সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে আব্দুল লতিফের আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত লতিফকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছে। আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।
Cow Smuggling Case: এখনই গ্রেফতারি নয়, 'সুপ্রিম' দুয়ারে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ পেলেন আব্দুল লতিফসুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের (Abdul Latif) সাময়িক স্বস্তি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সোমবার শীর্ষ আদালতে আব্দুল লতিফের মামলার শুনানি ছিল। এর আগে আসানসোলে বিশেষ সিবিআইঈ আদালত লতিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আব্দুল লতিফ। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি হয়। শীর্ষ আদালত লতিফকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছে। আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই (CBI)।
তবে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়ে দিয়েছে, এর মধ্যে আব্দুল লতিফকে সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে হবে এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সহযোগিতাও করতে হবে। এক সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত স্বস্তিতে আব্দুল লতিফ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ-র মৃত্যুর ঘটনাতেও আব্দুল লতিফের নাম জড়িয়েছিল। যে গাড়িটি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজুকে পাওয়া গিয়েছিল, সেই গাড়িটি আব্দুল লতিফের বলে দাবি করা হচ্ছে। রাজু গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছু সময় আগে লতিফও সেই গাড়িতে ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই আব্দুল লতিফের উত্থান হয়েছিল ২০১২-১৩ সালে। ইলামবাজারে আব্দুল লতিফের একটি বিলাসবহুল বাড়ি ও অফিস রয়েছে। গরুপাচার মামলা এনামুলের পরই দ্বিতীয় নাম রয়েছে আব্দুল লতিফের। সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার মামলায় কিংপিন এনামুল হক ও আব্দুল লতিফের একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এমন বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। এরই মধ্যে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ আব্দুল লতিফ। সুপ্রিম কোর্ট লতিফের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিলেও, সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিয়েছে তাকে সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে এবং তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours