গাড়িটি রাস্তার ধারে একেবারেই অসুরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেন মনে হচ্ছে, কেউ সেই গাড়িটিকে পার্ক করে রেখে গিয়েছেন। এত বড় একটা খুনের ঘটনা, যে গাড়ি ব্যবহার করে আততায়ীরা এসেছিল, সেটাই তদন্তের একটা বড় হাতিয়ার।
Raju Jha Murder Case: পিছনের সিটে গেরুয়া উত্তরীয়, পাঁচটি নম্বর প্লেট, চিপসের প্যাকেট! রাস্তার ধারে হেলায় পড়ে রাজু খুনে ব্যবহৃত নীল গাড়িঅসুরক্ষিত নীল রঙা গাড়ি
শক্তিগড়: যে নীল গাড়িটা করে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে খুন করতে এসেছিল আততায়ীরা, তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। নীল রঙা সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার আরও পাঁচটি ভুয়ো নম্বর প্লেট। প্রতিটি টোল প্লাজার আগেই নম্বর প্লেট বদলানো হয়েছিল বলে পুলিশ মনে করছে। আততায়ীরা বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ড থেকেই এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শক্তিগড় স্টেশনের কাছাকাছি জাতীয় সড়কের পাশেই সেই নীল গাড়ির হদিশ মিলেছে। প্রাথমিক অনুমান, রাজুকে খুনের পর কলকাতার দিকে পালাচ্ছিল গাড়িটি। পরে বিপদ বুঝে রুট বদল করে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজু ঝা খুন হয়েছেন, রবিবার সকাল পর্যন্তও দেখা গিয়েছে, নীল রঙা যে গাড়িটি আততায়ীরা ‘অপারেশনের’ পর ফেলে রেখে গিয়েছিল, সেটি সেখানেই রয়ে গিয়েছে। শক্তিগড় রেলস্টেশন থেকে শক্তিগড় ফাঁড়ি যাওয়ার পথে পুরনো জিটি রোডের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই নীল রঙা গাড়িটি। গাড়িটি একটি বাড়ির সামনেই দাঁড় করানো। সেই বাড়ির সদস্য জানাচ্ছেন, তাঁরা সকাল থেকে গাড়িটিকে ওইভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। রাতে পুলিশ কর্মীরা এসেছেন। তাঁরা ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করেছেন। কিন্তু সে সময় তাঁরা কিছুই জানতে পারেননি। কারণ পুলিশও তাঁদের কোনও প্রশ্ন করেননি।
উল্লেখ্য, গাড়িটি রাস্তার ধারে একেবারেই অসুরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যেন মনে হচ্ছে, কেউ সেই গাড়িটিকে পার্ক করে রেখে গিয়েছেন। এত বড় একটা খুনের ঘটনা, যে গাড়ি ব্যবহার করে আততায়ীরা এসেছিল, সেটাই তদন্তের একটা বড় হাতিয়ার। অথচ সেই গাড়িটিকে কোনওভাবেই ঘিরে রাখা হয়নি।
Raju Jha Murder: নম্বর প্লেট নকল, খুনের পর রুট বদল, কতটা নিঁখুত ছিল আততায়ীদের পরিকল্পনা
এই গাড়িতেই আততায়ীদের আঙুলের ছাপ থাকতে পারে, থাকতে পারে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যও। ফিঙ্গার প্রিন্ট নিতে পারে ফরেনসিক টিম। কিন্তু যেভাবে গাড়িটি অসুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, প্রমাণ লোপাট হবে না তো? বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে, নীল গাড়ির পিছনের সিটে পড়ে রয়েছে একটি গেরুয়া উত্তরীয়, চিপসের প্যাকেট, পায়ের কাছে দুটো গুলির খোলের মতো জিনিস। TV9 বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। প্রশ্ন উঠছে, গাড়ির ভিতর থেকেই কি শার্প শুটার কেউ গুলি চালিয়েছিল? সবটাই তদন্ত সাপেক্ষ। আপাতত কয়লা মাফিয়া খুনে তদন্তের সব থেকে বড় হাতিয়ার এই নীল গাড়িটিই রাস্তার ধারে ‘ভীষণ’ই অসুরক্ষিত।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours