রবীন্দ্রন কান্নুরের একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেন। এর পর একটি শিপিং সংস্থায় চাকরি পান। ২০০৩ সালে ছুটির সময় তিনি এক বন্ধুকে ক্যাট পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছিলেন। এর পর নিজেই বসেন ক্যাট পরীক্ষায়। এবং ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর করেন।
BYJU'S CEO: চাকরি ছেড়ে ছাত্র পড়ানোয় মন, বাইজু দিয়ে দেশ চিনল রবীন্দ্রনকেবাইজু রবীন্দ্রন
বেঙ্গালুরু: বৈদেশিক লেনদেনে গরমিলের অভিযোগে বাইজুর অফিসে শনিবার তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাইজুর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বাইজু রবীন্দ্রন তৈরি করেছেন এই সংস্থা। শিক্ষাক্ষেত্রে এটি ভারতের অন্যতম সফল স্টার্ট আপ সংস্থা। প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করতেন রবীন্দ্রন। শিক্ষক থেকে সফল ব্যবসায়ী কী ভাবে হয়ে উঠলেন তিনি।
বাইজু রবীন্দ্রন
কেরলের ছোট্ট গ্রাম আঝিকোড়ে জন্ম রবীন্দ্রনের। তাঁর পরিবারের অধিকাংশ জনই ছিলেন শিক্ষক। রবীন্দ্রন কান্নুরের একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেন। এর পর একটি শিপিং সংস্থায় চাকরি পান। ২০০৩ সালে ছুটির সময় তিনি এক বন্ধুকে ক্যাট পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছিলেন। এর পর নিজেই বসেন ক্যাট পরীক্ষায়। এবং ১০০ পার্সেন্টাইল স্কোর করেন। এর পরবর্তী ২ বছর তিনি বিভিন্ন জনকে ক্যাট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছিলেন। তখনই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। এবং ২০০৭ সালে বাইজুস ক্লাসেস নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন। সেখানেই পড়াতেন তিনি। সেই ক্লাসেই রবীন্দ্রনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর স্ত্রী বিদ্যা গোকুলনাথের। এর পর ২০১১ সালে বাইজুস (BYJU’S) তৈরি করেন তাঁরা। রবীন্দ্রন গড়েন থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন সংস্থা। সেই সংস্থার অধীনেই ২০১৫ সালে বাইজুস অ্যাপ তৈরি হয়। এর পর থেকে চড়চড় করে বাড়তে থাকে বাইজুর ব্যবসা।
বাইজু অ্যাপ
তৈরির কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের অন্যতম সেরা এডুকেশন অ্যাপে পরিণত হয় বাইজু। বার্ষিক সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৬৫ লক্ষেরও বেশি। কমবয়সী পড়ুয়াদের আধুনিক ভঙ্গিতে পড়াশোনা করায় এই অ্যাপ। বর্তমানে এই এডুটেক সংস্থায় আড়াই হাজারেরও বেশি উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক রয়েছেন। এ ছাড়াও রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা, সিলেবাস তৈরির মতো কাজ করে চলেছেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours