শৈলেন রায় (৩৪) নামে এক যাত্রীর বাড়ি ময়নাগুড়ি (Maynaguri) মাধবডাঙা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। অপর একজন বছর তেত্রিশের তরুণ রায়। সম্পর্কে শৈলেনবাবু তরুণবাবুর জামাইবাবু।

Coromandel Express derailed: জামাইবাবুর খোঁজ মিললেও নিখোঁজ শ্যালক, করমমণ্ডল অভিশাপে ঘুম উড়েছে ময়নাগুড়ির দুই পরিবারেরচিন্তা বাড়ছে পরিবারের



ময়নাগুড়ি: অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express News) ছিলেন ময়নাগুড়ির দুই পরিবারের দুই সদস্য। দুর্ঘটনার পর একজনের খোঁজ মিললেও, খোঁজ মিলছে না আরও একজনের। একজনের পরিবারের সদস্যরা ফোনে যোগাযোগ করে ছেলের খোঁজ পেলেও অন্যজনের ফোন বন্ধ। মিলছে না খোঁজ। বাড়ছে উদ্বেগ। 


শৈলেন রায় (৩৪) নামে এক যাত্রীর বাড়ি ময়নাগুড়ি মাধবডাঙা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। অপর একজন বছর তেত্রিশের তরুণ রায়। সম্পর্কে শৈলেনবাবু তরুণবাবুর জামাইবাবু। সূত্রের খবর, এরা দুজনেই পেশায় ড্রাইভার। তামিলনাড়ুর এক কোম্পানিতে গাড়ি চালকের কাজ পেয়ে এরা দুজনেই গত বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন হাওড়ার উদ্দেশে। শুক্রবার হাওড়ায় পৌঁছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস চেপে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পথেই ঘটে গেল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। খবর পাওয়া মাত্রই দুই পরিবার সদস্যরা রাতেই টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারা যায়নি।

শনিবার সকালে ফের ফোন করলে খোঁজ মেলে শৈলেন রায়ের। জানা যায়, ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন শৈলেনবাবু। ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। কিন্তু, ফোন বন্ধ তরুণ রায়। সুইচ অফ থাকায় আর তাঁর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। শৈলেনবাবু জানিয়েছেন দুর্ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না তরুণের। তাতেই আরও চিন্তা বেড়েছে পরিবারের। ঘটনায় তরুণবাবুর বোন স্বপ্না রায় বলেন, “দাদা আর জামাইবাবু তো একসঙ্গে যাচ্ছিল তামিলনাড়ু। এদিকে দুর্ঘটনার পর জামাইবাবুর খোঁজ পাওয়া গেলেও দাদার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।” অন্যদিকে শৈলেন রায়ের স্ত্রী বলছেন, “খবর পাওয়ার পর আমার তো রাতে ঘুমই হয়নি। খুব চিন্তা হচ্ছে। আজ সকালে মোবাইলে শেষবার কথা হয়েছে। কিন্তু, তরুণের খোঁজ পাওয়া যায়নি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours