সংসদ অভিযানের পরই দিল্লি পুলিশের তরফে নির্দেশিকা আসে, যন্তর মন্তরে ধর্না দেওয়া যাবে না। অন্যত্র জায়গা বাছতে হবে কুস্তিগীরদের। যন্তর মন্তরে কুস্তিগীররা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয় রাজধানীর পুলিশের তরফে
Wrestlers protest: ‘আজই গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেব অলিম্পিক মেডেল’, যন্তর মন্তর থেকে সরানোর নির্দেশে হুঁশিয়ারি কুস্তিগীরদেরঅলিম্পিক মেডেল জেতার মুহূর্ত
নয়া দিল্লি: স্বনামধন্য বক্সার মহম্মদ আলি অলিম্পিকে জেতা সোনার মেডেল ওহিও নদীতে ছুড়ে ফেলেছিলেন। কারণ, রেস্তোরাঁয় বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ায় অত্যন্ত এটা ছিল তাঁর প্রতিবাদ। এবার সেই পথেই হাঁটলেন কুস্তিগীরা সাক্ষীরাও। ধর্নারত সাক্ষীদের যন্তর মন্তর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সোমবার। দিল্লি পুলিশের এই নির্দেশিকা আসার পর অলিম্পিক মেডেল জয়ী বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা জানিয়েছেন, যন্তর মন্তর থেকে সরিয়ে দিলে আজই অর্থাৎ মঙ্গলবার হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গায় অলিম্পিকের মেডেল ভাসিয়ে দেবেন। পাশাপাশি, ইন্ডিয়া গেটে আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দেন কুস্তিগীররা। রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন সংসদ অভিযান যাত্রা শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সংসদ ভবনে পৌঁছনোর অনেক আগেই দিল্লি পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন সাক্ষীরা।
সংসদ অভিযানের পরই দিল্লি পুলিশের তরফে নির্দেশিকা আসে, যন্তর মন্তরে ধর্না দেওয়া যাবে না। অন্যত্র জায়গা বাছতে হবে কুস্তিগীরদের। যন্তর মন্তরে কুস্তিগীররা আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয় রাজধানীর পুলিশের তরফে। ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, অন্যত্র ধর্না করার আবেদন করতে পারেন আন্দোলনকারীরা। যদিও যন্তর মন্তরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় অনড় সাক্ষীরা।
কুস্তিগীররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যন্তর মন্তর থেকে সরালে কড়া পদক্ষেপ করবেন তাঁরা। যন্তর মন্তর প্রতিবাদের জায়গা বলে পরিচিত। এখানে আন্দোলন করতে না দিলে গঙ্গায় মেডেল ভাসিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। কুস্তিগীররা জানান, মেডেল চলে গেলে বেঁচে থাকা তাঁদের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে তাঁরা যে সত্যিই আরও বড় পদক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন একের পর এক মহিলা কুস্তিগীররা। এই বিজেপি সাংসদকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়ারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। এই জল আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত সভাপতির পদ থেকে ব্রিজভূষণকে অপসারণ করা হয়নি। সময় যত গড়িয়েছে, ব্রিজভূষণের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন তীব্রতর হয়েছে। এইবার ‘নিজেদের অস্তিত্বই’ গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দেওয়ার পণ ধরলেন কুস্তিগীররা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours