ডুয়ার্স‌ মানেই চারধারে ঘন সবুজ জঙ্গল, নুড়ি-পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি নদী আর নির্জনতা। দূরে পাহাড় উপত্যকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। এসব নিয়ে বর্ষায় সামসিং রয়েছে আপনার অপেক্ষায়।

Dooars: বর্ষায় পাহাড় যেতে পারছেন না? মন খারাপ না করে বেছে নিন ডুয়ার্সের এই ডেস্টিনেশন
প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়াতে অনেকেই বর্ষায় পাহাড় ভ্রমণ বাতিল করেন। কিন্তু বৃষ্টির দিনে পাহাড়ের রূপ পরিবর্তন দেখতে কার না ভাল লাগে। তাই বর্ষায় পাহাড় ভ্রমণ বাতিল না করে সঠিক ডেস্টিনেশন বেছে নিন। বর্ষায় বেছে ডুয়ার্স‌ের সামসিংকে। ডুয়ার্স‌ মানেই চারধারে ঘন সবুজ জঙ্গল, নুড়ি-পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা পাহাড়ি নদী আর নির্জনতা। দূরে পাহাড় উপত্যকার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। এসব নিয়ে সামসিং রয়েছে আপনার অপেক্ষায়।


প্রায় ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সামসিং। এখানে পাইনের দেখা পেলে খুব কম। বরং, সামসিংয়ের জঙ্গল জুড়ে রয়েছে শাল, শিমুলের সারি। আর এই সুবিশাল বৃক্ষে সারাক্ষণ লেগে রয়েছে পাখিদের আনাগোনা। সামসিং পক্ষীপ্রেমীরা এলে নিরাশ হবেন না। সামসিং যাওয়ার পথেই দেখা মিলবে চা বাগানের। সামসিং পৌঁছেও এই দৃশ্যের কোনও অদলবদল হবে না। বরং, আরও সবুজ দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। মেঘ আর কুয়াশায় ঢাকা সামসিংয়ে শুয়ে বসেই কেটে যাবে সারাদিন। পাহাড়তলীর গাছ-গাছালি, হিমালয়ের পাখি আর নদীর কলতান—এসব নিয়েই সামসিং।

সামসিং থেকে ডুয়ার্স‌ের বেশ কিছু জায়গা ঘুরে নিতে পারেন। সামসিং থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে মূর্তি নদী। বর্ষায় রূপ ধারণ করে এই নদী। নদীর ধারেই রয়েছে মূর্তি গ্রাম। মূর্তি নদীর পাড় ধরে আরও কিছু দূর গেলেই রয়েছে রকি আইল্যান্ড। পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই রকি আইল্যান্ড। এখান থেকে আরও চার কিলোমিটার গেলেই সানতালেখোলা। এখান থেকে চলে যেতে পারেন নেওড়া ভ্যালি। যদিও ভরসায় এত দূর যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। কিন্তু সামসিং বর্ষার জন্য আদর্শ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours