শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ৬ যুবক গত ৩ মে অর্থাৎ বুধবার বাড়ি থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা হন। পরের দিন পুরীর হোটেলে পৌঁছন তাঁরা।
Death in Puri: আগে আটবার পুরী গিয়েছেন বন্ধুরা, নবম বারেই সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন শ্রীরামপুরের অজয়-অরিন্দমঅজয় ও অরিন্দম
শ্রীরামপুর : এই প্রথম পুরী ভ্রমণ নয়, আগে আটবার পুরী গিয়েছেন বন্ধুরা মিলে। কিন্তু নবম বারে যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে, তা কে জানত! এবার আর ফেলা হল না বাড়ি। সমুদ্রের জলে তলিয়ে গেলেন দুই বন্ধু। দুজনেই হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার সকালেই সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন তাঁরা। বাকি বন্ধুরা উঠে এলেও জলের তোড়ে তলিয়ে যান শ্রীরামপুরের অজয় দাস ও অরিন্দম দাস। ছয় বন্ধু একসঙ্গে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। দুদিন আগেই পুরীর সমুদ্রে এ রাজ্যের আরও দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ার বাসিন্দা রঞ্জন দাস ও তাঁর ছেলে ঋষভ দাসের মৃত্যু হয়েছে একইভাবে।
শ্রীরামপুরের বাসিন্দা এই ৬ যুবক গত ৩ মে অর্থাৎ বুধবার বাড়ি থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা হন। পরের দিন পুরীর হোটেলে পৌঁছন তাঁরা। পৌঁছে অরিন্দম দাস তাঁর মাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন ভালভাবে পৌঁছে গিয়েছেন। ভিডিয়ো কলে হোটেলের ঘরের ছবিও দেখিয়েছিলেন তাঁরা। সেই শেষ কথা। বিকেলেই শ্রীরামপুরের বাড়িতে আসে ছেলের মৃত্যুসংবাদ। শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
অরিন্দম বীমা সংস্থার এজেন্টের কাজ করতেন। তাঁর মা সুদীপ্তা দাস বলেন, ‘ছেলে হোটেলে ঢুকে ফোন করে বলল মা ভাল হোটেল পেয়েছি। ২১০০ টাকা ভাড়া। এর পর আর যোগাযোগ হয়নি।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours