ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ আজ়াদ পার্টির প্রধান বলেন, "অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রশ্নই আসে না। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্য়াহারের মতো সহজ কাজ হবে না এটা।"
Ghulam Nabi Azad: '৩৭০ অনুচ্ছেদের মতো সহজ হবে না...', অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করলেন আজাদগুলাম নবি আজাদ।
Image Credit Source: PTI
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বর্তমানে সবথেকে চর্চিত বিষয় হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড (Uniform Civil Code)। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দাবি জানিয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার সপক্ষে সওয়াল করেন। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে চলতি বছরেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হতে পারে। বাদল অধিবেশনেই এই দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রস্তাবনা পেশ করা হতে পারে। তবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে প্রতিবন্ধকতার মুখেও পড়তে হতে পারে সরকারকে। শনিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদও সেই ইঙ্গিত দিলেন। তিনি বলেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের মতো সহজ হবে না। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সব ধর্মের উপরই পড়বে।”
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ আজ়াদ পার্টির প্রধান বলেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রশ্নই আসে না। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্য়াহারের মতো সহজ কাজ হবে না এটা। সমস্ত ধর্মের সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত জড়িত। শুধুমাত্র মুসলিমরাই নন. খ্রিস্টান, শিখ, আদিবাসী, জৈন, পার্সিরাও এতে বিরক্ত। কোনও সরকারের পক্ষে এটা ভাল হবে না। তাই আমি সরকারকে পরামর্শ দেব যে এই পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনাও করবেন না।”
উল্লেখ্য, অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে দেশের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন আনার প্রস্তাব দেওয়া হবে। কোনও ধর্মের ভিত্তিতে নয়, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সম্পত্তির অধিকার ও দত্তক নেওয়ার নিয়মে একই নিয়ম চালু করা হবে।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর সরকারের তরফে জমিহীন বাসিন্দাদের জমি দেওয়ার নীতির যে ঘোষণা করা হয়েছে, তার প্রশংসা করে গুলাম নবি আজাদ বলেন, “এটা ভাল সিদ্ধান্ত। জমি দেওয়া উচিত, তবে একটা শর্ত রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের গরিব মানুষদেরই এই জমি দেওয়া উচিত।”
জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে গুলাম নবি আজাদ বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে অপেক্ষা করছি। যখন ২০১৮ সালে বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়, তবে থেকে আমরা নির্বাচনের অপেক্ষা করছি। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ রাজ্য়ে ফের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সাধারণ মানুষ যখন নিজেদের প্রতিনিধিদের ভোট দিয়ে বেছে নেবেন, তখন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours