: ‘আমাদের মেরুদণ্ড সোজা, গলা কাটলেও জয় বাংলা বেরবে’, ইডির নোটিস নিয়ে খোঁচা অভিষেকের
Abhishek Banerjee: সভা থেকে অভিষেক বলেন, "মাদারিহাটে বলেছিলাম প্রতি দুমাস অন্তর এখানে আসব। সেই মতো এখানে তিনবার এসেছি। বিধানসভায় ফালাকাটায় কম ব্যবধানে আমরা হেরেছি।"
Abhishek Banerjee: 'আমাদের মেরুদণ্ড সোজা, গলা কাটলেও জয় বাংলা বেরবে', ইডির নোটিস নিয়ে খোঁচা অভিষেকেরফাইল ছবি
Image Credit Source: Facebook- Abhishek Banerjee
আলিপুরদুয়ারে ভোট প্রচারে গিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবজোয়ার কর্মসূচির পর ফের উত্তরবঙ্গ সফরে অভিষেক।
এক নজরে আপডেট (সর্বশেষ তথ্য উপরে)
অভিষেক: এত ইডি সিবিআই লাগিয়েছে। তিন বছরে রোজ ইডি-সিবিআই নোটিস দিয়েছে। আমাদের মেরুদন্ড সোজা। গলা কাটলেও জয় বাংলা বেরবে। আগামী দিন যত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক, ভোট ওরা দেয় না। ভোট মানুষ দেয়। নির্বাচন শেষের পর বৃৃহত্তর লড়াই শুরু।
অভিষেক: প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকর। উনি নাকি গ্যারেন্টার। আর তার প্রোডাকটের নাম জন বার্লা। বাড়ি দেখেছেন? শুভেন্দু অধিকারীকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখেছেন? প্রধানমন্ত্রী শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিষেক: এর আগে জন বার্লাকে কেউ চিনত? আপনারা ভোট দিয়েছেন ধর্মের নামে। কেউ নিজেদের অধিকারের জন্য ভোট দেননি। সত্যি কথা শুনতে খারাপ লাগে। আগামী পঞ্চায়েতে ধর্মের নামে নয়, অধিকারের নামে ভোট দিন। ২০১৯ সালের পর প্রায় চার বছর হয়েছে। এই কয়েকটি বছরে জন বার্লা একটি বৈঠক করেছে? রাস্তা, জল করে দিয়েছে। বা তার সাহায্যে কোনও বৈঠক করেছে ?
অভিষেক: কী করব বলুন? পায়ে ধরো না দিল্লি চলো। প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছি। যখন যা চাইব তাই করব। মানুষ চাইলে ওনাকে নামিয়ে আনতে পারে। এটাই ক্ষমতা।
অভিষেক: জন বার্লাকে কতবার দেখেছেন? ওনার বাড়ি দেখেছেন? আচ্ছে দিন ওদের এসেছে। আমাদের সাংসদদের প্রতিনিধি দল গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। উনি দফতরে থাকার পরও দেখা করেননি। কারণ প্রশ্নের জবাব নেই। এখন দুটো রাস্তা। প্রথম রাস্তা হল অনেক অনুরোধ করেছি তার ফল পাইনি। দ্বিতীয় হল, এখন নরেন্দ্র মোদীর পায়ে ধরা। বাংলার টাকা তুমি ছাড়। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ভিক্ষা করা। আর নয়ত, ১০ লক্ষ মানুষ গিয়ে টাকা ছিনিয়ে আনা।
অভিষেক: বিজেপি ৯ বছরের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুক। আমি ১২ বছরের উন্নয়ের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব। জায়গা বিজেপি ঠিক করুক। জনমুখীপ্রকল্পের নিরিখে লড়াই হবে। এক ঘণ্টায় ভোটকাট্টা করে দেব।
অভিষেক: ৬৭টি বন্ধ চা বাগান খুলেছে। সিপিএম-এর সময়ের থেকে দৈনিক মজুরি বেড়েছে।
অভিষেক: আমি দুমাস ঘর পরিবার ছেড়ে রাস্তায় থেকেছি। আগামী ৮ই জুলাই মাথা উঁচু করে ভোট দেবেন। আচ্ছে দিন আসেনি। তেলের দাম বেড়েছে। আর তৃণমূল এখানে না জিতলেও চা শ্রমিকদের স্বার্থে লড়েছে।
অভিষেক: আপনারা যাদের নির্বাচন করেছেন সেই বিজেপি সংসদ, বিধায়করা দিল্লিতে গিয়ে বলে টাকা বন্ধ করে দাও। পঞ্চায়েতের পর দিল্লি যাব। আন্দোলন করব।
অভিষেক: এই জেলায় প্রচুর মানুষের জীবিকা একশো দিনের কাজের উপর নির্ভরশীল। প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ যুক্ত এই কাজের সঙ্গে। নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই টাকা বন্ধ করেছে। বিজেপি জিতলে অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
অভিষেক: মোদী বাংলায় হেরে আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করেছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরেও টাকা দিচ্ছে। এটা পার্থক্য।
অভিষেক: এখানে পাঁচটি বিধানসভা রয়েছে। এই জেলার প্রতিটি মানুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান। এখানে কোনও তৃণমূলের প্রার্থী জেতেনি। কিন্তু কোনও মহিলা বলতে পারবে না তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাননি।
অভিষেক:মাদারিহাটে বলেছিলাম প্রতি দুমাস অন্তর এখানে আসব। সেই মতো এখানে তিনবার এসেছি। বিধানসভায় ফালাকাটায় কম ব্যবধানে আমরা হেরেছি। এই জেলার মানুষ ২০১৯ সালে ভোটে জিতিয়েছিল জন বার্লাকে। ২০২১ সালে পাঁচ জন বিধায়ককে জিতিয়েছিলেন। তার মধ্যে সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলে যোগদান করেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours