খেজুরি বিধানসভার বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরখাঁচক গ্রামের সক্রিয়ভাবে বিজেপিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ রঞ্জিত নামে এক ব্যক্তি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খেজুরি থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন।
Khejuri: আদালতের নির্দেশে বাড়ি ফেরার আগেই ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেআগুনে পুড়ল বিজেপি কর্মীর বাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
খেজুরি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ঘরছাড়া হয়েছিলেন। লুকিয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader) শ্যামাপ্রসাদ রঞ্জিত। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে ফের বাড়ি ফেরার তোড়জোড় চলেছিল। কিন্তু তার আগেই অশান্তি। ঘরে ফেরার আগেই শ্যামাপ্রসাদবাবুর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
ঘটনার সূত্রপাত
খেজুরি বিধানসভার বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরখাঁচক গ্রামের সক্রিয়ভাবে বিজেপিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ রঞ্জিত নামে এক ব্যক্তি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে খেজুরি থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। অভিযোগ, শ্যামারঞ্জিতের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অত্যাচার চালায়। বাধ্য হয়ে ওই বিজেপি নেতা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। আদালতের নির্দেশে শ্যামারঞ্জিতের বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছিল। কিন্তু শুক্রবার গভীর রাতে কেউ বা কারা শ্যামারঞ্জিতের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন ওই বিজেপি নেতার পরিবারের সদস্যরা৷ আগুনের তাপে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেও, পুরো বাড়িই ভস্মীভূত হয়ে যায়। শনিবার সকালে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে ভিড় জমান এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।
Suvendu Adhikari: তিনি যা চেয়েছেন, তাই হয়েছে, এবার ময়নায় CBI-এর দাবি ‘আত্মবিশ্বাসী’ শুভেন্দুর
যদিও এই ঘটনায় পুরোপুরি শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক পবিত্র দাস বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারে বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বিজেপি সমর্থক থেকে নেতৃত্বদের পরিবার ঘর ছাড়া ছিল। আদালতের নির্দেশে বাড়ি ফেরার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তার আগেই বিজেপি কার্যকর্তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বরা। এনিয়ে আমরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
পুলিশ প্রশাসনের উপর খুব উগড়ে দিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দলাই বলেন, “বারাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকদিন ধরে বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত হার্মাদরা। ৫০-৬০ টি বিজেপি পরিবার ঘরছাড়া ছিল। হাইকোর্টে দ্বারস্থ হই। আদালতের নির্দেশক্রমে ঘরছাড়াদের বাড়ি ফেরাতে হবে, সিসিটিভি থেকে পুলিশ ক্যাম্প বসাতে হবে। পুলিশ সেখানে বিজেপির নেতৃত্ব থেকে কর্মীদের মিথ্যা মামলা রুজু করেছে। নামে মাত্র অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। ঘরছাড়াদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। আগামী দিনে পুলিশের এই হঠকারিতার বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের নামব।”
খেজুরি ছাড়ার ওসি অমিত দেব বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে । তবে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়েছি। খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে কেউ বা কারা। পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছি। ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খোঁজ করা হচ্ছে।”
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। খেজুরি দুই ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি নতুন করে নাটক শুরু করেছে। পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours