যোগ-চর্চার বিশ্বব্যাপী প্রসারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মন্ত্রী বললেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী যেভাবে প্রতি বছর ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা এক আলাদা মাত্রা নিয়েছে।'

Antarashtriya Yoga Diwas Media Samman: যোগ-চর্চার প্রচারে অনবদ্য অবদান, সংবাদমাধ্যমগুলিকে সম্মানিত করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকঅনুরাগ ঠাকুর
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) শুরু থেকেই যোগ-চর্চার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। শরীর সুস্থ-সবল রাখার জন্য যোগ-চর্চার উপকারিতা গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য ২০১৫ সাল থেকে ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস (International Yoga Day) হয়ে পালিত হয়ে আসছে। যোগ-চর্চার উপকারিতার বিষয়গুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে বিগত বছরগুলিতে। সেই কথা মাথায় রেখে, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস মিডিয়া সম্মান’ (Antarashtriya Yoga Diwas Media Samman) অনুষ্ঠান শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে যোগ-চর্চার প্রচারে অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়ে থাকে এই অনুষ্ঠানে। ২০২০ সালে প্রথমবার এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। তারপর কোভিডের কারণে দুই বছর আয়োজিত করা যায়নি। এবার ফের ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস মিডিয়া সম্মান’ অনুষ্ঠান আয়োজিত করতে চলছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। আজ তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।


২০২৩ সালের ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস মিডিয়া সম্মান’ অনুষ্ঠানে মোট তিনটি পৃথক ক্যাটেগরিতে সম্মানিত করা হবে সংবাদমাধ্যমগুলিকে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিয়ো – এই তিনটি ক্যাটেগরিতে সম্মান দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম এবং ২২টি ভারতীয় ভাষার সংবাদমাধ্যম। সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিয়ো – প্রতিটি ক্যাটেগরিতে ১১টি করে সম্মান (পুরস্কার) রয়েছে। শুক্রবার ২০২৩ সালের ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস মিডিয়া সম্মান’ প্রদান অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করার সময় যোগ-চর্চার বিশ্বব্যাপী প্রসারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মন্ত্রী বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী যেভাবে প্রতি বছর ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা এক আলাদা মাত্রা নিয়েছে।’

অনুরাগ ঠাকুর আরও বলেন, ‘যোগচর্চা বর্তমানে দেশের সীমানা ও সংস্কৃতি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতার জন্য এর ভূমিকা বিশ্ব জুড়ে নতুন করে আগ্রহ বাড়িয়েছে। যোগ-চর্চা নিয়ে এই সচেতনতামূলক প্রচার সংবাদমাধ্যমের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না। সেই স্বীকৃতি দিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এই বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবস মিডিয়া সম্মানের দ্বিতীয় সংস্করণ আয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’


কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এদিন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘ভারতে এবং গোটা বিশ্বে যোগ-চর্চার প্রসারে অনবদ্য অবদানের জন্য আমি সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার যখন প্রতি বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করছে, তখন এই অতি প্রাচীন অভ্যাসের উপকারিতা প্রচারে সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ‘ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য উপহার হল যোগ-চর্চা। এটি মানুষের শরীর ও মন, চিন্তা ও কাজ, সংযম ও পরিপূর্ণতা, মানব সভ্যতা ও প্রকৃতি, স্বাস্থ্য ও সুস্থতার মধ্যে সেতুবন্ধনের এক অনবদ্য পদ্ধতি। এটি শুধুমাত্র ব্যায়াম নয়, এটি মানুষের নিজের সঙ্গে গোটা পৃথিবী ও প্রকৃতিকে একাত্ম করার এক পথ। এটি আমাদের জীবনের চলার পথে পরিবর্তন আনে এবং চেতনার বিকাশ ঘটায়, সামগ্রিক সুস্থতা নিয়ে আসে।’ মোদীর সেদিনের প্রস্তাবের পর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ প্রস্তাবের উপর আলোচনাও করে। এরপর ওই বছরেরই ডিসেম্বরে খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয় রাষ্ট্রপুঞ্জে। প্রস্তাবে সমর্থন করেছিল ১৭৭ টি সদস্য দেশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours