শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকে তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের সংগঠনের পাঠ পড়াতে আর জনসংযোগ বাড়ানোর বার্তা দিতেই শীর্ষস্তরের নেতারা প্রয়াস চালাচ্ছেন।
'অভিষেক ডাকলে বিরিয়ানি খেয়ে চলে আসবেন', দলীয় সভাতেই হুমায়ুনকে নজিরবিহীন খোঁচা সিদ্দিকুল্লারহুমায়ুনকে খোঁচা সিদ্দিকুল্লার
মুর্শিদাবাদ: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখন সর্বোতভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সামনে রেখে জনসংযোগ বাড়াতে। তার মধ্যেই একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে চলে আসছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি। এবার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বললেন, “দলবিরোধী কাজ করতে করতে বিধায়ক খুব ক্লান্ত। এখন আরাম করছেন। দলে থেকে দলবিরোধী কাজ করব, এটা কিন্তু হবে না।”
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকে তৃণমূলের তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের সংগঠনের পাঠ পড়াতে আর জনসংযোগ বাড়ানোর বার্তা দিতেই শীর্ষস্তরের নেতারা প্রয়াস চালাচ্ছেন। সাধারণত এই ধরনের কর্মসূচিতে, দলীয় নেতা-কর্মীদের পাঠ দেওয়া হয়, বিরোধীদের কোন কোন ‘দুর্বলতাকে’ মানুষের সামনে তুলে ধরবেন তাঁরা। কিন্তু এই বৈঠকে দেখা গেল, এক বিধায়ক দলেরই অপর বিধায়ককে বিঁধলেন।
সিদ্দিকুল্লা ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে বিঁধে বলেন, “হুমায়ুন আগুন নিয়ে খেলছেন।” আসলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে সভার আয়োজন করা হয়, সেখানে ব্লক সভাপতি উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক হুমায়ুন। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে আসে সিদ্দিকুল্লার। তিনি বলেন, “বিধায়ক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন দল বিরোধী কাজ করতে গিয়ে। এখন আরাম করছেন, গোল দিতে পারবেন না।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘দলে থাকবো দল বিরোধী করবো এটা হবে না। নৌকা এখন নদীতে নামেনি। তাই পারবে না।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours