নির্বাচনের আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে বাইরন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের অভিযোগও তুলেছিল তৃণমূল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জোটের হাওয়া! বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাগরদিঘি উপ নির্বাচনের ট্রেন্ড তেমনটাই বলছে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালটের গণনাতেই এগিয়ে যান বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস (Biron Biswas)। পরে ইভিএম গণনা শুরু হওয়ার পর সপ্তম রাউন্ডেও এগিয়ে গিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। ৮ হাজারের বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি থাকলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপ নির্বাচনের (By Election) ফলাফল চাপ বাড়াতে পারে শাসক শিবিরের ওপর।
এই ট্রেন্ড সামনে আসতেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছে বাম-কংগ্রেস জোট। বিধায়ক সুব্রত সাহার প্রয়াণে এই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হচ্ছে। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই কেন্দ্রের ভোটকেই সব দলের জন্য অ্যাসিড টেস্ট বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতের আগে হাওয়া বোঝার প্রয়োজন রয়েছে বাম, কংগ্রেসেরও।
এই নির্বাচনের আগেই বাইরন বিশ্বাসেক বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। যদিও কংগ্রেস দাবি করেছিল, এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে, বাইরনকে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করতেও দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন প্রাথমিক প্রবণতা সামনে আসার পর বায়রন বলেন, আমরা এখন বিজয়োৎসবের পরিকল্পনা করছি। যে সব এলাকা নিয়ে কংগ্রেসের সংশয় ছিল সেখানেও তারা ভাল ফল করেছে বলে দাবি প্রার্থীর।
বর্তমানে রাজ্যের বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক নেই। বাইরন জিতলে একজন কংগ্রেস বিধায়ক পাবে বিধানসভা। বাইরন জানিয়েছেন, বিধায়ক হলে প্রথমেই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দূর করবেন তিনি।
যে বিধানসভায় ২০১১ থেকে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল, সেখানে কংগ্রেসের ভাল ফল হলে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়বে শাসক শিবিরের। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে আনিস খুন বা নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। ভোটের আগে এই কেন্দ্রে এসে ছিলেন আনিস খানের বাবা। এছাড়াও শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও এই ফলাফলের ক্ষেত্রে একটা বড় কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours