শুভেন্দু এদিন বলেন, "উনি বলেন 'আমি শিখিয়েছি রাজনীতি'। আপনি কে রাজনীতি শেখানোর?"
Suvendu Adhikari: আপনার বাড়ির সামনে হাজরায় দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইব, মমতার উদ্দেশে কেন এমন বললেন শুভেন্দু?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব মেদিনীপুর: গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে গিয়েছিলেন দিঘায়। সেখান থেকে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছিলেন তিনি। সোমবার খেজুরির ঠাকুরনগরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের ‘প্রত্যুত্তর’ শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। শুভেন্দু অধিকারী এদিনের সভা থেকে বলেন, যদি তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি সংক্রান্ত কোনও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়, তা হলে তিনি হাজরা মোড়ে গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইবেন। এমনকী রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন বলেও মন্তব্য করেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বড় বড় কথা। মেদিনীপুরে চাকরি, পুরুলিয়া-বাঁকুড়া। একটা নাম দেখান মুখ্যমন্ত্রী। আমি বিরোধী দলনেতা বলছি। একটা প্রমাণ দিন। রাজনীতি ছেড়ে দেবো। আপনার বাড়ির সামনে হাজরা মোড়ে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইব। পারবেন না।”
এদিন বারবার শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রত্যুত্তর। শুভেন্দু এদিন বলেন, “উনি বলেন ‘আমি শিখিয়েছি রাজনীতি’। আপনি কে রাজনীতি শেখানোর? যদি কারও কাছ থেকে শিখে থাকি তাঁর নাম সুশীলচন্দ্র ধাড়া, আভা মাইতি, শিশির অধিকারী।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন নন্দীগ্রামে তাঁর লড়াইয়ের কথা।
Sukanta Majumdar: দণ্ডির জল গড়াল রাইসিনায়, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর
এবারও পূর্ব মেদিনীপুর গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে সূর্যোদয়ের নামে দশদিন কাউকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। ১৪ মার্চ যখন গুলিতে মারা গিয়েছিল, সেই সময় খেজুরি দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হতো না। সেই সময় গদ্দাররা মাঠে ছিল না। লুকিয়ে বসেছিল। আমি সেই সময় ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। ১৪ মার্চের গুলিকাণ্ডের পর আমি ছুটে এসেছিলাম। চণ্ডীপুরে আমার গাড়ি আটকে পেট্রল বোমা মারতে গিয়েছিল। কোলাঘাটে আমার গাড়িতে মদের বোতল ছোড়া হয়েছিল। আমার উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। আমি যত দিন বাঁচব আমার আন্দোলন কেউ রুখতে পারবে না। আমার সংগ্রামী জীবন কেউ রুখতে পারবে না। আমি মানুষের সঙ্গে ছিলাম আছি থাকব।” এদিন শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, “আপনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ছিলেন?”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours