ফের একবার ভারতের বিদেশ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দাবি, ভারতের মতোই রাশিয়া থেকে তেল কিনতে চেয়েছিল তাঁর সরকারও।

Imran Khan: 'সস্তার রুশ তেল কিনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু...', ফের ভারতের প্রশংসায় ইমরান২৩ বছর পর পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ায় পা রেখেছিলেন ইমরান
ইসলামাবাদ: ফের একবার ভারতের বিদেশ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দাবি, ভারত যেই রকম মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় জ্বালানি তেল কিনছে, তেমনই ইসলামাবাদও সস্তার রুশ তেল কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু, অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে তাঁর সরকারের পতন ঘটায়, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সোমবার (১০ এপ্রিল), দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছেন ইমরান। সেই বার্তায় তিনি বলেছেন, “ভারতের মতোই আমরা সস্তার রুশ তেল কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। অনাস্থআ প্রস্তাবের জেরে আমার সরকারের পতন ঘটে।”


উল্লেখ্য, পদচ্যূত হওয়ার আগে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন ইমরান খান। এমনকী, ঠিক যেদিন ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া, ওই দিন মস্কোতেই ছিলেন তিনি। ২৩ বছর পর প্রথম কোনও পাক প্রধানমন্ত্রীর পা পড়েছিল মস্কোয়। কিন্তু, সেই সফর মোটেই ফলপ্রসূ ছিল না। রুশ পক্ষের থেকে একটিও চুক্তি আদায় করতে পারেননি ইমরান। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। কাজেই, রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল কেনার যে দাবি তিনি এখন করছেন, তার সত্যতা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

মজার বিষয় হল, ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর থেকে বারবারই ইমরান খানের মুখে ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্তের প্রশংসা শোনা গিয়েছে। ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে এক জনসভায় ইমরান বলেছিলেন, “নওয়াজ ছাড়া আর কোনও রাষ্ট্রনেতার একশো কোটির উপর সম্পদ নেই। কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দেশের বাইরে এত সম্পদ নেই। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতের বাইরে কত সম্পত্তি আছে?” তার আগে ওই বছরেরই মে মাসে রাশিয়ার থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল কেনার সিদ্ধান্তের জন্য মোদী সরকারের প্রশংসা করেছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।


এদিকে, পাকিস্তানের পেট্রোনিয়াম মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মুসাদিক মালিক জানিয়েছেন, আগামী মাসের মধ্য়েই রাশিয়া থেকে সস্তার তেল আসবে পাকিস্তানে। এক বেসরকারি পাক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গত কয়েক মাস ধরে এই চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছিল। এর ফলে, পাকিস্তানের আর্থিক সমস্যা কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করছে পাক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। কারণ এই চুক্তির ফলে তাদের তেল আমদানির খরচ অনেকটাই কমবে। বস্তুত, জ্বালানি খরচ কমাতে পাক সরকার ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। অভিজাত শ্রেণিকে চড়ামূল্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours