মেদিনীপুরের ঘাটালে বিজেপি নেতা তথা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রামকুমার দে। বললেন যে, এবারও যদি একই ঘটনা ঘটায় তাহলে বাঁশ দিয়ে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে। এমনকী ভোট বাক্স ফেলে দেওয়া হবে জলে।
BJP: 'ভোট চুরি করলে বাঁশ দিয়ে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেব', তৃণমূলকে হুমকি দিয়ে বিতর্কে বিজেপি নেতাবিজেপি নেতার হুমকি (নিজস্ব চিত্র)
ঘাটাল: আগের বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময় শাসকদলের বিরুদ্ধে দেদার ছাপ্পা, ভোট কারচুপি, বুথ দখল মারামারি অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে শাসক দল তৃণমূল। এবারও যদি সেই একই ঘটনা ঘটে তাহলে যে কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বিজেপি নেতা তথা ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রামকুমার দে। বললেন যে, এবারও যদি একই ঘটনা ঘটায় তাহলে বাঁশ দিয়ে মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে। এমনকী ভোট বাক্স ফেলে দেওয়া হবে জলে।
সোমবার বিকেলে বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের উদ্যোগে চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর, বিজেপির একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে তৃণমূলকে হুমকি দিয়ে রামকুমার দে বলেন, “এখন আমাদের ১৮ জন সাংসদ, ৭৭ জন বিধায়ক আর ৩৮ শতাংশ ভোট আছে। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাঁচা বাঁশ সঙ্গে থাকবে। আত্মরক্ষার অধিকার মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। তাই যদি এসে উপদ্রব করো তাহলে হাসপাতালের একটা বেডও খালি রাখবো না। ঠ্যাং ভেঙে হাসপাতালে বসিয়ে দেব বন্ধু।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “তোমরা আমাদের সেই দুর্বল ১৮ সালের বিজেপি ভাবোনি।এখন সশস্ত্র বিজেপি। আমাদের নেতা নরেন্দ্র মোদী,আমাদের নেতা অমিত শাহ, আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী,দিলীপ ঘোষ আছেন। যারা এক পা পিছতে জানেনা। আর যদি মনে কর ছাপ্পা, মারবো বুথ দখল করব, তাহলে আমাদের কর্মীরাও ভোট বাক্স পুকুরের জলে ফেলে দেবে। আর কোনও নেতা যদি ভোট চুরি করতে আসে তারা গোটা পায়ে এলে ভাঙা পা নিয়ে যাবেন।”
যদিও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তিনি বলেছেন, “জনগণ এর প্রতিরোধ করবে। ওরা এমনই হুমকি দিচ্ছে। আসলে ওদের কোনও লোকই নেই।” পাল্টা হুঁশিয়ারি তিনিও দিয়েছেন। বলেছেন, “ওরা যদি কাউকে লাঠি-ডান্ডা দেখায় তাহলে পাল্টা কী হবে ওরা দেখে নেবে।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলকে এ হেন হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতাদের প্রথম নয়। সোমবার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “২০১৮ ও ২০২৩ সালে বাঁকুড়া বিজেপির মধ্যে অনেক ফারাক আছে। এখন বিজেপি কর্মীদের বাধা দিতে কেউ সাহস করবে না। এখন পুলিশ যদি সাহায্য করে তা আলাদা ব্যাপার। আর এর জবাব ২০২৪ এর নির্বাচনে আলাদাভাবে দেওয়া হবে। গতবারের মতো এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে এবং গতবারের মতো ব্যবহার করলে আমরা তাদের শুইয়ে দেব।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours