সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, "শুভেন্দুর সভায় এলাকার কোন কোন মানুষ যাচ্ছেন খাতায় লিখে রাখুন। ওই পরিবারে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে ভাতা কী কী পাচ্ছেন, তা বুঝতে পারব। বাকিটা ইতিহাস করব।"
Bankura TMC: 'শুভেন্দুর সভায় কারা যাচ্ছেন নামটা লিখে রাখুন, লক্ষ্মীর ভান্ডারটা কিন্তু...', তৃণমূল নেতার মন্তব্যে হুঁশিয়ারিতৃণমূল নেতার মন্তব্যে বিতর্ক
বাঁকুড়া: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় গেলে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন গ্রামবাসীরা, প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কার্যত এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল নেতা। আর তা নিয়েই বিতর্ক। সোমবার বাঁকুড়ার ইন্দাসে সভা করেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ হামিদ। সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “শুভেন্দুর সভায় এলাকার কোন কোন মানুষ যাচ্ছেন খাতায় লিখে রাখুন। ওই পরিবারে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে ভাতা কী কী পাচ্ছেন, তা বুঝতে পারব। বাকিটা ইতিহাস করব।” এভাবে তৃণমূল নেতা এহেন মন্তব্য করতে পারেন কি? শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই আক্রমণের তেজ বাড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল। প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে কখনও প্রচ্ছন্ন, আবার কখনও এমন হুমকি-হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তা নিয়ে বিতর্ক ছড়াচ্ছে। এরই মাঝে আগামী ২৮ এপ্রিল বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের শাসপুর মাঠে সভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইন্দাসের সভাতেই এবার প্রচ্ছন্নভাবে হুমকির সুর শোনা গেল তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক সভাপতির গলায়।
বিজেপি নেতা দেবপ্রিয়া বিশ্বাস বলেন,”রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদের এভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। আদৌ কি এই ধরনের কথা তিনি বলতে পারেন? সরকারি পরিষেবা পাওয়া তো মানুষের অধিকার।”
ইন্দাসের ব্লক সভাপতি শেখ হামিদ অবশ্য বিষয়টিকে হুমকি বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, “যাঁরা বিরোধীদের সভায় যাচ্ছেন, তাঁরা কেন যাচ্ছেন তা জানার জন্যেই ওই কথা বলা হয়েছে। যাঁরা সিপিএম-এর সভায় যাচ্ছেন, তাঁরাই বিজেপির সভায় যাচ্ছেন। সেই ইতিহাসটাই মানুষের সামনে তুলে ধরার কথা সভায় বলা হয়েছে।”
কার্যত, সাগরদিঘিতে ঠিক এরকমই একটা অভিযোগ উঠেছিল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের পরই এলাকার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে আর লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১১ সালের পর থেকেই সাগরদিঘি ছিল তৃণমূলের দখলে। টানা তিন বারের বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে সেখানে উপ নির্বাচন হয়। বাম-কংগ্রেস জোটের বায়রন বিশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেন। অভিযোগ তারপরই লক্ষ্মীর ভান্ডার না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন ব্লকের একাধিক মহিলা।
অভিযোগ মানতে নারাজ ছিল জেলা প্রশাসন। সাগরদিঘির বিডিও সঞ্জয় শিকদার বলেন, “এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। যদি অভিযোগ আসে আমরা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব।” যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, এ সবের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এভাবে চলে না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours