দুরন্ত ছন্দে ছিলেন গুজরাট টাইটান্সের পেসার মোহিত শর্মা। কিন্তু শেষ ওভারের মাঝে ড্রিঙ্কস ও নেহরার বার্তা নিয়ে যান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তারপরই নিজেকে হারিয়ে ফেললেন মোহিত।
Mohit Sharma : ছন্দে ছিলেন মোহিত, শেষ ওভারে ড্রিঙ্কস ও নেহরার বার্তাই হল কাল!
Image Credit Source: Twitter
কলকাতা: ক্রিজে চেন্নাই সুপার কিংসের দুই বিধ্বংসী ব্য়াটার শিবম দুবে ও রবীন্দ্র জাডেজা। তা সত্ত্বেও শেষ ওভারের প্রথম চার বলে গুজরাট টাইটান্স পেসার মোহিত শর্মা (Mohit Sharma) দিয়েছিলেন মাত্র ৩ রান। তার মধ্যে তিনটি দুর্দান্ত ইয়র্কার। চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে প্রবল চাপ। এদিকে মোহিতের ছন্দ ও ভরপুর আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে গুজরাট টাইটান্স। অথচ ওভারের মাঝেই দলের পেসারের ছন্দ ভেঙে দিলেন খোদ ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং কোচ আশিস নেহরা। প্রথম চার বলের পর মোহিতের জন্য ড্রিঙ্কস ও বার্তা পাঠান নেহরা। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মোহিতের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। তারপর যে শেষ দুটি বল করেন মোহিত, দুটিতেই লেন্থ মিস। ওই দুটি বল ২০২৩ আইপিএলের (IPL 2023) ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। এতেই গুজরাট টাইটান্স ম্যানেজমেন্টের উপর রেগে খাপ্পা ক্রিকেট সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের প্রশ্ন, কী এমন হল যে ওভারের মধ্যে ড্রিঙ্কস আনা হল? সঞ্জয় মঞ্জরেকর, টম মুডিদের অভিযোগ, এসব করে মোহিতের ছন্দ পুরোপুরি নষ্ট দেওয়া হয়। অনেকে টাইটান্সদের হারের পিছনে গুজরাটের ম্যানেজমেন্টকেই দায়ী করেছেন। বিস্তারিত র এই প্রতিবেদনে।
এ বারের আইপিএলের কামব্যক কিং বলে যদি কাউকে ধরা হয় তিনি হলেন মোহিত শর্মা। গতবছরও নেট বোলার ছিলেন। কোনও দলই তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। অবশেষ গুজরাট টাইটান্স টিমে সুযোগ। গতবছরও নেট বোলার হিসেবে কাজ করেছেন। এ বার রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কা খাওয়ার পর যশ দয়ালের পরিবর্তে একাদশে ঢোকার সুযোগ পান মোহিত। সেখান থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন ২৭টি উইকেট নিয়ে। পার্পল ক্যাপধারী মহম্মদ সামির থেকে এক উইকেট পিছনে। এ হেন মোহিত আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সোমবার রাতের শেষ ওভারে ছন্দে ছিলেন। আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠছিল শরীরি ভাষায়। ওভারের প্রথম তিনটি বলে ইয়র্কার দেন। এরপর চতুর্থ বলে মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হন শিবম দুবে। ঠিক তারপরই দেখা যায় গুজরাটের একাদশের বাইরে থাকা এক প্লেয়ার ড্রিঙ্কস নিয়ে মাঠে ঢুকছেন। দুজনে কিছুক্ষণ কথা হয়। এরপর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও কথা বলেন মোহিতের সঙ্গে। শেষ দু বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১০ রানের। মোহিতের ডেলিভারি সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলে ম্যাচ জিতিয়ে দেন রবীন্দ্র জাডেজা।
ওভারের মাঝপথে মোহিতকে কী এমন বলতে চেয়েছিলেন কোচ আশিস নেহরা এবং ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া? জানতে চেয়েছেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর এবং টম মুডি। ইএসপিএল ক্রিকইনফোর অনুষ্ঠানে গুজরাট শিবিরের ট্যাকটিক্স নিয়ে প্রশ্ন তুলে মঞ্জরেকর বলেন, “মোহিত শর্মা ইয়র্কার-বোলার বলে পরিচিত নয়। কিন্তু এদিন তাঁকে দুর্দান্ত ইয়র্কার দিতে দেখেছি। ঠিক তখনই ড্রিঙ্কস নিয়ে আসা হল। ওর আশেপাশে অনেকেই ছিল। ও যখন ফের বোলিং মার্কে যাচ্ছে তখনও শান্ত ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর মনে হচ্ছিল। তাহলে শুধুশুধু ছন্দ নষ্ট করে কী লাভ হল?”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours