শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে দলই (কথা) বলবে, তাকেই বাধা দেওয়া হবে। সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠনকেও বাধা দেওয়া হবে।'
Suvendu Adhikari: 'নো ভোট টু মমতা বেশি করে বলুন', সেলিমদের পরামর্শ শুভেন্দুরশুভেন্দু অধিকারী
কলকাতা: বঙ্গ বিজেপি শিবিরকে সাম্প্রতিককালে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য আদালতে ছুটতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত সেই কর্মসূচি করতে পেরেছে বিজেপি। এবার বিধানসভায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বামেদেরও সভার জন্য ছুটতে হয়েছে আদালতে। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে বারাসত ও হাওড়ার সভার সবুজ সংকেত হয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। এতদিন যে দৃশ্য বিজেপির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এবার তা বামেদের ক্ষেত্রেও। গোটা বিষয়টি কীভাবে দেখছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বামেদের এই সভার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সিপিএমের সভার বিষয়ে তিনি কিছু মন্তব্য করতে চান না। তারপরই অবশ্য বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে যে দলই (কথা) বলবে, তাকেই বাধা দেওয়া হবে। সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠনকেও বাধা দেওয়া হবে।’
বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘এটাই পশ্চিমবঙ্গের একটি ব্যবস্থাপনা হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের সামন্ততান্ত্রিক মনোভাবের জন্যই এটা হচ্ছে।’ এরপরই সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে শুভেন্দু বলেন, ‘যাঁরা এই সরকারকে সরাতে চান, তাঁদের বলব, নো ভোট টু বিজেপি না বলে, নো ভোট টু মমতা বলুন। নো ভোট টু বিজেপি বেশি করে বলেছিলেন সেলিম সাহেবরা। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো (ক্ষমতায়) এসে গিয়েছেন। নো ভোট টু মমতা বেশি করে বলুন।’ সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গেও শাসক শিবিরকে খোঁচা দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র বিপন্ন। কোনও রাজনৈতিক দলেরই অস্তিত্ব থাকবে না। একটি দলের ২২০ জন বিধায়ক থাকার পরেও তারা কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ককে দলে যোগদান করায়।’
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা কটাক্ষ করে সিপিএম নেতা বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুর বোধোদয় হয়ত সম্প্রতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল যে সর্বনাশ করা দল, সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ কোনওদিনই ছিল না। কিন্তু তখন শুভেন্দুবাবুরা বোঝেননি। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন, সাংসদ ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কীভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে, তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আবার একইরকমভাবে ত্রিপুরায় যে বিজেপি একইরকম কাজ করছে, তা নিয়েও আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। আমরা কখনও নো ভোট টু বিজেপি বলিনি। আমরা বলেছি, নো ভোট টু বিজেপি, নো ভোট টু তৃণমূল। আমাদের কথা খুব সুনির্দিষ্ট।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours