৯ মে-র পর মোখার জন্মের সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান-নিকোবরে একটানা দুর্যোগের আশঙ্কা। ১২ মে পর্যন্ত দ্বীপপুঞ্জে পর্যটকদের সমুদ্রে নামা বারণ। উল্টে রাজ্য জুড়ে গরম আরও বাড়বে।
Cyclone Mocha: মোখার প্রভাব বাংলার কোথায়? অভিমুখ উল্লেখ করে আজ স্পষ্ট বলে দিলেন মৌসম ভবনের কর্তাঘূর্ণিঝড় মোচার অভিমুখ
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কি বাংলায় পড়তে পারে? উত্তরের খোঁজে গোটা রাজ্য। আপাতত আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিল, ১১ মে পর্যন্ত বাংলার উপকূলে কোনও দুশ্চিন্তা নেই। তার পর মোখার পথে বাংলা পড়বে কি না, তা স্পষ্ট হবে সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পরই। পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত আজই নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ৯ মে-র পর মোখার জন্মের সম্ভাবনা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান-নিকোবরে একটানা দুর্যোগের আশঙ্কা। ১২ মে পর্যন্ত দ্বীপপুঞ্জে পর্যটকদের সমুদ্রে নামা বারণ। বাংলায় অবশ্য স্থানীয় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। উল্টে রাজ্য জুড়ে গরম আরও বাড়বে।
মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ৮ তারিখ একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেম লোকেশনে অর্থাৎ দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। ৯ তারিখ আরেকটু ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর এটা উত্তর দিকে এগোতে শুরু করবে। বঙ্গোপসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে ও উত্তর আন্দামান সাগরে পৌঁছে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।”
তবে বাংলায় চড়বে পারদ। রবিবার ফের চল্লিশে পৌঁছেছে বাঁকুড়ার তাপমাত্রা। আসানসোলেও তাই। চল্লিশের চৌকাঠে রয়েছে একাধিক জেলার তাপমাত্রা। শ্রীনিকেতনে ৩৯.৬, বর্ধমানে, ৩৯.৫ আর কলকাতায় রবিবার ৩৮ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছয় পারদ। শেষ ১৭ দিনের মধ্যে রবিবারই ছিল কলকাতার উষ্ণতম দিন। আলিপুরের চেয়েও বেশি গরম ছিল দমদম ও সল্টলেকে। সল্টলেকে তাপমাত্রা ৩৯.৩ ডিগ্রি, দমদমে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি। তবে গরম বাড়লেও এখনই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা নেই, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours