সম্প্রতি আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়ি, অফিসে ইডি তল্লাশি চালায়। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু। বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে রক্ষাকবচ দেওয়া হল আইনজীবীকে। পরবর্তী শুনানির আগে তাঁর বাড়িতে বা অফিসে কোনও তল্লাশি করা যাবে না বলে নির্দেশ আদালতের। বুধবারই ইডি দফতরে তাঁর হাজিরার দিন ছিল। তবে আদালতের নির্দেশের পর আর যেতে হয়নি তাঁকে। তবে তদন্ত বন্ধ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। পরের শুনানি আগামী সোমবার।


বুধবার আদালতে ইডি দাবি করে, রক্ষাকবচ চাইলে একক বেঞ্চে মামলা হতে পারে। এই অবস্থায় আদালতে এই মামলা শোনা হলে ভুল বার্তা যাবে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডি-র তরফে আরও জানানো হয়, সঞ্জয় বসুকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হচ্ছে, গ্রেফতারের আশঙ্কা করা হচ্ছে কেন? সেই প্রশ্নও তোলা হয়।

বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কীভাবে এই আইনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গোপন রাখা হচ্ছে? গান্ধীজিকে গ্রেফতারের সময় ব্রিটিশদের তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, কী অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এখানেও কী চার্জ সেটা জানা দরকার।’


সঞ্জয় বসুর আইনজীবী উল্লেখ করেন, ‘পিনকন’কে ইডি ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা বলে চিহ্নিত করে। ২০২৩-এর ৩ মার্চ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি জানায়, এই সংস্থার ডিরেক্টর সহ যাঁরা সুবিধা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সঞ্জয়কে সুবিধাভোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। কীভাবে একজন আইনজীবীকে তারা সুবিধাভোগীর তালিকায় রাখতে পারে? এই প্রশ্নও উঠেছে। দু পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি।

সম্প্রতি আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়ি, অফিসে ইডি তল্লাশি চালায়। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সঞ্জয় বসু আদালতে জানান, তাঁকে রীতিমতো হয়রান হতে হচ্ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours