করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৭৫ জন যাত্রীর।

Train Accident in Odisha: পচন রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা, পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ত্রিস্তরীয় পদ্ধতিতে মোড়া দেহফাইল ছবি
ভুবনেশ্বর: হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে সার সার মৃতদেহ। সেগুলো চিনে নেওয়াই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে আত্মীয়দের হাতে তুলে দিতে সময় লাগলেও দেহগুলি যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেই ব্যবস্থাই করেছে ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতাল। এছাড়া দেহ অনেক দূরে নিয়ে যাওয়ার থাকলেও যাতে সেগুলিতে পচন না ধরে যায়, তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে। পারাদ্বীপ থেকে কন্টেনার আনা হয়েছে আগেই। এবার সেই কন্টেনার থেকে বেশ কয়েকটি দেহ তুলে দেওয়া হল আত্মীয়দের হাতে।


মঙ্গলবার কন্টেনার থেকে দেহ পরিজনদের হাতে তুলে দিয়েছে এইমস কর্তৃপক্ষ। এইমসের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ত্রিস্তরীয় পদ্ধতিতে মোড়া হয়েছে দেহ। দীর্ঘ যাত্রাপথে দেহ নিয়ে যেতে যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন পরিজনেরা, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কন্টেনারে মোট ৪৯ জনের দেহ রাখা ছিল, তার মধ্যে ৪ জনের দেহ এদিন আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৭৫ জন যাত্রীর। ভুবনেশ্বর এইমস ছাড়াও একাধিক হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে অনেক দেহ। দুর্ঘটনার চার দিন পরও শেষ হয়নি দেহ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া। হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন পরিজনেরা।

তবে এইমস হাসপাতালে দেহ খোঁজার জন্য সাহায্য করা হচ্ছে পরিজনদের। বাইরে রাখা হয়েছে ছবি, সেখান থেকে চাইলে খুঁজে নিতে পারবেন আত্মীয়রা। এছাড়া যাতে বেশিদিন সংরক্ষিত রাখা যায়, তার জন্য় এমব্লেমিং এক্সপার্ট আনা হয়েছে এইমসে। অ্যানাটমি ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও আনা হয়েছে। যেহেতু এত বেশি মৃতদেহ একসঙ্গে রাখার ব্যবস্থা কোনও হাসপাতালেই নেই, তাই পারাদ্বীপ বন্দর থেকে বিশেষ কন্টেনার আনা হয়েছে এইমসে। সেই সব কন্টেনারে দেহ একবছর ধরেও থাকতে পারে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours