বাউন্স-সুইংয়ের অসম্ভব কারিকুরির মধ্যেও ফিরে আসার ছটফটে তাগিদ দেখা যায়। সে যতই ডাগআউটে বসে থাকুন রোহিত-বিরাটরা। কেউ কেউ তারপরও ছাপিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেখান। ওভাল ভারতকে কী দিতে চলেছে, পরের কথা। আপাতত বলতে হবে, ম্যাচ অন। এবং এও বলা যাবে, হাওয়া মোরগের মুখ একটু একটু করে ঘুরছে। চাপের চোরাবালি কি পায়ের তলায় টের পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া?

Ajinkya Rahane : ওভালে পাল্টা লড়াই ভারতের, রাহানেতে মুগ্ধ সৌরভওভালে পাল্টা লড়াই ভারতের, রাহানেতে মুগ্ধ সৌরভ
Image Credit Source: ICC
তৃতীয় দিন কতক্ষণ সময় লাগবে? লাঞ্চের আগেই গল্প শেষ? যতক্ষণ রাহানে, ততক্ষণ আশা। টুইটারে এ সবই তো লেখা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল ভারত আরও একটা বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল ‘নামল আর হারল’ এই মোডেই থাকবে। তাঁরা হয়তো ভাবেননি, অজিঙ্ক রাহানের (Ajinkya Rahane) আশ্চর্য প্রত্যাবর্তন দেখতে হতে পারে। হয়তো ভাবেননি, উল্টোদিকে শার্দূল ঠাকুর দুরন্ত পারফর্ম করবেন। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ১০০-রও বেশি পার্টনারশিপ হবে। এই কারণেই বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না টেস্ট ক্রিকেটের। বাউন্স-সুইংয়ের অসম্ভব কারিকুরির মধ্যেও ফিরে আসার ছটফটে তাগিদ দেখা যায়। সে যতই ডাগআউটে বসে থাকুন রোহিত-বিরাটরা। কেউ কেউ তারপরও ছাপিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেখান। ওভাল ভারতকে কী দিতে চলেছে, পরের কথা। আপাতত বলতে হবে, ম্যাচ অন। এবং এও বলা যাবে, হাওয়া মোরগের মুখ একটু একটু করে ঘুরছে। চাপের চোরাবালি কি পায়ের তলায় টের পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া? বিস্তারিত রইল এর এই প্রতিবেদনে।


স্ট্র্যাটেজি বদল কেন?
দ্বিতীয় দিন ওভালে কামিন্স-স্টার্ক-গ্রিনরা সোজাসাপ্টা ছকে এগিয়েছিলেন। বল যতটা সম্ভব ওপরে রাখো। ইংল্যান্ডে সফরকারী যে কোনও টিমের জন্য এই টোটকাই ব্যবহার করে ইংরেজরা। বল থাকবে গুড লেন্থে। আর তাতে থাকবে বিষাক্ত সুইং। কিন্তু তৃতীয় দিন এই অস্ট্রেলিয়াই হঠাৎ ছক বদল করল কেন? শর্ট পিচ বলে জোর বেশি, বডি লেন্থ বাউন্সার। যে টিমে কামিন্সের মতো অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন। যে টিমে স্টার্কের মতো পোড় খাওয়া পেস বোলার, সেই টিম কেন ভারতকে ধুঁকতে দেখেও চেপে ধরল না, প্রশ্ন থাকছে।

এত ক্যাচ মিস কেন?
ক্রিকেটে বলে ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস। টেস্ট ক্রিকেটে তো একটা ক্যাচ আরও বেশি দামি হয়। অ্যালেক্স ক্যারি, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ — অস্ট্রেলিয়ার তালিকা বেশ লম্বা। স্লিপে রাহানের লোপ্পায় ক্যাচ, দু-দু’বার শার্দূল ঠাকুরের ক্যাচ ফেলার মাশুল যে দিতে হবে, জানাই ছিল। হলও তাই। পার্টনারশিপ সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। প্রথম সেশনে রাহানে-শার্দূল জুটি ভাঙা যায়নি। দিনের পরবর্তী ২টো সেশনে যদি এঁদের ফেরানো না যায়, তা হলে অস্ট্রেলিয়ার ৪৬৯ রানও দূরের টার্গেট বলে মনে হবে না।


ধৈর্যই সাফল্যের মন্ত্র
ডান হাতের বুড়ো আঙুল ক্ষতবিক্ষত। পাঁজরে খেয়েছেন বল। তারপরও অবলীলায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন টিমকে। কমেন্ট্রি বক্সে বসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘ছেলেটার আত্মবিশ্বাস দেখে অবাক লাগছে। একেই বলে টেস্টের ধৈর্য। অস্ট্রেলিয়াকে একা হাতে সামলে দিচ্ছে রাহানে।’

ওভালে ফের দুরন্ত শার্দূল
ঠাকুরের ‘আগুনে হাত’ যেন ছুঁতেই পারছে না অস্ট্রেলিয়া। বল হাতে স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়েছিলেন। এ বার ব্যাট হাতে কামিন্স-স্টার্কদের বুঝে নিচ্ছেন। ওভাল আসলে তাঁর ঘর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা শেষ টেস্টে দু’টো ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। যত বার জাতীয় দলের হয়ে নামেন কিছু না কিছু দেন। আট নম্বরে নেমে টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ শার্দূলের মতো আর কারও আছে কিনা বলা মুশকিল।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours