প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্কুলে ক্লাস করার সুযোগ পাবে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা। গুজরাটের মেহসানা জেলার ভাড়নগরের যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন প্রদানমন্ত্রী, আগামী এক বছরে সারা দেশের প্রতিটি জেলা থেকে দুজন করে শিক্ষার্থীকে সেই স্কুলে 'অনুপ্রেরণামূলক ক্লাস' করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
PM Modi’s primary school: 'প্রেরণার কেন্দ্র' হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর প্রাথমিক স্কুল, আসবে গোটা দেশের শিক্ষার্থীরাপ্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক স্কুলে চলছে সংস্কারের কাজ
আহমেদাবাদ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্কুলে ক্লাস করার সুযোগ পাবে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা। গুজরাটের মেহসানা জেলার ভাড়নগরের যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, আগামী এক বছরে সারা দেশের প্রতিটি জেলা থেকে দুজন করে শিক্ষার্থীকে সেই স্কুলে ‘অনুপ্রেরণামূলক ক্লাস’ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে, স্কুলটিকে একটি অনুপ্রেরণামূলক স্কুল হিসাবে গড়ে তোলা হবে। নাম দেওয়া হবে, ‘প্রেরনা: দ্য ভার্নাকুলার স্কুল’। সেই স্কুলে এক সপ্তাহ ধরে এক ‘বিবর্তিত জীবনযাপন’ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে শিশুদের। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলির যৌথ উদ্যোগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে। ১৮৮৮ সালে নির্মিত হয়েছিল স্কুলটি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেখানে নিয়মিত পঠনপাঠন চলত। এরপর, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই-এর পক্ষ থেকে স্কুলটিকে সংস্কার করা হচ্ছে। ভাড়নগরের বিরাট পুনঃউন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই স্কুলটিকে ফের আগের চেহারায় ফেরান হচ্ছে।
এই পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত এক সরকারি কর্তা বলেছেন, “ভাড়নগরে একটি স্কুল আছে। সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন। এটি ১৯ শতকে তৈরি একটি স্কুল। আমরা এই স্কুলটিকে একটি অনুপ্রেরণামূলক-অভিজ্ঞতার স্কুল হিসেবে গড়ে তুলছি। ভারতে মোট ৭৫০টি জেলা রয়েছে। প্রতিটি জেলা থেকে দুজন করে শিশুকে এই স্কুলে আনা হবে। সারা বছরে মোট ১,৫০০ শিশুকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কীভাবে একটা অত্যন্ত বিবর্তিত জীবনযাপন করা যায়, তার প্রশিক্ষণ পাবে তারা।” তিনি আরও জানিয়েছন, চলতি বছরের শেষের দিকেই ‘প্রেরণা’ স্কুলে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আসবে। প্রতিটি ব্যাচে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী থাকবে। এক সপ্তাহের জন্য হোস্টেলে থেকে তারা প্রশিক্ষণ নেবে। থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে যাওয়া-আসার সব খরচ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক বহন করবে। “এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত”-এর ধারণার উপর ভিত্তি করে এই শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই স্কুল
এই পরিকল্পনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে, গোটা বিশ্বেই মহান নেতারা তাঁদের সাফল্যের যাত্রায় তাঁদের প্রথম স্কুলের ব় ভূমিকা ছিল বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন স্কুলই তাঁদের জীবন বদলে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে, দেশের যুবদের পরিবর্তনের অনুঘটক হয়ে ওঠার জন্য অনুপ্রাণিত করতে এই প্রাথমিক স্কুল পুনর্নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষা ও মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ণ রেখেই, বিভিন্ন কৌশল এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে একটি ভবিষ্যতের স্কুল হিসেবে তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরই এই শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য বাছাই করা হবে। এই বাছাই প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুদ্ধিবৃত্তি, সৃজনশীলতা এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রেরণা স্কুলে শিক্ষা নয়, জীবনের অভিজ্ঞতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। বাস্তব জীবনের বিভিন্ন নায়কদের জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে যুব সমাজের মধ্যে সাহস এবং সহানুভূতির মতো গুণাবলীগুলির সঞ্চাকর করার চেষ্টা করা হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours