অধীররঞ্জন চৌধুরী বললেন, '২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন কংগ্রেসের ঘাড়ে ভর করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি রাজ্যবাসীর মোহমুক্তি ঘটেছে। তাই তাঁর মনে হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরতে হবে।'
একুশের মঞ্চে কংগ্রেসে 'চুপ' মমতা, ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই তৃণমূলকে তুলোধনা অধীরেরমমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অধীর চৌধুরী
মুর্শিদাবাদ: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে একবারের জন্যও আক্রমণ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি করেছে বিরোধীরা। হাতে হাত ধরেছেন মমতা-অভিষেক-সনিয়া-রাহুলরা। তারপরই একুশের মঞ্চে অধীর চৌধুরীদের একবারের জন্যও খোঁচা দিলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা কংগ্রেসকে নিশানা না করলেও, অধীর কিন্তু ছেড়ে কথা বলছেন না। একুশের মঞ্চে মমতা কংগ্রেসকে আক্রমণ না করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘কংগ্রেস ছাড়া তৃণমূলকে বাঁচানোর কেউ নেই।’ অধীরের দাবি, তিনি অনেক আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে একদিন না একদিন মমতাকে কংগ্রেসের কাছে যেতেই হবে।
শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলকে কার্যত তুলোধনা করলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। বললেন, ‘২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন কংগ্রেসের ঘাড়ে ভর করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি রাজ্যবাসীর মোহমুক্তি ঘটেছে। তাই তাঁর মনে হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরতে হবে।’ অধীরের বক্তব্য, ইন্ডিয়ার ভাবনা এসেছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো কর্মসূচির থেকেই। বললেন, ‘ভারত জোড়ো কর্মসূচি গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গোটা ভারতে পরিবর্তনের স্পষ্ট ইঙ্গিত। রাহুল গান্ধীরসেই ভাবনার সঙ্গে না যোগ দিলে, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে… সেটা বুঝতে পেরেই বিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে তৃণমূল।’ তৃণমূল নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে বলেই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বলছেন, ‘কংগ্রেসেরতৃণমূলকে যতটা দরকার, তার থেকে অনেক বেশি তৃণমূলের কংগ্রেসকে দরকার।’ পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তৃণমূলকে।
উল্লেখ্য, গতকালই একশো দিনের কাজের প্রকল্পের ধাঁচে বাংলায় ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের কথা চালু করার ভাবনার কথা জানিয়েছেন মমতা। এই নামকরণ নিয়েও তীব্র আপত্তি অধীরের। কেন একটি রাজনৈতিক স্লোগানের নাম সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। বলছেন, ‘২০২৪ সালে ভোট আসছে বলে কি আবার নতুন করে ১০০ দিনের কাজের কথা বলে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছেন? বাংলার মানুষকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা নয় তো?’ এই বিষয়টি ‘রাজনীতির খেলা’ ছাড়া আর কিছুই মনে করছেন না তিনি। বলছেন, ‘সরকারি টাকায় ভোটের প্রচার।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours