Abhishek Banerjee: রাহুল গান্ধী মামলার রায়কে হাতিয়ার করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হবে তৃণমূল: অভিষেকশহিদ মিনারে অভিষেক
কলকাতা: মাঝে কেবল একটা টিনের ব্যারিকেড। 

শহিদ মিনারে ডিএ-র দাবিতে অবস্থানরত সরকারি কর্মীদের মঞ্চের পাশেই তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশ। পাশাপাশি দুই কর্মসূচি যাতে সংঘাতের পরিবেশ না তৈরি হয় সকাল থেকে কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের। অভিষেকের সভার জন্য ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্না বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অভিষেকের সভার অনুমতি দিলেও বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেন। এই আবহে অভিষেকের সভা। সভামঞ্চে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। নেতৃত্বের বক্তব্য রইল এক নজরে:


KEY HIGHLIGHTS

বিরোধীরা আছে আদালতে, বিরোধীরা আছে গণমাধ্যমে, আর বাংলার মানুষের মধ্যে একটাই সুনামি বইছে, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রাত্য
আমাদের দলের সুপ্রিমো, কাজের নিরিখে সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছে। একই দিনে দুটো মহাসভা। তৃণমূলই এই হিম্মত দেখাতে পারে: ব্রাত্য

কেন্দ্র বাংলাকে হাতে ও ভাতে মারার পরিকল্পনা করছে। বিজেপি দুটোতেই মারতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে প্রতিবাদ করছে। সিপিএম বারবার কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসের কথা বলছে। আমরা কেরলেও দেখতে পারছি, কংগ্রেস ও সিপিএম রাজ্যে লড়ছে, কিন্তু সংসদে তারা যখন যাচ্ছে, তখন একসঙ্গে লড়ছে। কেরলও বঞ্চিত। তামিলনাড়ুতেও তাই। : ব্রাত্য
কিন্তু বঙ্গ সিপিএমের একমাত্র প্রতিনিধি রাজ্যসভায়, তিনি কোনও কথা বলেন না। তিনি নীরব থাকে, কংগ্রেসও কোনও কথা বলে না, নীরব থাকে। একমাত্র কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছেই সকলের প্রত্যাশা। এই আত্মঘাতী রাজনীতি সিপিএম বারবার বাংলায় করেছে, এখনও করছে : ব্রাত্য
আপনারা দেখেছেন যে সম্প্রতি পার্টির অভ্যন্তরে দলের সুপ্রিমো শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যানকে বলেছিলেন, সিপিএম আমলে কাদের কাদের দু নম্বরী নিয়োগ হয়েছে, সেগুলি খুঁজে বার করুন। সিপিএম ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, কিন্তু কথাটা হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। পার্টির সুপ্রিমো বলেছেন শিক্ষাসেলের চেয়ারম্যানকে। সিপিএম নেতারা বারবার তাড়া দিচ্ছেন, কই লিস্ট বেরোচ্ছে না কেন? আমরা কি ওতই বোকা? সব বেরোবে। ইউ আর ইন দ্য সেম বোর্ড ব্রাদার। সব একসঙ্গে আছেন। আমাদের তাড়া দিতে হবে না। আপাতত যে কটা কড়াইতে ফুটছে, তাদের বেসন দেব, তেল দেব, ছ্যাকা দেব, সব করব। সেমি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে শোধ দেব।: ব্রাত্য
সিপিএম বিজেপিতে কোনও তফান নেই। সব এক, শুধু কালর হয়ে গিয়েছে গেরুয়া, আপনার এলাকায় যে ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলত, সেই ব্যাটাই এখন জয় শ্রী রাম বলছে। বিজেপির কেন এত সমস্যা? ব্রাত্য বসু কয়েটা চিরকুট বার করার কথা বলছে, যত না বিজেপি লাফাচ্ছে, তার থেকে বেশি লাফাচ্ছে সিপিএম। কারণ যাদের চিরকুট এখন বেরোবে, তার পুটকি লাগিয়ে এখন রাম হয়ে গিয়েছে।: দেবাংশু
যত দিন গিয়েছে, তৃণমূল তত শক্তিশালী হয়েছে। আজকের সভা ছোট্ট একটা ট্রেলর দেখালাম, আগামী দিনে প্রয়োজন হলে দিল্লির বুকে এই আন্দোলন সংগঠিত করব, তৈরি থাকুন। গণতন্ত্রের শেষ কথা মানুষ বলে, আদালত বলে না। আজ এখানে পবিত্র মাটিতে সাক্ষী রেখে বলছি, যে বিষয়গুলো নিয়ে সভা করছি, তা আগামী দিনে দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনব: অভিষেক
২০২১ সালে হেরে যাওয়ার পর কেন্দ্র একশো দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা সব টাকা বন্ধ। পরিষেবা মূলক কাজের টাকা সব বন্ধ করে দিয়েছে।: অভিষেক
২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদী সভা করে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলার মানুষের হাতে দুটো লাড্ডু তুলে দেব। আজ সত্যিই বাংলার মানুষের হাতে কেন্দ্রের সরকার লাড্ডু তুলে দিয়েছে।: অভিষেক
বাংলায় রাস্তা হলে, কার নামে হওয়া উচিত, বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা সড়ক যোজনা, কার নামে হওয়া উচিত? এই মিনারের নাম অক্টর লোনি মনুমেন্ট হওয়া উচিত নাকি শহিদ মিনার হওয়া উচিত? শহিদ মিনার হওয়া উচিত। ইংরেজরা আসলে ভেেবেছিল, আমরাই রাজত্ব করব। তাই তাঁদেরই নামে মিনার। বাংলা থেকে আন্দোলন হয়। ভারতকে পথ দেখিয়েছে বাংলাকে। ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রাস্তা যারা নিজের নামে করে, বাংলা তা করে না।: অভিষেক
দিল্লির দানবদের কাছে বাংলা মাথানত করবে না। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি, সংহতি যেন অক্ষুণ্ণ থাকে। ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮ টা সাংসদ বাংলা জিতিয়েছিল, তাতে কী লাভ, বাংলায় পরিষেবা মূলক সব কাজের টাকা বন্ধ। আর এক লক্ষ কোটি টাকা আদানি সাধারণ মানুষের টাকা এলআইসি, ও এসবিআই-এর মাধ্যমে আত্মসাৎ করে ফূর্তি করছে। বিজেপি বাবুদের চোখে কাপড় বাঁধা। এই টাকা তো আদানির নয়। বিজেপি টাকা ভোগ করছে।: অভিষেক
বাংলার বকেয়া পাওনা ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলার কটা প্রকল্পের টাকা বন্ধ জানেন? ২০২১-২০২২, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০৬ টা প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। সব রাজ্যের টাকা ছেড়ে দিয়েছে, একমাত্র বাংলার টাকা গা জোয়ারি করে আটকে রেখেছে।: অভিষেক
বিচারব্যবস্থার এক বিচারপতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন, আমি রুল জারি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাতাম। আর সেই বিচার ব্যবস্থাই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলছেন, তাঁরা অ্যান্টি ইন্ডিয়ান গ্যাঙের সদস্য, আর সেই বিচারপতিদের মুখে কুলুপ। বিজেপি করলে আইন এক, তৃণমূল কিংবা অন্য দল করলে আইন আরেক? দুর্নীতি করলে শাস্তি হোক, কিন্তু পিক অ্যান্ড চুস হবে না। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির ফাইল উদ্ধার হলে কেন কাস্টডিতে নিয়ে জেরা হবে না? কে কী বলল, সংবাদমাধ্যম কী বলল, তাতে কান দেবেন না। আমরা একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। মানুষের কাছে যখন যাবেন মাথা উঁচু করে বুক ঠুকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবে যাবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ৬ দিনের মাথায় সাসপেন্ড করেছি, মন্ত্রিসভা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। : অভিষেক
ভাইপো এই করেছি, ভাইপো ওই করেছি, তিন বছর হয়ে গেল, এখনও মুখ দিয়ে অভিষেক নামটা বের হয়নি। মদন মিত্রদের বলা হয়েছিল, অভিষেকের নাম নাও ছেড়ে দেব। আমার যদি কোথাও যোগসাজশ থাকে, যদি প্রমাণ করতে পারে, তাতে আমি বলে দিলাম, এখানেই মৃত্যু বরণ করব।: অভিষেক
 মোদী পদবীর লোকেরা চোর বলে যে সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারে এসে বলেছেন, ‘দিদি ও দিদি…’ মহিলাদের সম্মানে যিনি আঘাত করেছেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদ খারিজ হবে না কেন? এখানে বীরবাহা হাঁসদাদের এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, এঁরা আমার জুতার তলে থাকে। তাহলে বিরোধী দলনেতার দু’বছরের জেল হবে না কেন?: অভিষেক
যখন মানুষের কাছে যাবেন তৃণমূলের ব্যাজ়টা পরে যাবেন। কারণ এই দলই দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেয়।: অভিষেক
এক লক্ষ কোটি টাকা এলআইসি-এসবিআই- এ মানুষের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছে। কখনও ভেবেছেন এক লক্ষ কোটি টাকায় কী হবে? একের পাশে বারোটা শূন্য রয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যে এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা গায়ের জোরে আটকে রেখেছে। এই টাকা এলে ৫০ লক্ষ পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া যেত, নদী ভাঙনের সমস্যা মেটানো যেত। প্রত্যেক বিধানসভায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে চারটে করে ব্রিজ হত। প্রায় ১ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা হত। কৃষক, মৎস্যজীবীদের বাড়তি সহায়তা করতে সফল হত। গায়ের জোরে আটকে রেখেছে। বাংলা একমাত্র রাজ্য, যেখানে একশো দিনের টাকা আটকে। বাংলাকে এখন বাংলাদেশের চোখে কে দেখছে?: অভিষেক
আমি বুক ঠুকে বলে যাচ্ছি, ২১ টা কেসে সিবিআই হয়েছে। গত ২১ মাসে। প্রতি মাসে একটা করে সিবিআই। আপনার ক্ষমতা থাকলে ১০০ দিনেও সিবিআই করুন, কিন্তু ১৭ লক্ষ মানুষের টাকা ফেরত দিন। তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেব। ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি। আমি জেদি ছেলে। একা হলেও যাব, দিল্লি অচল করে দেখাব। : অভিষেক
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours