তাদের লড়াই শুধুমাত্র ভারতীয় কুস্তি ফেডরেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরন সিং-এর বিরুদ্ধে। ভিডিয়ো প্রকাশ করে সরকারকে বিশেষ বার্তা দিলেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক।
Sakshi Malik: 'আমাদের লড়াই...', ভিডিয়ো প্রকাশ করে কেন্দ্রকে বিশেষ বার্তা কুস্তিগিরদেরকুস্তিগির সাক্ষী মালিক এবং সত্যবর্ত কাড়িয়ান
নয়া দিল্লি:
তাঁদের লড়াই শুধুমাত্র ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। শনিবার (১৭ জুন), এক ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে জানালেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক এবং সত্যবর্ত কাড়িয়ান। তাঁদের দাবি, কুস্তির সঙ্গে জড়িত প্রায় সকলেই জানতেন, ব্রিজভূষণ মহিলা কুস্তিগিরদের হেনস্থা করেন। কিন্তু, এতদিন পর্যন্ত কুস্তিগির সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ছিল না। সেই কারণেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন কুস্তিগিররা। অনেকেই, কুস্তিগিরদের আন্দোলনের পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, কুস্তিগিররা রাজনীতি করছেন। কিন্তু, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাক্ষী মালিক এবং সত্যবর্ত কাড়িয়ান। তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের প্রতিবাদ মোটেই রাজনৈতিক নয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে তাঁদের কেউ উসকানিও দেয়নি। তাঁরা বলেন, “ভীম সেনার প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের মতো, কয়েকজন আমাদের প্রতিবাদের সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা আমাদের নির্ভয়ে আমাদের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে অনুপ্রাণিত করেছেন।”
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন), ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে স্টকিং, যৌন হেনস্থা করা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ এনে চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে, একই সঙ্গে রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে পকসো আইনে করা মামলা খারিজ করার জন্য আদালতের অনুমোদন চেয়েছে দিল্লি পুলিশ। এক নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। তবে, পরে নাবালিকার বাব নিজের বয়ান বদলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিজভূষণ তাঁর মেয়েকে যৌন হেনস্থা করেননি। তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করায়, পকসো ধারায় মামলাটি খারিজ করতে চেয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে, শুক্রবারই নাবালিকা কুস্তিগিরের বাবার বয়ান বদল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সাক্ষী মালিক। দিল্লি পুলিশের কড়া সমালোচনাও করেছেন।
মামলার তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাক্ষী মালিক। তাঁর মতে, পকসো ধারার মামলাটির ক্ষেত্রে, যদি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নাবালিকার বাবার প্রথম বক্তব্য রেকর্ড করার সময়ই ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার করা হত, তবে নাবালিকার বাবা তাঁর অভিযোগটি প্রত্যাহার করতেন না। শুধু তাই নয়, সাক্ষী দাবি করেছেন, সেই ক্ষেত্রে অন্য মেয়েরাও এগিয়ে এসে যৌন হয়রানির অভিযোগ করত। তিনি দাবি করেছেন, অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য নাবালিকার বাবার উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাতেই তিনি তাঁর বয়ান বদল করেছেন। সাক্ষী বলেছেন, পকসো ধারার মামলাটি খারিজ করা হবে কি না, এই বিষয়ে আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” ৪ জুলাই, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours