বৃহস্পতিবার (১ জুন), ফের পিছিয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি। বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, আগামী ৯ জুন অনুব্রতর জামিনের আবেদন শোনা হবে।
Anubrata Mondal: থাকতে হবে তিহাড়েই, একইদিনে আদালতে ধাক্কা অনুব্রত-সুকন্যারতিহাড়েই থাকতে হবে অনুব্রত ও সুকন্যাকে
নয়া দিল্লি: একই দিনে ধাক্কা খেলেন বাবা ও মেয়ে। দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মন্ডলের জামিন মামলার শুনানি। অন্যদিকে, সুকন্যা মন্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল রাউস এভিনিউ আদালত। বৃহস্পতিবার (১ জুন), দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার এজলাসে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এদিন ওই একই এজলাসে শুনানি হয় আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার মামলার। তাই, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের মামলাটি শোনার সময় হয়নি। বিচারপতি জানিয়েছেন আগামী ৯ জুন অনুব্রতর জামিনের আবেদন শোনা হবে। এর আগে এপ্রিল মাসে, ভগ্ন স্বাস্থ্যকে হাতিয়ার করে দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন ‘বীরভূমের বাঘ’। তাঁর আইনজীবী আদালতে অনুব্রতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে তাঁকে অবিলম্বে জামিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। আদালত প্রথমে এই মামলার শুনানি ৭ জুলাই হবে বলে ধার্য করেছিল। ২৬ এপ্রিল, দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলার শুনানির দিন ১ মাস এগিয়ে এনেছিল।
অন্যদিকে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই রাউস এভিনিউ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মন্ডল। গত শুক্রবারই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তাঁর আইনজীবী অমিত কুমার আদালতে জানিয়েছিলেন, চেন্নাইয়ে একটি অস্ত্রোপচার করতে যাওয়ার কথা ছিল সুকন্যার। টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, সেখানে না গিয়ে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে সুকন্যাকে অবিলম্বে জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু, তাঁর কোনও যুক্তিই গ্রহণ করেনি আদালত। এদিন বিকেল ৪টেয় বিচারপতি রঘুবীর সিং, তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। সূত্রের খবর, এই রায়কে দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন সুকন্যা।
রাউস এভিনিউ আদালতে বিচারপতি রঘুবীর সিং-এর এজলাসেই অনুব্রত মন্ডলের গরুপাচার সংক্রান্ত মামলাও চলছে। এদিন, তাঁর আইনজীবী মুদিত জৈন রাউস এভিনিউ আদালতে মামলাটি রঘুবীর সিং এর বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, অনুব্রতর পক্ষের বক্তব্য শোনেন না বিচারপত রঘুবীর সিং। তাই মামলাটি অন্য কোনও বিচারপতির বেঞ্চে সরানোর হোক। ৪ জুলাই এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে মামলার সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে নোটিশ পাঠাবে আদালত। এর আগে অবশ্য অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন, ইডি পর্যাপ্ত নথি দিচ্ছে না এবং অযথা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে আটকে রাখা হয়েছে। ইডির পক্ষ থেকে সেই আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। দুই পক্ষের যুক্তি শুনে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল হাইকোর্ট। ইডিকে চার সপ্তাহের মধ্যে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ভগ্ন স্বাস্থ্য কি অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেল থেকে মুক্তি দেবে? তা জানতে আরও ৮টা দিন অপেক্ষা করতেই হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours