আগামী ২৪ জুন বিকেল ৫টা থেকে জেলার সমস্ত অসম্পূর্ণ বাড়ি/ভবন, কমিউনিটি হল, বিয়েবাড়ি, লজ, গেস্ট হাউস, হোটেল, স্টেডিয়াম ইত্যাদি জায়গার প্রতিদিন চেকিং বাধ্যতামূলক। দুষ্কৃতীদের জড়ো হওয়া বা অস্ত্র মজুত করার সম্ভাবনা এড়াতে নজরদারি করা হবে।

Panchayat Election: 'রুট মার্চ, নজরদারি...', অবাধ নির্বাচনে জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা কমিশনেরপঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উত্তেজনার খবর আসতে শুরু করেছে। এই আবহে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সব জেলশাসক, কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারদের একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেখানে স্পষ্টত বলা হয়েছে, রুট মার্চ সহ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ-প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তার একটি সামগ্রিক রূপরেখা তৈরি করতে হবে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করতে হবে। এছাড়া এই বিষয়ে প্রতিদিনের রিপোর্ট সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি ভোটের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ-প্রশাসনকে বেশ কয়েকটি আগাম পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।


নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নির্ধারিত প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশিকায় কী রয়েছে দেখে নেওয়া যাক একনজরে…

১) ভোটারদের আশ্বস্ত করতে বা আস্থা অর্জন করতে এলাকায় প্রয়োজনীয় রুট মার্চ করতে হবে। ২) আগামী ২৪ জুন বিকেল ৫টা থেকে জেলার সমস্ত অসম্পূর্ণ বাড়ি/ভবন, কমিউনিটি হল, বিয়েবাড়ি, লজ, গেস্ট হাউস, হোটেল, স্টেডিয়াম ইত্যাদি জায়গার প্রতিদিন চেকিং বাধ্যতামূলক। দুষ্কৃতীদের জড়ো হওয়া বা অস্ত্র মজুত করার সম্ভাবনা এড়াতে নজরদারি করা হবে। যে সমস্ত এলাকায় নির্বাচন হবে, সেই সমস্ত এলাকায় নির্ধারিত সময়ের পর যাতে বহিরাগত কেউ না ঢুকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ৩) সব সীমানা সিল করা হবে এবং যানবাহন যাওয়া-আসার উপর কঠোর নজরদারি চালাতে হবে । ৪) এলাকায় কোনও নতুন ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তি ঢুকলে তাদের পরিচয় যাচাই করতে হবে। অবৈধ অস্ত্র ও অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ৬) অপরাধের সঙ্গে জড়িত, মূলত নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ, হিংসা, বুথ দখল ইত্যাদি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে।


ভোটের আগের দিন থেকে ভোট সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত পুলিশ-প্রশাসনকে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় উল্লিখিত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,

১) নির্বাচনের আগের দিন বিকাল ৫টা থেকে ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত এলাকার অপরাধীদের প্রতিরোধমূলক আটক করতে হবে। ২) ভোটের দিন এলাকায় এইচআরএফএস/ভিএইচআরএফএস মোবাইল, আরটি/কিউআরটি মোবাইল, সেক্টর মোবাইলের উপস্থিতি যেন সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে এবং যে কোনও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা হলে ততক্ষণাৎ সেই জায়গায় উপস্থিত হতে হবে। ৩) ভোটের আগের দিন পোলিং পার্টির পৌঁছনোর আগে প্রিমিসেস গার্ডদের সমস্ত প্রাঙ্গণে পৌঁছতে হবে। কোনও কারচুপি, বুথ দখল ইত্যাদি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। ৪) ইচ্ছুক ভোটদাতাদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ৫) নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর অনুমতিহীন গাড়ি নির্বাচন এলাকায় ঢুকতে পারবে না। সেরকম কোনও গাড়ি ঢুকলে সেটা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। নির্বাচনের দিন কোনও বাইক র‌্যালির অনুমতি নেই। ৬) প্রার্থীদের ক্যাম্পগুলি কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে, যাতে কোনও ভোটারকে সেখান থেকে হুমকি বা প্রভাবিত করা না হয়। ৭) ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো যেন কেউ জোর করে বন্ধ না করে এবং ক্যামেরার দিক পরিবর্তনের কোনও চেষ্টা না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ৮) সমস্ত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের ভোটের দিন পোলিং কেন্দ্রের ভিতরে থাকা এবং ভোট শেষ হলে তাঁদের বের হওয়ার সময় নিরাপত্তা দিতে হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours