আতশবাজি তৈরির সময় হঠাৎ করে আসাবধানতাবশত কারখানাটিতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং তার থেকে কারখানার ভিতর আগুন লেগে যায়।




Blast in firecrackers factory: এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ১ ও আহত ২বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ।
এগরা: ভরদুপুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ নম্বর ব্লকের পুরন্দা গ্রামে একটি বাজি কারখানায় জোরাল বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণ থেকেই কারখানাটিতে আগুন লেগে যায় এবং আগুনে দগ্ধ মৃত্যু হয় এক যুবকের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এগরা ১ নম্বর ব্লকের আর.বি.সি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পুরন্দা গ্রামে আতশবাজির একটি কারখানায় আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে মৃত যুবকের নাম দুর্গাপদ জানা। তাঁর মা গৌরী জানা ও বাবা নারায়ণ চন্দ্র জানা গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তিনি এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাজি কারখানাটি অবৈধ এবং আতশবাজি তৈরির সময়ই কোনভাবে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরন্দা গ্রামে বহুদিন ধরেই বাজি কারখানাটি চলছিল। কারখানাটি অবৈধ এবং স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গাপদ জানা ও তাঁর বাবা নারায়ণ চন্দ্র জানা এটি চালাচ্ছিলেন। এদিন দুপুরে নারায়ণ চন্দ্র জানা আতশবাজি তৈরি করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করে আসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটে এবং তার থেকে কারখানার ভিতর আগুন লেগে যায়। সেই সময় কারখানায় উপস্থিত দুর্গাপদ জানা ও তাঁর মা গৌরী জানার কাপড়েও আগুন লেগে যায়। নারায়ণ চন্দ্র জানাও অগ্নিকাণ্ডের কবলে পড়েন। তারপর কারখানা থেকে আগুন বেরোতে দেখে এলাকাবাসীই দমকলে খবর দেন। তারপর দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভায়। তারপর দমকলকর্মীরা অগ্নিদগ্ধ দুর্গাপদ জানা, নারায়ণ চন্দ্র জানা ও গৌরী জানাকে উদ্ধার করেন এবং তাঁদের এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে। দুর্গাপদ জানার। হাসপাতালের চিকিৎসক গৌরী জানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গৌরী জানা ও নারায়ণ চন্দ্র জানা এখনও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।



Amarnath Yatra: চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রা কবে শুরু, দিন ঘোষণা SASB-র
বাজি কারখানায় এভাবে অগ্নিকাণ্ড ও মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্তে এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীর নেতৃত্বের পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছেছে। বেআইনি বাজি কারখানাটি কী ভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এবং এদিন কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours