দুই লেগ মিলিয়ে ১৮০ মিনিটে (সংযুক্তি সময় বাদ দিয়ে) কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ফলে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এর আগে ২০১৪ সালে দুই লেগই গোল শূন্য় থেকেছিল এটিকে বনাম এফসি গোয়া ম্যাচ। এ বার এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দরাবাদ এফসি ম্য়াচও তাই দাঁড়াল। অবশেষে ফয়সালা টাইব্রেকারে। এ বার দুটি সেমিফাইনালই টাইব্রেকারেই নিষ্পত্তি। আইএসএলে এর আগে হয়নি।
সুযোগ বার বার আসে না। এলে কাজে লাগাতে হয়। প্রথম লেগের ম্যাচ হোক কিংবা ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ। সুযোগের পর সুযোগ তৈরি করল এটিকে মোহনবাগান। প্রথম লেগে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্য়াচে গোলশূন্য়। দ্বিতীয় লেগে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়েও গোলশূন্য়। সুযোগ নষ্ট না হলে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়াতে হত না। অবশেষে ম্য়াচ গড়াল টাইব্রেকারে। স্নায়ুর চাপে জিতল ‘মন বাগান’। হায়দরাবাদের দ্বিতীয় শট সেভ করেন গোল্ডেন গ্লাভসজয়ী বিশাল কাইথ। প্রাণ ফেরে এটিকে মোহনবাগান গ্য়ালারিতে। পরের শটে গোল গায়েগোর। ওগবেচের শট পোস্টে লাগে। মনবীর গোলে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-১ এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। দানুর শটে ৩-২ হয়। ব্রেন্ডন হ্য়ামিল মিস করতেই ফের স্তব্ধ সবুজ মেরুন গ্যালারি। ক্য়াপ্টেন কোটাল পঞ্চম শটটি নিতে আসেন। আর তারপরই, যুবভারতীতে শব্দব্রহ্ম। টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্য়বধানে জিতে ফাইনালে এটিকে মোহনবাগান। ১৮ মার্চ ফতোরদা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ট্রফির ম্যাচে নামছে সবুজ মেরুন। বিস্তারিত ।
এটা কী হল! সবুজ মেরুন গ্য়ালারি এ ভাবেই লাফিয়ে উঠল। হতাশা, আপশোস ছাড়া কিছুই করার ছিল না। মনবীরের অনবদ্য একটা শট ক্রসবারে লেগে বাইরে। আর একটু নীচের দিকে লাগলে বলটা গোলেও ঢুকতে পারতো। ঘরের মাঠেও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দাপট এটিকে মোহনবাগানেরই। সঙ্গে রয়েছে গ্য়ালারি। ঘরের মাঠে অনবদ্য পরিবেশে ম্যাচ। সুযোগও তৈরি হল। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারলেন না এটিকে মোহনবাগান আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। আধডজন শটের মধ্যে একটিই মাত্র লক্ষ্যে। সেটাও ক্রসবারে লাগে। না হলে ম্য়াচের ২৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত এটিকে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের একটা অনবদ্য সুযোগ। হুগো বোমাসের শট হায়দরাবাদ গোলরক্ষকের গুরমিত আটকে দেন। এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণে খাবি খাচ্ছিল হায়দরাবাদ এফসি। গ্য়ালারিতে ‘মোহনবাগান’ গর্জন, মাঠেও। আশিস রাইয়ের গতিতে এবং মনবীর, বোমাসদের দারুণ বোঝাপড়া। কিন্তু গোলের দেখা কই! এই প্রশ্ন যেন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররাও নিজেদের করছিলেন। ৭২ মিনিটে বোমাসের পরিবর্তে গায়েগোকে নামান হুয়ান ফেরান্দো। ম্য়াচ যদি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়, সে কারণেই এই পরিবর্তন। চোটের কারণে টুর্নামেন্টে বেশ কিছু ম্য়াচ মিস করেছেন বোমাস। তাঁকে পুরো সময় খেলানো ঝুঁকির। সংযুক্তি সময়ে সেট পিসে আরও একটা সুযোগ মিস। কর্নারে হেড করেছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ। যদিও ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায় বল।
দুই লেগ মিলিয়ে ১৮০ মিনিটে (সংযুক্তি সময় বাদ দিয়ে) কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ফলে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা নেই। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গায়েগোর সৌজন্য়ে অনবদ্য সুযোগ পেয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। বল ছোঁয়ালেই গোল। যদিও হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে কার্ল ম্যাকহিউয়ের পরিবর্তে হ্য়ামিলকে নামানো হয়। তেমনই অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গায়েগোর কর্নারে এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটালের হেড, অল্পের জন্য়…। শেষ অবধি তাঁর শটেই ফাইনাল নিশ্চিত হল। এর আগে ২০১৪ সালে দুই লেগই গোল শূন্য় থেকেছিল এটিকে বনাম এফসি গোয়া ম্যাচ। এ বার এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দরাবাদ এফসি ম্য়াচও তাই দাঁড়াল। অবশেষে ফয়সালা টাইব্রেকারে। দুটি সেমিফাইনালই টাইব্রেকার, আইএসএলে এর আগে হয়নি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours