ব্যাটিংয়ের দিক থেকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া দু-দলই কার্যত একই জায়গায়। বোলিংয়ে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় শিবিরে সামি-সিরাজ সাফল্য না পেলে সমস্যা বাড়বে।
WTC Final 2023 : কোন বলে WTC ফাইনাল? কার সুবিধা বেশি!
কলকাতা : হাতে আর কয়েকটা দিন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। টানা দ্বিতীয় বার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত। এ বারের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। সদ্য আইপিএল শেষ হয়েছে। দীর্ঘ দু-মাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পর অন্য ফরম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। আরও নানা প্রতিবন্ধকতাই রয়েছে। গত দু-মাস কাঠফাটা গরমে খেলতে হয়েছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হবে নিরপেক্ষ ভেনুতে। লন্ডন ওভালে ফাইনালে নামছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেখানকার আবহাওয়া ঠান্ডা। অন্তত ভারতীয় দল এমন পরিস্থিতিতেই অনুশীলন করছে। ৭-১১ জুন ওভালে রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচের অপেক্ষা। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের নিরিখে সাম্প্রতিক ফলে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে গত তিনটি টেস্ট সিরিজই জিতেছে ভারত। ফাইনাল কোন দিক থেকে আলাদা? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইপিএল এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মাঝে প্রস্তুতির জন্য ভারতের কাছে খুবই কম সময়। ফাইনাল হবে ডিউক বলে। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ডিউক বলে খেলা হয়। ভারত খেলে এসজি টেস্ট বলে। তেমনই অস্ট্রেলিয়া খেলে কুকাবুরা টেস্ট বলে। সে দিক থেকে বলতে গেলে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দু-দলের কাছেই পরিস্থিতি একই। ডিউক বলে খেলতে যাতে সমস্যা না হয়, আইপিএল চলাকালীনও কিট ব্যাগে থাকতো ডিউক বল। কিছুটা প্রস্তুতি আইপিএলের মাঝেও হয়েছে। তবে প্রস্তুতি এবং ম্যাচে খেলা দু এক জিনিস নয়।
ভারতের চিন্তা এবং স্বস্তির জায়গাও রয়েছে। ভাবনার জায়গা জসপ্রীত বুমরা। ডিউক বলের সঙ্গে বুমরার ‘বন্ধুত্ব’ খুবই ভালো। চোটের কারণে দীর্ঘ সময় ধরেই মাঠের বাইরে বুমরা। যা অস্বস্তির বিষয়। বোলিংয়ের দিক থেকে স্বস্তির বিষয় মহম্মদ সামি এবং মহম্মদ সিরাজের ফর্ম। আইপিএল দিয়ে হয়তো টেস্ট ম্যাচের বিচার করা যাবে না। তবে সামির ক্ষেত্রে আইপিএলেও একটা বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সামি এ বার পার্পল ক্যাপ জিতেছেন। তাঁর সাফল্যের রহস্য কিন্তু টেস্ট ম্যাচের লাইন লেন্থে বোলিং করা। পার্পল ক্যাপ জিতে সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন। সামি, সিরাজ যদি ডিউক বলেও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেন, প্রতিপক্ষর চাপ বাড়বে।
অন্যান্য বলের তুলনায় ডিউক বলে মুভমেন্ট বেশি হয়। ইংল্যান্ডের পরিস্থিতিতে যা আরও ভয়ঙ্কর। বল পুরনো হতেও সময় লাগে। ব্যাটাররা ধৈর্য ধরে প্রথম সেশন কাটিয়ে দিতে পারলে বড় রান করা সম্ভব। এই সতর্কবার্তা দু-দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া দু-দলই কার্যত একই
Post A Comment:
0 comments so far,add yours