সেই সময় গ্যালারিতে ছিলাম।’ আর এ বার মোহনবাগান গ্যালারি তাঁর জন্য গলা ফাটাচ্ছে।
মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় অবশ্য স্কোর লাইন নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট। সুহেল এবং আক্রমণ ভাগ দারুণ পরিস্থিতিতে রেখেছিল। ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পারলে, জয়ের আনন্দ আরও বেশি হত। বাস্তব বলছেন, ‘রক্ষণে মনঃসংযোগের অভাব থাকায় হয়তো গোল হজম করেছি। সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
হ্যাটট্রিকের নায়ককে নিয়ে বাস্তব রায় বলেন, ‘সুহেল সবে শুরু করেছে। রোজ প্রমাণ করতে হবে। স্ট্রাইকার পজিশন খুব চ্যালেঞ্জিং। সমর্থকরা যে ভাবে পাশে থাকছে তা ঈর্ষণীয়। সমর্থকরাও পাল্টাচ্ছে। বিদেশিহীন লিগ কতটা ভালো, আরও কিছু বছর গেলে বলতে পারব। তবে এটাই যদি লিগে বিদেশি থাকত। তাহলে হয়তো সামনে সুহেলের জায়গায় কোনও বিদেশি খেলাতাম।’
মোহনবাগান মাঠের পরিবেশ, দলের খেলা দেখে মুগ্ধ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বলছেন, ‘মোহনবাগান মাঠের যা পরিবেশ, ফুটবলারদের মধ্যে যেরকম তালমিল, মনে হচ্ছিল ব্রাজিলে বসে খেলা দেখছিলাম। এরকম ভাবে এগোলে আগামী দিনে বাংলার ফুটবল আরও এগোবে। সাফল্য আসবে।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours