রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের অদ্বৈতনগরের কংগ্রেসের গ্রামসভার প্রার্থী আব্দুল মামুদ বিধায়ক আমিরুল ইসলামের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, জোর করে কংগ্রেস প্রার্থীকে তৃণমূলের পতাকা ধরানো হয়েছে।
কংগ্রেস প্রার্থীকে তৃণমূলে যোগদানে বাধ্য করার অভিযোগ, 'নিখোঁজ' প্রার্থীকংগ্রেস নেতা আব্দুল খালেক।
মুর্শিদাবাদ: কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীকে জোর করে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল সামশেরগঞ্জে। অভিযোগ, জোর করে কংগ্রেসের প্রার্থীকে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই প্রার্থীকে অপহরণেরও অভিযোগ উঠছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে পরিস্থিতি সামাল দিতে। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি আটকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।
রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের অদ্বৈতনগরের কংগ্রেসের গ্রামসভার প্রার্থী আব্দুল মামুদ বিধায়ক আমিরুল ইসলামের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, জোর করে কংগ্রেস প্রার্থীকে তৃণমূলের পতাকা ধরানো হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা।
কংগ্রেস নেতা আব্দুল খালেকের দাবি, “আমাদের আজ ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। জেলা পরিষদের প্রার্থীকে নিয়ে অদ্বৈতনগরে বাড়ি বাড়ি প্রচারের কথা ছিল আমাদের। এরপর বিকেলে একটা মিছিলও ছিল। আমাদের প্রার্থীকে প্রচার করতে দেয়নি। ১৬৩ নম্বর বুথের প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হেনস্থা করে। ভয় দেখিয়ে ওকে তৃণমূলের পতাকা ধরায়। পতাকা না ধরলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রার্থী মামুদের বাবা কান্নাকাটি করেন। তারপরও ছেলেটাকে উঠিয়ে যায়। বিধায়ক সব জানেন।”
আরেক কংগ্রেস কর্মী সাবির বলেন, “বাড়ি বাড়ি প্রচার করার কথা ছিল। তৃণমূলের লোকজন এসে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে আমাদের প্রার্থীকে। তোয়াব আলিকে জোর করে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়েছে। আব্দুল মামুদের সঙ্গেও তাই করেছে। আমাদের লোকেরা বলে, যদি তোমরা ভালই হও তাহলে কেন এভাবে ভোট আদায়ের চেষ্টা করছ?” এ প্রসঙ্গে সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, “অপহরণ করা হলে বা জোর করে কিছু হলে তা তার পরিবারের লোকজন বলুক। কংগ্রেসের অভিযোগ শুনে কিছু বললে চলবে না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours